ঢাকা ০৫:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

টাওয়ার হ্যামলেটসে দোকান মালিক ও ম্যানেজারের বিরুদ্ধে ২ লাখ ১৬,০০০ পাউন্ড জরিমানা

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৪:৩২:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৫
  • / 168
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

টাওয়ার হ্যামলেটস রেগুলেটরি সার্ভিসেসের ট্রেডিং স্ট্যান্ডার্ডস কর্মকর্তারা স্থানীয় একজন খুচরা ব্যবসায়ী ও তার দোকান ব্যবস্থাপককে জাল পণ্য বিক্রির জন্য সফলভাবে অভিযুক্ত করেছেন। আদালতের আদেশ অনুযায়ী ব্যবসায়ীকে £202,231.55 এবং দোকান ব্যবস্থাপককে £14,148.47 অর্থ প্রদান করতে হবে।

তদন্তে জানা যায়তারা দুটি পৃথক ইবে ব্যবসার মাধ্যমে জাল বায়ো-অয়েল কসমেটিক পণ্য এবং পুরুষদের পোশাক বিক্রি করতেনপাশাপাশি তাদের দোকান – ৩৯ বার্ডেট রোডে (বোলন্ডন ই৩ ৪টিএন) অবস্থিত সুন্দরবন কার্গোট্রাভেল এন্ড প্রিন্টিং থেকে নকল মোবাইল ফোনের আনুষাঙ্গিকও বিক্রি করতেন।

১০ ও ১১ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে স্নেয়ার্সব্রুক ক্রাউন কোর্টের মি. রেকর্ডার বার্নেট এই আদেশ দেন। বেকটনের বার্লি এভিনিউয়ের বাসিন্দা অবু সুফিয়ানকে (বয়স ৫০) ২০০,০০০ পাউন্ডেরও বেশি অর্থ প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং **টাওয়ার হ্যামলেটস্ বোরার পট স্ট্রিটের নিউকোর্ট হাউজের বাসিন্দা মোহাম্মদ ফয়সল হাবিব (বয়স ৪৫) কে ১৪,০০০ পাউন্ডেরও বেশি অর্থ প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই অর্থ প্রসিডস অফ ক্রাইম এক্ট ২০০২ (পিটিসিএ) অনুযায়ী বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

ফেডারেশন এগেনস্ট কপিরাইট থেফট (এফএসিটি) এবং আরইএসিটি সার্ভিসেস ইউকে লিমিটেড থেকে প্রাপ্ত গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কাউন্সিল বিভিন্ন ঠিকানায় রেইড চালায়। ট্রেডিং স্ট্যান্ডার্ডস কর্মকর্তারা দোকানে প্রবেশ করলে দোকানের ফ্লোরে পুরুষদের নকল বা জাল পোশাকের বাক্স খুঁজে পান। এছাড়াও দোকানের কাউন্টারে প্রদর্শনের জন্য রাখা গ্লাস কেবিনে নকল মোবাইল ফোনের আনুষাঙ্গিকও পাওয়া যায়।

ট্রেড মেকার্স এক্ট ১৯৯৪” অনুযায়ী বিভিন্ন অপরাধের জন্য মামলাটি কাউন্সিলের অভ্যন্তরীণ লিগ্যাল সার্ভিসেস টিম পরিচালনা করেন। স্নেয়ার্সব্রোক ক্রাউন কোর্টে বিচার শুরু হয় ৫ আগস্ট ২০২৪ এ। ৮ আগস্ট ২০২৪-এ হাবিবের বিরুদ্ধে আটটি অপরাধের জন্য নির্দেশিত রায় দেওয়া হয় এবং ১৯ আগস্ট ২০২৪-এ সুফিয়ানের বিরুদ্ধে চারটি অপরাধের জন্য নির্দেশিত রায় দেওয়া হয়।

১১ ডিসেম্বর ২০২৪-এ হাবিবকে ছয় মাসের কারাদণ্ড, (১৮ মাস স্থগিত)এবং সুফিয়ানকে নয় মাসের কারাদণ্ড, (দুই বছরের জন্য স্থগিত) দেওয়া হয়। অভিযুক্তদের উভয়কে তিন মাসের মধ্যে বাজেয়াপ্ত অর্থ প্রদানের সময় দেওয়া হয়েছেনা দিলে হাবিবকে ছয় মাস এবং সুফিয়ানকে দুই বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। তবে যেকোনো পরিস্থিতিতেই তারা অর্থ ফেরত দিতে বাধ্য থাকবেনজানিয়েছে কাউন্সিল।

টাওয়ার হ্যামলেটসের ক্যাবিনেট মেম্বার ফর সেফার কমিউনিটিজকাউন্সিলর আবু তালহা চৌধুরী বলেন, “এটি আমাদের কাউন্সিলের ইতিহাসে জাল পণ্যের জন্য “প্রসিডস অব ক্রাইম” আইন ব্যবহার করে সবচেয়ে বড় অর্থ পুনরুদ্ধারের একটি ঘটনা। মোহাম্মদ ফয়সল হাবিব এবং আবু সুফিয়ান স্পষ্টভাবে আইন লঙ্ঘন করেছেনতাই তাদের এই বিশাল অর্থ প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এটি একটি সতর্কবার্তা যে আমরা অবৈধ কার্যকলাপ রুখতে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”

নিউজটি শেয়ার করুন

টাওয়ার হ্যামলেটসে দোকান মালিক ও ম্যানেজারের বিরুদ্ধে ২ লাখ ১৬,০০০ পাউন্ড জরিমানা

আপডেট সময় : ০৪:৩২:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৫

টাওয়ার হ্যামলেটস রেগুলেটরি সার্ভিসেসের ট্রেডিং স্ট্যান্ডার্ডস কর্মকর্তারা স্থানীয় একজন খুচরা ব্যবসায়ী ও তার দোকান ব্যবস্থাপককে জাল পণ্য বিক্রির জন্য সফলভাবে অভিযুক্ত করেছেন। আদালতের আদেশ অনুযায়ী ব্যবসায়ীকে £202,231.55 এবং দোকান ব্যবস্থাপককে £14,148.47 অর্থ প্রদান করতে হবে।

তদন্তে জানা যায়তারা দুটি পৃথক ইবে ব্যবসার মাধ্যমে জাল বায়ো-অয়েল কসমেটিক পণ্য এবং পুরুষদের পোশাক বিক্রি করতেনপাশাপাশি তাদের দোকান – ৩৯ বার্ডেট রোডে (বোলন্ডন ই৩ ৪টিএন) অবস্থিত সুন্দরবন কার্গোট্রাভেল এন্ড প্রিন্টিং থেকে নকল মোবাইল ফোনের আনুষাঙ্গিকও বিক্রি করতেন।

১০ ও ১১ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে স্নেয়ার্সব্রুক ক্রাউন কোর্টের মি. রেকর্ডার বার্নেট এই আদেশ দেন। বেকটনের বার্লি এভিনিউয়ের বাসিন্দা অবু সুফিয়ানকে (বয়স ৫০) ২০০,০০০ পাউন্ডেরও বেশি অর্থ প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং **টাওয়ার হ্যামলেটস্ বোরার পট স্ট্রিটের নিউকোর্ট হাউজের বাসিন্দা মোহাম্মদ ফয়সল হাবিব (বয়স ৪৫) কে ১৪,০০০ পাউন্ডেরও বেশি অর্থ প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই অর্থ প্রসিডস অফ ক্রাইম এক্ট ২০০২ (পিটিসিএ) অনুযায়ী বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

ফেডারেশন এগেনস্ট কপিরাইট থেফট (এফএসিটি) এবং আরইএসিটি সার্ভিসেস ইউকে লিমিটেড থেকে প্রাপ্ত গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কাউন্সিল বিভিন্ন ঠিকানায় রেইড চালায়। ট্রেডিং স্ট্যান্ডার্ডস কর্মকর্তারা দোকানে প্রবেশ করলে দোকানের ফ্লোরে পুরুষদের নকল বা জাল পোশাকের বাক্স খুঁজে পান। এছাড়াও দোকানের কাউন্টারে প্রদর্শনের জন্য রাখা গ্লাস কেবিনে নকল মোবাইল ফোনের আনুষাঙ্গিকও পাওয়া যায়।

ট্রেড মেকার্স এক্ট ১৯৯৪” অনুযায়ী বিভিন্ন অপরাধের জন্য মামলাটি কাউন্সিলের অভ্যন্তরীণ লিগ্যাল সার্ভিসেস টিম পরিচালনা করেন। স্নেয়ার্সব্রোক ক্রাউন কোর্টে বিচার শুরু হয় ৫ আগস্ট ২০২৪ এ। ৮ আগস্ট ২০২৪-এ হাবিবের বিরুদ্ধে আটটি অপরাধের জন্য নির্দেশিত রায় দেওয়া হয় এবং ১৯ আগস্ট ২০২৪-এ সুফিয়ানের বিরুদ্ধে চারটি অপরাধের জন্য নির্দেশিত রায় দেওয়া হয়।

১১ ডিসেম্বর ২০২৪-এ হাবিবকে ছয় মাসের কারাদণ্ড, (১৮ মাস স্থগিত)এবং সুফিয়ানকে নয় মাসের কারাদণ্ড, (দুই বছরের জন্য স্থগিত) দেওয়া হয়। অভিযুক্তদের উভয়কে তিন মাসের মধ্যে বাজেয়াপ্ত অর্থ প্রদানের সময় দেওয়া হয়েছেনা দিলে হাবিবকে ছয় মাস এবং সুফিয়ানকে দুই বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। তবে যেকোনো পরিস্থিতিতেই তারা অর্থ ফেরত দিতে বাধ্য থাকবেনজানিয়েছে কাউন্সিল।

টাওয়ার হ্যামলেটসের ক্যাবিনেট মেম্বার ফর সেফার কমিউনিটিজকাউন্সিলর আবু তালহা চৌধুরী বলেন, “এটি আমাদের কাউন্সিলের ইতিহাসে জাল পণ্যের জন্য “প্রসিডস অব ক্রাইম” আইন ব্যবহার করে সবচেয়ে বড় অর্থ পুনরুদ্ধারের একটি ঘটনা। মোহাম্মদ ফয়সল হাবিব এবং আবু সুফিয়ান স্পষ্টভাবে আইন লঙ্ঘন করেছেনতাই তাদের এই বিশাল অর্থ প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এটি একটি সতর্কবার্তা যে আমরা অবৈধ কার্যকলাপ রুখতে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”