দেশে ফিরে ‘ফিরোজা’য় খালেদা জিয়া
- আপডেট সময় : ০৩:০০:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫
- / 294

এর আগে বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে তিনি বিমানবন্দর ত্যাগ করেন। প্রায় ১০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে তাকে সময় লাগে দুই ঘণ্টারও বেশি, কারণ পথে হাজারো নেতাকর্মীর শুভেচ্ছা গ্রহণ করেন তিনি।
সাধারণত গাড়ির পেছনে বসলেও এদিন খালেদা জিয়াকে সামনের আসনে বসতে দেখা যায়। পেছনে ছিলেন দুই পুত্রবধূ—জোবাইদা রহমান ও সৈয়দা শামিলা রহমান সিঁথি।
‘ফিরোজা’য় তার আগমন উপলক্ষে অপেক্ষায় ছিলেন মেজ বোন সেলিমা ইসলাম, ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার ও তার স্ত্রী কানিজ ফাতেমা, জোবাইদার বড় বোন শাহীনা জামান বিন্দু এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। এছাড়া মহিলা দলের নেত্রী আফরোজা আব্বাস ও সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
গুলশানের ৭৯ নম্বর সড়কের ফিরোজা বাসভবন খালেদা জিয়ার জন্য আগেই প্রস্তুত রাখা হয়, বলে জানিয়েছে বিএনপি।
সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে কাতারের আমিরের বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স খালেদা জিয়াকে নিয়ে শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেখান থেকে তার গাড়ি খিলক্ষেত, কুর্মিটোলা ও নৌসদর দপ্তর হয়ে গুলশানে যায়।
সড়কের দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা হাজারো নেতাকর্মী জাতীয় ও দলীয় পতাকা হাতে খালেদা জিয়াকে শুভেচ্ছা জানান। তিনি গাড়ি থেকে হাত নাড়িয়ে তাদের অভিবাদনের জবাব দেন। কর্মীরা স্লোগান দেন—“খালেদা জিয়ার আগমন, শুভেচ্ছা স্বাগতম”, “খালেদা, জিয়া”, “তারেক, রহমান” এবং “খালেদা জিয়া ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই”।

ফিরোজা ও আশপাশের এলাকায় সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল।
বিমানবন্দরে খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানান দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্যরা খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমদ, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও সেলিমা রহমান।
৭৯ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, কিডনি, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও আর্থ্রাইটিসসহ একাধিক জটিলতায় ভুগছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির প্রেরিত বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তিনি ৭ জানুয়ারি লন্ডনে যান।
লন্ডনের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক প্যাট্রিক কেনেডি ও অধ্যাপক জেনিফার ক্রসের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিয়ে ২৫ জানুয়ারি থেকে ছেলে তারেক রহমানের বাসায় অবস্থান করছিলেন।
দেশে ফেরার সময় লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে স্থানীয় সময় সোমবার বিকাল ৪টা ২০ মিনিটে তিনি কাতারের রাজকীয় এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে রওনা দেন। বিদায় জানাতে উপস্থিত ছিলেন তারেক রহমান ও নাতনি জায়মা রহমান।
২০০৮ সালে জরুরি অবস্থার সময় দেশ ত্যাগের পর থেকে লন্ডনেই রয়েছেন তারেক ও তার স্ত্রী জোবাইদা। প্রায় ১৭ বছর পর শাশুড়ির সঙ্গে দেশে ফিরলেন জোবাইদা; তবে তারেক রহমানের ফেরার সময়সূচি এখনও অনিশ্চিত।
বিমানবন্দরে উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে খালেদা জিয়া বলেন, “ভাইয়াকে দেখে রেখো।”


















