নিউইয়র্কে এনসিপি নেতা আখতার হোসেনের ওপর ডিম নিক্ষেপের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগ নেতা মিজানকে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সময় সোমবার রাত ৯টা ২৮ মিনিটে জ্যাকসন হাইটস থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সিলেটের জকিগঞ্জের বাসিন্দা মিজান চৌধুরী যুবলীগের নেতা। ঘটনার পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে।
এর আগে নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় বিকেল ৩টার দিকে জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরে আওয়ামী লীগ কর্মীদের হামলার শিকার হন আখতার হোসেন। তাকে লক্ষ্য করে ডিম ছোড়া হয় এবং ‘রাজাকার রাজাকার’ বলে গালিগালাজ করা হয়।
আখতারের সঙ্গে ছিলেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. তাসনিম জারাসহ আরও কয়েকজন নেতা-কর্মী। তারা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে যোগ দিতে যাওয়া অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সফরসঙ্গী ছিলেন।
ঘটনার পর ফেসবুকের ভেরিফায়েড পেজে পোস্ট দেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. তাসনিম জারা। হামলার সময় তিনি আখতারের পাশে ছিলেন।
তিনি লিখেছেন, “আজ যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছানোর পর আমাদের দলের সদস্য সচিব আখতার হোসেনের ওপর হামলা হয়েছে। তাকে লক্ষ্য করে ডিম ছোড়া হয়েছে, গালিগালাজ করা হয়েছে। এটি ব্যক্তি আখতার হোসেনের ওপর আক্রমণ নয়, তার রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে করা হয়েছে। কারণ, তিনি প্রতিনিধিত্ব করেন সেই দলকে, যে দল ফ্যাসিবাদের কাঠামো ভেঙে দিতে প্রতিনিয়ত কাজ করছে।”
তাসনিম আরও যোগ করেন, “এই হামলা পরাজিত শক্তির ভয় ও হতাশার স্পষ্ট বহিঃপ্রকাশ। তবে এতে আখতার হোসেন দুর্বল হবেন না, বরং তার দৃঢ়তা আরও বাড়বে।”
এ ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহও। মঙ্গলবার সকালে ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লিখেন, “হাসিনার পুলিশ লীগ, কোর্ট-কাছারিও আখতারকে দমন করতে পারেনি। আর এসব উচ্ছিষ্ট, জনগণ কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত দালালরা বিদেশে বসে প্রতিবাদের প্রতীক আখতারকে দমন করতে পারবে?”
তিনি আরও লিখেছেন, “আওয়ামী দালালদের পক্ষে টকশো আর যুগলবন্দী কলামে যারা ‘সম্মতি’ তৈরি করে, তাদেরও কেন প্রত্যাখ্যান করা জরুরি—এটা না বুঝলে কিছুদিন পর আপনিও এই ধরনের আক্রমণের শিকার হতে প্রস্তুত থাকুন।”


















