ডাকসু ভিপি প্রার্থী গ্রেপ্তার, কারাগারে প্রেরণ
- আপডেট সময় : ০৫:৪৭:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫
- / 200
ডাকসু ভিপি প্রার্থী গ্রেপ্তার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ভিপি প্রার্থী জালাল আহমদ জালালকে তার রুমমেটকে ছুরিকাঘাতের অভিযোগে দায়ের করা হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
শাহবাগ থানার ওসি খালিদ মনসুর নিশ্চিত করেছেন যে মামলাটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দায়ের করেছে।
ওসি জানান, ২৬ আগস্ট রাতে রুমমেটকে ছুরিকাঘাতের ঘটনার পর হল ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহায়তায় পুলিশ জালালকে হেফাজতে নেয়। রাতেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। সেই মামলার ভিত্তিতে হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হলের টেলিভিশন অ্যান্ড ফিল্ম বিভাগের শিক্ষার্থী ও ডাকসু ভিপি প্রার্থী জালালকে রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) রাত সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হলের ৪৬২ নম্বর কক্ষে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী রবিউল হককে ছুরিকাঘাত করেন জালাল আহমদ।
ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জালাল আহমদকে পুলিশে সোপর্দ করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে চলমান বাগবিতণ্ডার জেরেই জালাল আহমদ রবিউলকে ছুরি দিয়ে আঘাত করেন। বর্তমানে আহত রবিউল হক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
হাসপাতালের বেডে শুয়ে রবিউল হক বলেন,
“রাত সাড়ে ১২টার দিকে জালাল রুমে এসে লাইট অন করে শব্দ করতে থাকে। এতে আমার ঘুম ভেঙে যায়। আমি বলি, সকালে লাইব্রেরিতে যেতে হবে, তাই শব্দ করলে সমস্যা হচ্ছে। তখন সে আমাকে বহিরাগত ও অবৈধ বলে গালমন্দ করে। আমি প্রতিবাদ করলে হঠাৎ আঘাত করে বসে। পরে কোনোভাবে আত্মরক্ষা করি।”
রাত ১টার দিকে হল প্রাধ্যক্ষ ড. মো. সিরাজুল ইসলাম জানান,
“এ ধরনের নৃশংস কর্মকাণ্ডের জন্য জালালকে হল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তার ছাত্রত্ব বাতিলের ব্যবস্থাও নেওয়া হবে। রাতেই শাহবাগ থানাকে জানিয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমদ বলেন,
“আসন্ন ডাকসু নির্বাচনে এই ঘটনার কোনো প্রভাব পড়বে না। জালাল আহমদের বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক অভিযোগ ছিল। আগের প্রশাসন কী ব্যবস্থা নিয়েছিল তা এখনই বলতে পারছি না। তবে আজকের ঘটনার পর সব দিক খতিয়ে দেখা হবে।”
এ ঘটনার পর অনেক শিক্ষার্থী হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হলের প্রভোস্টের পদত্যাগ দাবি করেছেন। এ প্রসঙ্গে প্রক্টর বলেন,
“আমি নিজেও দেখেছি, শিক্ষার্থীরা বিশেষ করে প্রভোস্টের পদত্যাগের দাবি জানাচ্ছে। তবে তারা যদি বুধবার উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠকে বসে নিয়মতান্ত্রিকভাবে দাবি তোলে, তাহলে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”


















