ঢাকা ১১:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আরও ৩০ দেশের নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা খাঁচা থেকে বের হওয়া সিংহী আড়াই ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে লন্ডনে ফ্লাই রবিবার, নির্জন কারাবাস থেকেই খালেদা জিয়ার ‘নানা রোগের সূচনা’ জানালেন ফখরুল মহাকাশ থেকে পবিত্র  কাবা শরিফের উজ্জ্বল ছবি আন্দোলনে থাকা প্রাথমিকের শিক্ষকদের বদলি, ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি স্থগিত তারেক রহমানের দেশে ফেরা আবার অনিশ্চিত, কীভাবে ভোটার হবেন? খালেদা জিয়া ছাড়া পরিবারের কেউ ভিভিআইপি সুবিধা পাবেন না কুকুরছানা হত্যা মামলায় মায়ের সঙ্গে কারাগারে ২ বছরের শিশু খালেদা জিয়াকে লন্ডন নিতে ঢাকায় আসছেন জুবাইদা যুক্তরাজ্যের ৯ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী!

দুবাইয়ে বাংলাদেশি বাছিরের সততার দৃষ্টান্ত
দুবাই পুলিশ থেকে পেয়েছেন সততার সনদ

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০১:৫২:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০১৯
  • / 2766
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি


সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে সততার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন বাংলাদেশি বাছির আহমেদ। ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার কসবার মইনপুরের আমির হোসেনের ছেলে বাছির মানুষের হারিয়ে যাওয়া মালামাল পুলিশের মাধ্যমে ফিরিয়ে দিয়ে সততার অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন। বয়ে এনেছেন দেশের সুনাম। বাংলাদেশি মানুষের এমন সততায় মুগ্ধ দুবাই পুলিশ।

বাছির ২০০৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবিতে আসেন। সেখানে কাজ করার পর ২০১৫ সালে দুবাইয়ে পাড়ি জমান। স্টার সিকিউরিটি সার্ভিস দুবাইয়ে সিকিউরিটির কাজ করেন তিনি। তার কাজের এলাকা ড্রাগন মার্ট ।

সিকিউরিটির কাজ করা অবস্থায় মলে আসা মানুষদের কোন স্বর্ণ, টাকা, মানিব্যাগ সহ দরকারি জিনিস তিনি পেয়ে থাকলে ঠিক ঐ জায়গা থেকেই সিসিটিভি চেক করেন। এরপর ওই মানুষটা কোন গাড়িতে বা কিভাবে বের হয়ে গেছে দেখে তার তথ্য উদ্ধার করে স্থানীয় পুলিশে মালগুলো তিনি জমা দেন। পরে হারিয়ে যাওয়া মালের মানুষ উপযুক্ত প্রমাণ দিয়ে পুলিশের কাছ থেকে মাল গুলো ফেরত নেন। এ জন্য শুধু পুলিশ নয় অনেক হারানো মালের মানুষও তাকে পুরষ্কৃত করেছেন।

বাছির শুধু হারানো মাল ফেরত দেন না বরং তার কর্ম এলাকার আশপাশে কোন অবৈধ কাজও হতে দেন না। এ জন্য পুলিশের সহযোগিতা নেন তিনি। পুলিশ সেজন্যও তাকে সনদ প্রদান করেছে।

২০১৬ সালের ০৭ই জুন প্রথম ধন্যবাদ পত্র পেয়েছেন আল রাশেদিয়া পুলিশ স্টেশন থেকে। ৫ই জুলাই ২০১৮ সালে Department of Planing and Development – TRAKHEES PCFC “Port, Customs and Free zone Corporation. থেকে Appreciation সার্টিফিকেট পেয়েছেন তিনি। এছাড়া ১৭ই ফেব্রুয়ারি ২০১৯ সালে Nakheel থেকে appreciation সার্টিফিকেট এবং ২ এপ্রিল ২০১৯ Dubai police থেকে Appreciation পেয়েছেন।

এমন কাজ করে নিজের মনে শান্তি পান বাছির। আগামি জীবনে বিদেশের মাটিতে নিজের সততায় দেশকে তোলার চেষ্টার কথা জানিয়েছেন তিনি। এ জন্য সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

দুবাইয়ে বাংলাদেশি বাছিরের সততার দৃষ্টান্ত
দুবাই পুলিশ থেকে পেয়েছেন সততার সনদ

আপডেট সময় : ০১:৫২:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০১৯


সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে সততার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন বাংলাদেশি বাছির আহমেদ। ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার কসবার মইনপুরের আমির হোসেনের ছেলে বাছির মানুষের হারিয়ে যাওয়া মালামাল পুলিশের মাধ্যমে ফিরিয়ে দিয়ে সততার অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন। বয়ে এনেছেন দেশের সুনাম। বাংলাদেশি মানুষের এমন সততায় মুগ্ধ দুবাই পুলিশ।

বাছির ২০০৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবিতে আসেন। সেখানে কাজ করার পর ২০১৫ সালে দুবাইয়ে পাড়ি জমান। স্টার সিকিউরিটি সার্ভিস দুবাইয়ে সিকিউরিটির কাজ করেন তিনি। তার কাজের এলাকা ড্রাগন মার্ট ।

সিকিউরিটির কাজ করা অবস্থায় মলে আসা মানুষদের কোন স্বর্ণ, টাকা, মানিব্যাগ সহ দরকারি জিনিস তিনি পেয়ে থাকলে ঠিক ঐ জায়গা থেকেই সিসিটিভি চেক করেন। এরপর ওই মানুষটা কোন গাড়িতে বা কিভাবে বের হয়ে গেছে দেখে তার তথ্য উদ্ধার করে স্থানীয় পুলিশে মালগুলো তিনি জমা দেন। পরে হারিয়ে যাওয়া মালের মানুষ উপযুক্ত প্রমাণ দিয়ে পুলিশের কাছ থেকে মাল গুলো ফেরত নেন। এ জন্য শুধু পুলিশ নয় অনেক হারানো মালের মানুষও তাকে পুরষ্কৃত করেছেন।

বাছির শুধু হারানো মাল ফেরত দেন না বরং তার কর্ম এলাকার আশপাশে কোন অবৈধ কাজও হতে দেন না। এ জন্য পুলিশের সহযোগিতা নেন তিনি। পুলিশ সেজন্যও তাকে সনদ প্রদান করেছে।

২০১৬ সালের ০৭ই জুন প্রথম ধন্যবাদ পত্র পেয়েছেন আল রাশেদিয়া পুলিশ স্টেশন থেকে। ৫ই জুলাই ২০১৮ সালে Department of Planing and Development – TRAKHEES PCFC “Port, Customs and Free zone Corporation. থেকে Appreciation সার্টিফিকেট পেয়েছেন তিনি। এছাড়া ১৭ই ফেব্রুয়ারি ২০১৯ সালে Nakheel থেকে appreciation সার্টিফিকেট এবং ২ এপ্রিল ২০১৯ Dubai police থেকে Appreciation পেয়েছেন।

এমন কাজ করে নিজের মনে শান্তি পান বাছির। আগামি জীবনে বিদেশের মাটিতে নিজের সততায় দেশকে তোলার চেষ্টার কথা জানিয়েছেন তিনি। এ জন্য সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন।