ধর্ষকদের ফাঁসির দাবিতে আদালত চত্বরে অবস্থান, আসামিপক্ষে দাঁড়াবেন না কোনও আইনজীবী
- আপডেট সময় : ০২:১৩:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫
- / 229

মাগুরার ধর্ষিত শিশুর আসামিদের ফাঁসির দাবিতে আদালত চত্বরে অবস্থান নিয়েছেন মাগুরার ছাত্র-জনতা। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শিশুর ধর্ষকের ফাঁসি আদেশ না হওয়া পর্যন্ত তারা অবস্থান থেকে নড়বেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন। রবিবার (৯ মার্চ ২০২৫) সকালে বিক্ষোভ মিছিল শেষে তারা মাগুরা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে অবস্থান নেন।
সমাবেশে যোগ দেওয়া মাগুরা জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শায়ের হাসান টগর বলেন, ‘আমরা কথা দিচ্ছি ধর্ষকদের পক্ষে মাগুরার কোনও আইনজীবী আদালতে দাঁড়াবে না।’
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘অতীতে পার পেয়ে গেছে বলেই এখন এমন দুঃসাহস দেখাচ্ছে ধর্ষকরা। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দোষীদের ফাঁসি দিতে হবে অন্যথায় আমরা এখান থেকে যাবো না।’
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ইঞ্জিনিয়ার সেলিম হোসেন, সাদিয়া ইসলাম, রকিবুল ইসলাম, সুবর্ণা প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার রাতে শহরের নিজনান্দুয়ালী এলাকায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে এসে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার শিকার হয় মেয়েটি।
শিশুটির পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শিশুটিকে প্রথমে মাগুরা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শুক্রবার সকালে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে সে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকার সিএমএইচে লাইফ সাপোর্টে রয়েছে।
বিচার ১৮০ দিনের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ
মাগুরায় ৮ বছরের শিশু ধর্ষণের শিকার হওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলার বিচার ১৮০ দিনের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালকে এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
রোববার (৯ মার্চ) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
একইসঙ্গে শিশুটির সব ছবি পত্রিকা, অনলাইন পোর্টাল ও সব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিটিআরসি কর্তপক্ষকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি ধর্ষণের শিকার শিশু ও তার ১৪ বছরের বোনকে দেখভালের জন্য সমাজসেবা অফিসার নিয়োগ এবং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার হামিদুল মিসবাহ, ব্যারিস্টার মাহসিব হোসাইন, ব্যারিস্টার মিথুন রায় চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তানিম খান।
এর আগে ধর্ষণের শিকার শিশুটিকে নিয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন ব্যারিস্টার মাহসিব হোসাইন। পরে আদালতের নির্দেশে ব্যারিস্টার হামিদুল মিসবাহ ও ব্যারিস্টার মাহসিব হোসাইন এ বিষয়ে রিট দায়ের করেন।


















