ঢাকা ০৯:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আরও ৩০ দেশের নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা খাঁচা থেকে বের হওয়া সিংহী আড়াই ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে লন্ডনে ফ্লাই রবিবার, নির্জন কারাবাস থেকেই খালেদা জিয়ার ‘নানা রোগের সূচনা’ জানালেন ফখরুল মহাকাশ থেকে পবিত্র  কাবা শরিফের উজ্জ্বল ছবি আন্দোলনে থাকা প্রাথমিকের শিক্ষকদের বদলি, ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি স্থগিত তারেক রহমানের দেশে ফেরা আবার অনিশ্চিত, কীভাবে ভোটার হবেন? খালেদা জিয়া ছাড়া পরিবারের কেউ ভিভিআইপি সুবিধা পাবেন না কুকুরছানা হত্যা মামলায় মায়ের সঙ্গে কারাগারে ২ বছরের শিশু খালেদা জিয়াকে লন্ডন নিতে ঢাকায় আসছেন জুবাইদা যুক্তরাজ্যের ৯ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী!

বইমলোয় বিজ্ঞানী ড. ফয়জুর রহমান আল সিদ্দিকীর ছুটে চলা

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৬:৪২:৫০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২০
  • / 1587
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

অবসরপ্রাপ্ত বিজ্ঞানী ড. ফয়জুর রহমান আল সিদ্দিকী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়ন শাস্ত্রে অনার্স পরবর্তীতে ইংল্যান্ডের ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী প্রয়াত ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার সহকর্মীও। লিখেছেন ‘বাঙালির জয়, বাঙালির ব্যর্থতা’ নামের একটি বই।

বইটি বিক্রির জন্য নিজেই ছুটে চলছেন বইমেলার এক স্টল থেকে আরেক স্টলে। উদ্দেশ্য নিজের বইটি বিক্রি করা। একে একে জীবনের ৮৬ বছর পার করেও বয়সের ভারে ক্লান্ত হননি। ওনার হাতে ব্যাগভর্তি বইয়ের ভারে ক্ষয়ে যাওয়া জুতা ও নিজের লালিত স্বপ্ন নিয়েই দ্রুত হেঁটে নিজের লেখা বই ‘বাঙালির জয়,বাঙালির ব্যর্থতা’ ফেরি করছিলেন।

সম্প্রতি একজন অমর একুশে বইমেলায় এই মানুষটাকে দেখে বইয়ের কথা এবং ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করলে অনেকের নজরে আসেন।

বইমেলায় ফেরি করার সুফলও তিনি পেয়েছেন। প্রবীণ এ স্কলারকে মানুষের কাছে তুলে ধরতে এগিয়ে এলো ‘স্বপ্ন’। ড. ফয়জুর রহমান আল সিদ্দিকীর লেখা বইটি এখন থেকে স্বপ্নের আউটলেটে পাওয়া যাবে।

১৯৩৪ সালে ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ থানার চরমধুচারিয়া গ্রামে ফয়জুর রহমানের জন্ম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়ন শাস্ত্রে অনার্স করেন। ইংল্যান্ডের ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করে ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধীনে সহকারী পরীক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। পরে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনে নিউক্লিয় শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের ওপর দীর্ঘদিন গবেষণা করেন।

১৯৯২ সালে ওই সংস্থার নিউক্লিয় বিজ্ঞান ও গবেষণা ইস্টিটিউটের পরিচালক হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। তিনি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজির রসায়ন শাস্ত্রের শিক্ষক ছিলেন। রিজিওনাল কো-অপারেটিভ এগ্রিমেন্ট নামক একটি দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক ফোরামে দীর্ঘ সাত বছর বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। তার নিজস্ব গবেষণার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন জার্নালে লেখা প্রকাশিত হয়েছে।
সূত্র: জাগো নিউজ

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বইমলোয় বিজ্ঞানী ড. ফয়জুর রহমান আল সিদ্দিকীর ছুটে চলা

আপডেট সময় : ০৬:৪২:৫০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২০

অবসরপ্রাপ্ত বিজ্ঞানী ড. ফয়জুর রহমান আল সিদ্দিকী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়ন শাস্ত্রে অনার্স পরবর্তীতে ইংল্যান্ডের ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী প্রয়াত ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার সহকর্মীও। লিখেছেন ‘বাঙালির জয়, বাঙালির ব্যর্থতা’ নামের একটি বই।

বইটি বিক্রির জন্য নিজেই ছুটে চলছেন বইমেলার এক স্টল থেকে আরেক স্টলে। উদ্দেশ্য নিজের বইটি বিক্রি করা। একে একে জীবনের ৮৬ বছর পার করেও বয়সের ভারে ক্লান্ত হননি। ওনার হাতে ব্যাগভর্তি বইয়ের ভারে ক্ষয়ে যাওয়া জুতা ও নিজের লালিত স্বপ্ন নিয়েই দ্রুত হেঁটে নিজের লেখা বই ‘বাঙালির জয়,বাঙালির ব্যর্থতা’ ফেরি করছিলেন।

সম্প্রতি একজন অমর একুশে বইমেলায় এই মানুষটাকে দেখে বইয়ের কথা এবং ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করলে অনেকের নজরে আসেন।

বইমেলায় ফেরি করার সুফলও তিনি পেয়েছেন। প্রবীণ এ স্কলারকে মানুষের কাছে তুলে ধরতে এগিয়ে এলো ‘স্বপ্ন’। ড. ফয়জুর রহমান আল সিদ্দিকীর লেখা বইটি এখন থেকে স্বপ্নের আউটলেটে পাওয়া যাবে।

১৯৩৪ সালে ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ থানার চরমধুচারিয়া গ্রামে ফয়জুর রহমানের জন্ম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়ন শাস্ত্রে অনার্স করেন। ইংল্যান্ডের ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করে ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধীনে সহকারী পরীক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। পরে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনে নিউক্লিয় শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের ওপর দীর্ঘদিন গবেষণা করেন।

১৯৯২ সালে ওই সংস্থার নিউক্লিয় বিজ্ঞান ও গবেষণা ইস্টিটিউটের পরিচালক হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। তিনি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজির রসায়ন শাস্ত্রের শিক্ষক ছিলেন। রিজিওনাল কো-অপারেটিভ এগ্রিমেন্ট নামক একটি দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক ফোরামে দীর্ঘ সাত বছর বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। তার নিজস্ব গবেষণার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন জার্নালে লেখা প্রকাশিত হয়েছে।
সূত্র: জাগো নিউজ