ঢাকা ০৫:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে ইউরোপজুড়ে বিক্ষোভ

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৬:১৮:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫
  • / 238

ফিলিস্তিনের পক্ষে ইউরোপজুড়ে বিক্ষোভ

অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গাজায় ইসরায়েলি হামলা বন্ধের দাবিতে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে শনিবার হাজারো মানুষ রাস্তায় নেমে আসেন। তারা ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে বিক্ষোভ করেন।

সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমের ওডেনপ্লান স্কয়ারে বিক্ষোভকারীরা জড়ো হয়ে গাজা ও পশ্চিম তীরে হামলার নিন্দা জানান। নিহত আল জাজিরা সাংবাদিকদের ছবি হাতে নিয়ে তারা মিছিল করেন। অনেকেই কালো পোশাক পরে প্রতীকী কফিন বহন করে সাংবাদিক হত্যার প্রতিবাদ জানান।

গত সপ্তাহে গাজার আল-শিফা হাসপাতালের কাছে সাংবাদিকদের তাঁবুতে ইসরায়েলি হামলায় আল জাজিরার দুই সাংবাদিক আনাস আল-শরীফ ও মোহাম্মদ কারায়কিয়া, তিনজন ক্যামেরাপারসন এবং একজন ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক নিহত হন।

গাজার সরকারি গণমাধ্যম কার্যালয়ের তথ্যমতে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলি হামলায় মোট ২৩৮ জন সাংবাদিক প্রাণ হারিয়েছেন।

আয়ারল্যান্ডের রাজধানী ডাবলিনে হাজারো চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী নীরব মিছিলে অংশ নেন। রয়্যাল কলেজ অব সার্জনস থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান সড়ক ঘুরে মিছিলটি সম্পন্ন হয়। তারা ফিলিস্তিনি সহকর্মীদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন এবং অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান।

স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতেও হাজারো মানুষ বিক্ষোভে অংশ নেন। স্থানীয় মন্ত্রী মায়েরি ম্যাকঅ্যালান প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে বলেন, “অত্যাচার বন্ধ হোক! আমাদের চোখের সামনে গণহত্যা চলছে, এর বিরুদ্ধে অবশ্যই আওয়াজ তুলতে হবে। যুদ্ধাপরাধীরা যেন শাস্তি এড়িয়ে না যায়।”

অন্যদিকে, ইংল্যান্ডের নরউইচে ফিলিস্তিন সংহতি কর্মসূচি থেকে পুলিশ অন্তত ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করে। লন্ডনে গত শনিবারও ৫০০’র বেশি মানুষকে আটক করা হয়েছিল।

বাকিংহামশায়ারের হাই উইকোম্বের রয়্যাল এয়ার ফোর্স ঘাঁটিকে ঘিরে হাজারো মানুষ বিক্ষোভ করে দাবি জানায়, যুক্তরাজ্য যেন ইসরায়েলের সঙ্গে সামরিক সহযোগিতা বন্ধ করে। প্যালেস্টাইন সলিডারিটি ক্যাম্পেইনের এক বিবৃতিতে বলা হয়, “ব্রিটিশ সরকারকে লজ্জা! ইসরায়েলকে অস্ত্র দেওয়া অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।”

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি অভিযানে গাজায় অন্তত ৬১ হাজার ৯০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যেই আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গালান্টের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। একইসঙ্গে গাজায় গণহত্যার অভিযোগে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) মামলা চলছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে ইউরোপজুড়ে বিক্ষোভ

আপডেট সময় : ০৬:১৮:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫

গাজায় ইসরায়েলি হামলা বন্ধের দাবিতে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে শনিবার হাজারো মানুষ রাস্তায় নেমে আসেন। তারা ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে বিক্ষোভ করেন।

সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমের ওডেনপ্লান স্কয়ারে বিক্ষোভকারীরা জড়ো হয়ে গাজা ও পশ্চিম তীরে হামলার নিন্দা জানান। নিহত আল জাজিরা সাংবাদিকদের ছবি হাতে নিয়ে তারা মিছিল করেন। অনেকেই কালো পোশাক পরে প্রতীকী কফিন বহন করে সাংবাদিক হত্যার প্রতিবাদ জানান।

গত সপ্তাহে গাজার আল-শিফা হাসপাতালের কাছে সাংবাদিকদের তাঁবুতে ইসরায়েলি হামলায় আল জাজিরার দুই সাংবাদিক আনাস আল-শরীফ ও মোহাম্মদ কারায়কিয়া, তিনজন ক্যামেরাপারসন এবং একজন ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক নিহত হন।

গাজার সরকারি গণমাধ্যম কার্যালয়ের তথ্যমতে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলি হামলায় মোট ২৩৮ জন সাংবাদিক প্রাণ হারিয়েছেন।

আয়ারল্যান্ডের রাজধানী ডাবলিনে হাজারো চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী নীরব মিছিলে অংশ নেন। রয়্যাল কলেজ অব সার্জনস থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান সড়ক ঘুরে মিছিলটি সম্পন্ন হয়। তারা ফিলিস্তিনি সহকর্মীদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন এবং অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান।

স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতেও হাজারো মানুষ বিক্ষোভে অংশ নেন। স্থানীয় মন্ত্রী মায়েরি ম্যাকঅ্যালান প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে বলেন, “অত্যাচার বন্ধ হোক! আমাদের চোখের সামনে গণহত্যা চলছে, এর বিরুদ্ধে অবশ্যই আওয়াজ তুলতে হবে। যুদ্ধাপরাধীরা যেন শাস্তি এড়িয়ে না যায়।”

অন্যদিকে, ইংল্যান্ডের নরউইচে ফিলিস্তিন সংহতি কর্মসূচি থেকে পুলিশ অন্তত ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করে। লন্ডনে গত শনিবারও ৫০০’র বেশি মানুষকে আটক করা হয়েছিল।

বাকিংহামশায়ারের হাই উইকোম্বের রয়্যাল এয়ার ফোর্স ঘাঁটিকে ঘিরে হাজারো মানুষ বিক্ষোভ করে দাবি জানায়, যুক্তরাজ্য যেন ইসরায়েলের সঙ্গে সামরিক সহযোগিতা বন্ধ করে। প্যালেস্টাইন সলিডারিটি ক্যাম্পেইনের এক বিবৃতিতে বলা হয়, “ব্রিটিশ সরকারকে লজ্জা! ইসরায়েলকে অস্ত্র দেওয়া অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।”

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি অভিযানে গাজায় অন্তত ৬১ হাজার ৯০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যেই আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গালান্টের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। একইসঙ্গে গাজায় গণহত্যার অভিযোগে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) মামলা চলছে।