ঢাকা ০১:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ইউনূস যদি চান, সারা দেশকে কারাগার বানাতে পারেন: আদালতে আনিস আলমগীর সমালোচনা করা যাবে না- এই বার্তাই কি দেওয়া হলো আনিস আলমগীরের ঘটনায় মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত চক্র ‘বিজয়ের নতুন ইতিহাস’ রচনার অপচেষ্টায়: তারেক রহমান আটকের ১৯ ঘণ্টা পর সাংবাদিক আনিস আলমগীর গ্রেফতার; ‘বাকস্বাধীনতাটা কোথায় গেল’ প্রশ্ন শাওনের বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ কেন বন্ধ করলো অন্তর্বর্তী সরকার? সাংবাদিক আনিস আলমগীর ও অভিনেত্রী শাওনসহ চারজনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ গুলিবিদ্ধ ওসমান হাদিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে সরকার সমালোচক সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে আটক ‘পাকিস্তানি বাহিনী বুদ্ধিজীবী হত্যা করেনি’  চবি উপ-উপাচার্যের বক্তব্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ঢাবিতে ‘রাজাকার ঘৃণাস্তম্ভ’, জুতা নিক্ষেপ

পানিবন্দী ৬০ হাজার পরিবার এখন বাগেরহাটে

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৮:৫৮:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২০
  • / 794
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্মচাপের প্রভাবে বাগেরহাটে শনিবার পর্যন্ত তিন দিন ধরে অবিরাম ভারী বৃষ্টিপাতে ফলে জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ৬০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পরেছে। এর মধ্যে শরণখোলা উপজেলার ৪ টি ইউনিয়নেই ৪০টি গ্রাম এখন পানির নিচে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অর্ধ লক্ষাধিক পরিবার। হাজার হাজার পরিবারের বসত ঘরের মধ্যে হাঁটু পানিতে তলিয়ে রয়েছে। শরণখোলায় আঞ্চলিক মহাসড়কের ৪ টি স্থানে ভয়াবহ ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। তলিয়ে গেছে সরকারী খাদ্য গুদাম। এদিকে জেলার মোড়েলগঞ্জ, রামপাল, মোংলা, বাগেরহাট সদর, চিতলমারী, ফকিরহাট ও মোংলা উপজেলার অনেক গ্রাম প্লাবিত হয়ে ঘরবন্দি হয়ে পড়েছে আরো ৪০ হাজার পরিবার। এসব এলাকার বাড়ীর ঘরে বর্ষার পানি ঢুকে পড়ায় অনেকেই রান্না করতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন। অসময়ে অবিরাম ভারী বৃষ্টিপাতে বাড়ীঘর তলিয়ে যাওয়া পরিবারগুলো অবর্ননিয় দূর্দশায় পড়েছে। শনিবার পর্যন্ত ৩ দিনের ভারি বৃষ্টিপাতে জেলার পানের বরজসহ ৪০ হেক্টর শীতকালিন বিভিন্ন সবজি ও পান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা কৃষি বিভাগ।

বাগেরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. খালেদ কনক জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্মচাপের প্রভাবে শনিবার পর্যন্ত ৩ দিনের ভারি বৃষ্টিপাতে জেলার ৮ হাজার চিংড়ি ঘের ও পুকুর ডুবে গেছে প্রাথমিক ভাবে জানাগেছে। উপজেলাগুলো থেকে তালিকা পাঠাবার পর এ ক্ষয়ক্ষতির পরিমান আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।

শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহিন বলেন, সকাল থেকে ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন এলাকা ঘুরে মানুষের দুর্ভোগের চিত্র দেখেছি। দ্রুত পানি নিষ্কাশনের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের সকল স্লুইস গেট খুলে দেয়ার হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় এস্কাভেটর মেশিন দিয়ে বাঁধ কেটে সরকারী খাদ্য গুদামের পানি সরানোর কাজ চলছে। বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। উপজেলার সার্বিক ক্ষয়ক্ষতি নিরুপনের কাজ চলমান রয়েছে

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

পানিবন্দী ৬০ হাজার পরিবার এখন বাগেরহাটে

আপডেট সময় : ০৮:৫৮:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২০

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্মচাপের প্রভাবে বাগেরহাটে শনিবার পর্যন্ত তিন দিন ধরে অবিরাম ভারী বৃষ্টিপাতে ফলে জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ৬০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পরেছে। এর মধ্যে শরণখোলা উপজেলার ৪ টি ইউনিয়নেই ৪০টি গ্রাম এখন পানির নিচে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অর্ধ লক্ষাধিক পরিবার। হাজার হাজার পরিবারের বসত ঘরের মধ্যে হাঁটু পানিতে তলিয়ে রয়েছে। শরণখোলায় আঞ্চলিক মহাসড়কের ৪ টি স্থানে ভয়াবহ ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। তলিয়ে গেছে সরকারী খাদ্য গুদাম। এদিকে জেলার মোড়েলগঞ্জ, রামপাল, মোংলা, বাগেরহাট সদর, চিতলমারী, ফকিরহাট ও মোংলা উপজেলার অনেক গ্রাম প্লাবিত হয়ে ঘরবন্দি হয়ে পড়েছে আরো ৪০ হাজার পরিবার। এসব এলাকার বাড়ীর ঘরে বর্ষার পানি ঢুকে পড়ায় অনেকেই রান্না করতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন। অসময়ে অবিরাম ভারী বৃষ্টিপাতে বাড়ীঘর তলিয়ে যাওয়া পরিবারগুলো অবর্ননিয় দূর্দশায় পড়েছে। শনিবার পর্যন্ত ৩ দিনের ভারি বৃষ্টিপাতে জেলার পানের বরজসহ ৪০ হেক্টর শীতকালিন বিভিন্ন সবজি ও পান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা কৃষি বিভাগ।

বাগেরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. খালেদ কনক জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্মচাপের প্রভাবে শনিবার পর্যন্ত ৩ দিনের ভারি বৃষ্টিপাতে জেলার ৮ হাজার চিংড়ি ঘের ও পুকুর ডুবে গেছে প্রাথমিক ভাবে জানাগেছে। উপজেলাগুলো থেকে তালিকা পাঠাবার পর এ ক্ষয়ক্ষতির পরিমান আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।

শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহিন বলেন, সকাল থেকে ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন এলাকা ঘুরে মানুষের দুর্ভোগের চিত্র দেখেছি। দ্রুত পানি নিষ্কাশনের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের সকল স্লুইস গেট খুলে দেয়ার হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় এস্কাভেটর মেশিন দিয়ে বাঁধ কেটে সরকারী খাদ্য গুদামের পানি সরানোর কাজ চলছে। বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। উপজেলার সার্বিক ক্ষয়ক্ষতি নিরুপনের কাজ চলমান রয়েছে