ঢাকা ০৫:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি ও আমরা নারী’র স্তন ক্যান্সার সচেতনতা সেমিনার

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ১২:৪৫:৪০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫
  • / 112

স্তন ক্যান্সার সচেতনতা সেমিনার

অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

অক্টোবর মাস বিশ্বব্যাপী “পিঙ্ক মান্থ” বা স্তন ক্যান্সার সচেতনতা মাস হিসেবে পালিত হয়। এ উপলক্ষে ১৪ অক্টোবর ২০২৫ শনিবার ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির পাবলিক হেলথ বিভাগ, ‘আমরা নারী’ এবং এর সহযোগী সংগঠন ‘আমরা নারী রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট’-এর যৌথ উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আমিনুল ইসলাম হলে একটি সেমিনার ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সেমিনারে বিশেষজ্ঞ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের মেডিকেল অনকোলজিস্ট ডা. জাহাঙ্গীর আলম এবং শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের বন্ধ্যাত্ব বিশেষজ্ঞ ও ল্যাপারোস্কোপিক সার্জন অধ্যাপক ডা. ইশরাত জাহান (ইলা)।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আলোচনায় অংশ নেন প্রফেসর ডা. এ. বি. এম. আলাউদ্দিন চৌধুরী, প্রফেসর গিয়াস উদ্দিন আহসান, প্রফেসর ডা. এস. এম. মহবুব উল হক মজুমদার ও ডা. নাদিরা মেহরিবান।

অনুষ্ঠানে “আমরা নারী” ও “আমরা নারী রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট”-এর প্রধান সমন্বয়কারী এম  এম জাহিদুর রহমান বিপ্লব বলেন, “নারীদের নিজেদের প্রতি যত্নবান হতে হবে। নিয়মিত আত্মপরীক্ষা, স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং ভয় না পেয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া—এই পদক্ষেপগুলোই স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধের সবচেয়ে কার্যকর উপায়। আমরা চাই, স্তন ক্যান্সার আর মৃত্যুর প্রতীক না হয়ে সচেতনতার প্রতীক হয়ে উঠুক।”

তিনি জানান, অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত সময়ে ঢাকাসহ সারাদেশে মোট ৫০টি সেমিনার, সিম্পোজিয়াম ও ক্যাম্পেইনের আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে।

“আমরা নারী” একটি অরাজনৈতিক ও অলাভজনক সংগঠন, যা নারীর ক্ষমতায়ন, স্বাস্থ্যসুরক্ষা ও সামাজিক উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে নিবেদিতভাবে কাজ করে আসছে। এর সহযোগী সংগঠন “আমরা নারী রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট” নারীর অধিকার, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও নিরাপদ খাদ্য বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে।

গবেষণা অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রতি বছর গড়ে প্রায় ১৩,০০০ নারী স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হন, যার মধ্যে প্রায় অর্ধেক মৃত্যুবরণ করেন প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ শনাক্ত না হওয়ার কারণে। দেশের মোট ক্যান্সার রোগীদের প্রায় এক-ষষ্ঠাংশই স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত। নিয়মিত আত্মপরীক্ষা, ম্যামোগ্রাম এবং সচেতনতা বৃদ্ধি করলে এই মৃত্যুহার উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করা সম্ভব।

নিউজটি শেয়ার করুন

ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি ও আমরা নারী’র স্তন ক্যান্সার সচেতনতা সেমিনার

আপডেট সময় : ১২:৪৫:৪০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

অক্টোবর মাস বিশ্বব্যাপী “পিঙ্ক মান্থ” বা স্তন ক্যান্সার সচেতনতা মাস হিসেবে পালিত হয়। এ উপলক্ষে ১৪ অক্টোবর ২০২৫ শনিবার ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির পাবলিক হেলথ বিভাগ, ‘আমরা নারী’ এবং এর সহযোগী সংগঠন ‘আমরা নারী রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট’-এর যৌথ উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আমিনুল ইসলাম হলে একটি সেমিনার ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সেমিনারে বিশেষজ্ঞ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের মেডিকেল অনকোলজিস্ট ডা. জাহাঙ্গীর আলম এবং শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের বন্ধ্যাত্ব বিশেষজ্ঞ ও ল্যাপারোস্কোপিক সার্জন অধ্যাপক ডা. ইশরাত জাহান (ইলা)।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আলোচনায় অংশ নেন প্রফেসর ডা. এ. বি. এম. আলাউদ্দিন চৌধুরী, প্রফেসর গিয়াস উদ্দিন আহসান, প্রফেসর ডা. এস. এম. মহবুব উল হক মজুমদার ও ডা. নাদিরা মেহরিবান।

অনুষ্ঠানে “আমরা নারী” ও “আমরা নারী রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট”-এর প্রধান সমন্বয়কারী এম  এম জাহিদুর রহমান বিপ্লব বলেন, “নারীদের নিজেদের প্রতি যত্নবান হতে হবে। নিয়মিত আত্মপরীক্ষা, স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং ভয় না পেয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া—এই পদক্ষেপগুলোই স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধের সবচেয়ে কার্যকর উপায়। আমরা চাই, স্তন ক্যান্সার আর মৃত্যুর প্রতীক না হয়ে সচেতনতার প্রতীক হয়ে উঠুক।”

তিনি জানান, অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত সময়ে ঢাকাসহ সারাদেশে মোট ৫০টি সেমিনার, সিম্পোজিয়াম ও ক্যাম্পেইনের আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে।

“আমরা নারী” একটি অরাজনৈতিক ও অলাভজনক সংগঠন, যা নারীর ক্ষমতায়ন, স্বাস্থ্যসুরক্ষা ও সামাজিক উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে নিবেদিতভাবে কাজ করে আসছে। এর সহযোগী সংগঠন “আমরা নারী রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট” নারীর অধিকার, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও নিরাপদ খাদ্য বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে।

গবেষণা অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রতি বছর গড়ে প্রায় ১৩,০০০ নারী স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হন, যার মধ্যে প্রায় অর্ধেক মৃত্যুবরণ করেন প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ শনাক্ত না হওয়ার কারণে। দেশের মোট ক্যান্সার রোগীদের প্রায় এক-ষষ্ঠাংশই স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত। নিয়মিত আত্মপরীক্ষা, ম্যামোগ্রাম এবং সচেতনতা বৃদ্ধি করলে এই মৃত্যুহার উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করা সম্ভব।