ঢাকা ১২:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ইসলামে পারিবারিক নির্যাতনের কোনো স্থান নেই-শায়খ আব্দুল কাইয়ুম লিবিয়া থেকে ৩১০ বাংলাদেশি দেশে ফিরলেন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আরও ৩০ দেশের নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা খাঁচা থেকে বের হওয়া সিংহী আড়াই ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে লন্ডনে ফ্লাই রবিবার, নির্জন কারাবাস থেকেই খালেদা জিয়ার ‘নানা রোগের সূচনা’ জানালেন ফখরুল মহাকাশ থেকে পবিত্র  কাবা শরিফের উজ্জ্বল ছবি আন্দোলনে থাকা প্রাথমিকের শিক্ষকদের বদলি, ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি স্থগিত তারেক রহমানের দেশে ফেরা আবার অনিশ্চিত, কীভাবে ভোটার হবেন? খালেদা জিয়া ছাড়া পরিবারের কেউ ভিভিআইপি সুবিধা পাবেন না কুকুরছানা হত্যা মামলায় মায়ের সঙ্গে কারাগারে ২ বছরের শিশু

তিন বাহিনীর প্রধানকে নিয়ে যমুনায় ‘উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক’

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০১:৩৫:৪৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫
  • / 283
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন অপরাধের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষাপটে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনায় প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায়। এই বৈঠকে তিন বাহিনীর প্রধানরাও উপস্থিত ছিলেন।

মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই বিষয়টি উল্লেখ থাকলেও বৈঠকের আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হয়নি।

প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার সাক্ষরিত সেই বার্তার শিরোনাম ছিল, “আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করলেন প্রধান উপদেষ্টা।”

এতে লেখা হয়, বৈঠকে সারাদেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়। জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা কর্মকর্তারা পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।

প্রধান উপদেষ্টা রাজধানীসহ দেশের অন্যান্য স্থানে স্থিতিশীল নিরাপত্তা পরিস্থিতি বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে এও লেখা হয়, “তিনি কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ঘটনায় নিরাপত্তা বাহিনীর প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।”

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দশম মাসেও পুলিশ বাহিনী পূর্ণ ক্ষমতায় কাজ করতে পারছে কি না, এ নিয়ে বিতর্ক আছে।

এই পরিস্থিতিতে সরকারের পক্ষ থেকে সারাদেশে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। বাহিনীর কর্মকর্তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

এখন পর্যন্ত পাঁচবার এই ক্ষমতার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।

প্রথমবার ২০২৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন ও তদূর্ধ্ব পদমর্যাদার কর্মকর্তাদেরকে ৬০ দিনের জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেয় সরকার।

দ্বিতীয়বার ২০২৪ সালের ১৫ নভেম্বর সরকার আরও ৬০ দিনের জন্য এই ক্ষমতার মেয়াদ বাড়ায়।

তৃতীয়বার ২০২৫ সালের ১২ জানুয়ারি, চতুর্থবার ১৩ মার্চ এবং পঞ্চমবার গত ৮ মে এই মেয়াদ আরও ৬০ দিনের জন্য বাড়ানো হয়।

তবে আইনশৃঙ্খালা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ স্পষ্ট। নিয়মিতই বিভিন্ন এলাকায় সন্ত্রাসী তৎপরতার ভিডিও ছড়াচ্ছে।

এর মধ্যে এই বৈঠকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন অংশ নেন সরকারের তরফে।

বৈঠকে ছিলেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান এবং বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার মার্শাল হাসান মাহমুদ খানও।

অন্যান্য জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা এতে অংশ নেন বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টা দপ্তর।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

তিন বাহিনীর প্রধানকে নিয়ে যমুনায় ‘উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক’

আপডেট সময় : ০১:৩৫:৪৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫

সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন অপরাধের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষাপটে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনায় প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায়। এই বৈঠকে তিন বাহিনীর প্রধানরাও উপস্থিত ছিলেন।

মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই বিষয়টি উল্লেখ থাকলেও বৈঠকের আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হয়নি।

প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার সাক্ষরিত সেই বার্তার শিরোনাম ছিল, “আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করলেন প্রধান উপদেষ্টা।”

এতে লেখা হয়, বৈঠকে সারাদেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়। জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা কর্মকর্তারা পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।

প্রধান উপদেষ্টা রাজধানীসহ দেশের অন্যান্য স্থানে স্থিতিশীল নিরাপত্তা পরিস্থিতি বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে এও লেখা হয়, “তিনি কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ঘটনায় নিরাপত্তা বাহিনীর প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।”

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দশম মাসেও পুলিশ বাহিনী পূর্ণ ক্ষমতায় কাজ করতে পারছে কি না, এ নিয়ে বিতর্ক আছে।

এই পরিস্থিতিতে সরকারের পক্ষ থেকে সারাদেশে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। বাহিনীর কর্মকর্তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

এখন পর্যন্ত পাঁচবার এই ক্ষমতার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।

প্রথমবার ২০২৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন ও তদূর্ধ্ব পদমর্যাদার কর্মকর্তাদেরকে ৬০ দিনের জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেয় সরকার।

দ্বিতীয়বার ২০২৪ সালের ১৫ নভেম্বর সরকার আরও ৬০ দিনের জন্য এই ক্ষমতার মেয়াদ বাড়ায়।

তৃতীয়বার ২০২৫ সালের ১২ জানুয়ারি, চতুর্থবার ১৩ মার্চ এবং পঞ্চমবার গত ৮ মে এই মেয়াদ আরও ৬০ দিনের জন্য বাড়ানো হয়।

তবে আইনশৃঙ্খালা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ স্পষ্ট। নিয়মিতই বিভিন্ন এলাকায় সন্ত্রাসী তৎপরতার ভিডিও ছড়াচ্ছে।

এর মধ্যে এই বৈঠকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন অংশ নেন সরকারের তরফে।

বৈঠকে ছিলেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান এবং বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার মার্শাল হাসান মাহমুদ খানও।

অন্যান্য জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা এতে অংশ নেন বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টা দপ্তর।