ঢাকা ০৬:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

জুলাই সনদ নিয়ে ফের বিপরীত মেরুতে বিএনপি ও জামায়াত–এনসিপি

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৩:০৯:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫
  • / 125

জুলাই সনদ নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন প্রধান

অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের উদ্যোগে প্রণীত জুলাই সনদ প্রক্রিয়ায় শুরু থেকেই বিরোধে জড়ানো বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এবার সনদের বাস্তবায়ন নিয়েও বিপরীত অবস্থানে দাঁড়িয়েছে।

বিএনপির পক্ষ থেকে ঐকমত্য কমিশনের কর্মকাণ্ডে খোলামেলাভাবে হতাশা প্রকাশ করা হয়েছে। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশে কমিশন ‘প্রতারণার’ আশ্রয় নিয়েছে।

অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশকে স্বাগত জানিয়েছে। তারা নভেম্বরের মধ্যেই সনদ বাস্তবায়নের গণভোটের দাবিতে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এনসিপিও কমিশনের সুপারিশ সাদরে গ্রহণ করে তিন দফা দাবি তুলেছে।

সরকার বা ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া না আসায় রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রশ্ন উঠেছে, এই বিরোধের অবসান কীভাবে হবে। এরই মধ্যে শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) শেষ হচ্ছে ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ। ফলে সরকারের পরবর্তী সিদ্ধান্তের দিকেই তাকিয়ে সবাই।

পুরনো বিরোধ আবারও সামনে

বিএনপি ও জামায়াত–এনসিপির মধ্যে মতবিরোধ নতুন নয়। সংসদে উচ্চকক্ষ প্রতিষ্ঠা, সংখ্যানুপাতিক ভোটপদ্ধতি, প্রধানমন্ত্রী পদের মেয়াদ ও জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল গঠন— এসব ইস্যুতে জুলাই সনদ প্রণয়নের সময় থেকেই তাদের অবস্থান ছিল বিপরীতমুখী।

কমিশনের বৈঠকগুলোতে এই দলগুলোর মধ্যে একাধিকবার তীব্র বিতর্ক হয়েছে, এমনকি বিএনপির ওয়াকআউটও ঘটেছে। সব বিষয়ে একমত না হলেও ‘অ্যাগ্রি টু ডিজঅ্যাগ্রি’ নীতি মেনে জুলাই সনদ প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় দলগুলো অংশ নেয়। তাদের ভিন্নমত ‘নোট অব ডিসেন্ট’ আকারে সংরক্ষিত হয়।

তবে শেষ পর্যন্ত এনসিপি সনদ সই করেনি, আর মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগে বামপন্থি চার দল— সিপিবি, বাসদ, বাসদ (মার্ক্সবাদী) ও বাংলাদেশ জাসদ— অনুষ্ঠান বর্জন করে। এখন পর্যন্ত এই পাঁচ দল সনদে সই করেনি।

২৫টি দলের স্বাক্ষর থাকা সত্ত্বেও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সনদের ৮৪ প্রস্তাবের মধ্যে মাত্র ১৭টিতে ঐকমত্য এবং বাকিগুলোতে ভিন্নমত থাকা সত্ত্বেও এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি।

বাস্তবায়ন রূপরেখা নিয়েই নতুন বিরোধ

রাজনৈতিক মহলে ধারণা ছিল, বাস্তবায়নের রূপরেখা চূড়ান্ত হলে সব পক্ষের বিরোধ কমবে। কিন্তু এবার পরিস্থিতি উল্টো হয়েছে।

বিএনপির অভিযোগ, ঐকমত্য কমিশন প্রণীত বাস্তবায়ন আদেশের খসড়ায় ‘নোট অব ডিসেন্ট’ বাদ দেওয়া হয়েছে। ফলে মনে হচ্ছে, সব দলই ৮৪ প্রস্তাবে একমত হয়েছে— যা বাস্তবের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী, জুলাই সনদের গণভোটে ‘হ্যাঁ’ রায় এলে পরবর্তী জাতীয় সংসদই গঠন করবে সংবিধান সংস্কার পরিষদ, যাদের হাতে থাকবে সংবিধান সংশোধনের ক্ষমতা। বিএনপি দাবি করছে, এই পরিষদ বিষয়ে কমিশনে কখনো আলোচনা হয়নি।

এ ছাড়া গণভোটের নির্দিষ্ট তারিখ না দিয়ে “আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগের যেকোনো দিন” সুপারিশ করা নিয়েও বিএনপির অসন্তোষ রয়েছে। দলটির মতে, এই বিষয়গুলো সরকার–দলীয় আলোচনার মাধ্যমে মীমাংসা করা প্রয়োজন।

বিএনপির অভিযোগ ও প্রতিক্রিয়া

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, “জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মকাণ্ডে আমরা হতাশ। তারা যে প্রস্তাব দিয়েছে, তাতে ঐকমত্য নয়, বিভক্তি তৈরি হবে।”

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “আমরা যেসব বিষয়ে একমত ছিলাম না, সেখানে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ দিয়েছিলাম। কিন্তু কমিশন সেগুলো উপেক্ষা করেছে। এটা জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রতারণা।”

প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, “আপনি জনগণের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। নির্বাচনের প্রতিশ্রুতিতে যদি কোনো ব্যত্যয় ঘটে, তার দায় আপনাকেই নিতে হবে।”

জামায়াতের দাবি: নভেম্বরে গণভোট

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশকে স্বাগত জানিয়ে জামায়াতে ইসলামী এবার গণভোটের দাবিতে সরব। সমমনা সাত দলকে সঙ্গে নিয়ে তারা পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন চালাচ্ছে।

এই আটটি দল হলো— ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, জাগপা ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি।

জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “গণভোটের তারিখ ঘোষণায় দেরি করলে জাতীয় নির্বাচনও বিলম্বিত হবে। এখন সিদ্ধান্ত নিতে হবে সরকারকেই।”

নায়েবে আমির আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, “জাতীয় নির্বাচন না হলেও জুলাই সনদের গণভোট অবশ্যই হতে হবে, নভেম্বরের শেষের দিকেই সেটা সম্ভব।”

এনসিপির তিন দফা দাবি

সনদে এখনো সই না করলেও এনসিপি ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছে। দলীয় মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দিন পাটওয়ারী সংবাদ সম্মেলনে বলেন,
১️⃣ সনদের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করতে ‘প্রস্তাব–১’ গ্রহণ করতে হবে।
২️⃣ সংবিধান সংস্কার বিলের খসড়া উন্মুক্ত করতে হবে।
৩️⃣ বাস্তবায়ন আদেশ দ্রুত কার্যকর করতে হবে।

তিনি বলেন, “সরকার কমিশনের প্রস্তাব গ্রহণ করলে এনসিপি জুলাই সনদে সইয়ের পথে অগ্রসর হবে।”

দলটির দক্ষিণাঞ্চলীয় সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, “জুলাই সনদে এনসিপির সই পুরোপুরি নির্ভর করছে সরকারের পরবর্তী পদক্ষেপের ওপর।”

নিউজটি শেয়ার করুন

জুলাই সনদ নিয়ে ফের বিপরীত মেরুতে বিএনপি ও জামায়াত–এনসিপি

আপডেট সময় : ০৩:০৯:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের উদ্যোগে প্রণীত জুলাই সনদ প্রক্রিয়ায় শুরু থেকেই বিরোধে জড়ানো বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এবার সনদের বাস্তবায়ন নিয়েও বিপরীত অবস্থানে দাঁড়িয়েছে।

বিএনপির পক্ষ থেকে ঐকমত্য কমিশনের কর্মকাণ্ডে খোলামেলাভাবে হতাশা প্রকাশ করা হয়েছে। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশে কমিশন ‘প্রতারণার’ আশ্রয় নিয়েছে।

অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশকে স্বাগত জানিয়েছে। তারা নভেম্বরের মধ্যেই সনদ বাস্তবায়নের গণভোটের দাবিতে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এনসিপিও কমিশনের সুপারিশ সাদরে গ্রহণ করে তিন দফা দাবি তুলেছে।

সরকার বা ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া না আসায় রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রশ্ন উঠেছে, এই বিরোধের অবসান কীভাবে হবে। এরই মধ্যে শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) শেষ হচ্ছে ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ। ফলে সরকারের পরবর্তী সিদ্ধান্তের দিকেই তাকিয়ে সবাই।

পুরনো বিরোধ আবারও সামনে

বিএনপি ও জামায়াত–এনসিপির মধ্যে মতবিরোধ নতুন নয়। সংসদে উচ্চকক্ষ প্রতিষ্ঠা, সংখ্যানুপাতিক ভোটপদ্ধতি, প্রধানমন্ত্রী পদের মেয়াদ ও জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল গঠন— এসব ইস্যুতে জুলাই সনদ প্রণয়নের সময় থেকেই তাদের অবস্থান ছিল বিপরীতমুখী।

কমিশনের বৈঠকগুলোতে এই দলগুলোর মধ্যে একাধিকবার তীব্র বিতর্ক হয়েছে, এমনকি বিএনপির ওয়াকআউটও ঘটেছে। সব বিষয়ে একমত না হলেও ‘অ্যাগ্রি টু ডিজঅ্যাগ্রি’ নীতি মেনে জুলাই সনদ প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় দলগুলো অংশ নেয়। তাদের ভিন্নমত ‘নোট অব ডিসেন্ট’ আকারে সংরক্ষিত হয়।

তবে শেষ পর্যন্ত এনসিপি সনদ সই করেনি, আর মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগে বামপন্থি চার দল— সিপিবি, বাসদ, বাসদ (মার্ক্সবাদী) ও বাংলাদেশ জাসদ— অনুষ্ঠান বর্জন করে। এখন পর্যন্ত এই পাঁচ দল সনদে সই করেনি।

২৫টি দলের স্বাক্ষর থাকা সত্ত্বেও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সনদের ৮৪ প্রস্তাবের মধ্যে মাত্র ১৭টিতে ঐকমত্য এবং বাকিগুলোতে ভিন্নমত থাকা সত্ত্বেও এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি।

বাস্তবায়ন রূপরেখা নিয়েই নতুন বিরোধ

রাজনৈতিক মহলে ধারণা ছিল, বাস্তবায়নের রূপরেখা চূড়ান্ত হলে সব পক্ষের বিরোধ কমবে। কিন্তু এবার পরিস্থিতি উল্টো হয়েছে।

বিএনপির অভিযোগ, ঐকমত্য কমিশন প্রণীত বাস্তবায়ন আদেশের খসড়ায় ‘নোট অব ডিসেন্ট’ বাদ দেওয়া হয়েছে। ফলে মনে হচ্ছে, সব দলই ৮৪ প্রস্তাবে একমত হয়েছে— যা বাস্তবের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী, জুলাই সনদের গণভোটে ‘হ্যাঁ’ রায় এলে পরবর্তী জাতীয় সংসদই গঠন করবে সংবিধান সংস্কার পরিষদ, যাদের হাতে থাকবে সংবিধান সংশোধনের ক্ষমতা। বিএনপি দাবি করছে, এই পরিষদ বিষয়ে কমিশনে কখনো আলোচনা হয়নি।

এ ছাড়া গণভোটের নির্দিষ্ট তারিখ না দিয়ে “আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগের যেকোনো দিন” সুপারিশ করা নিয়েও বিএনপির অসন্তোষ রয়েছে। দলটির মতে, এই বিষয়গুলো সরকার–দলীয় আলোচনার মাধ্যমে মীমাংসা করা প্রয়োজন।

বিএনপির অভিযোগ ও প্রতিক্রিয়া

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, “জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মকাণ্ডে আমরা হতাশ। তারা যে প্রস্তাব দিয়েছে, তাতে ঐকমত্য নয়, বিভক্তি তৈরি হবে।”

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “আমরা যেসব বিষয়ে একমত ছিলাম না, সেখানে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ দিয়েছিলাম। কিন্তু কমিশন সেগুলো উপেক্ষা করেছে। এটা জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রতারণা।”

প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, “আপনি জনগণের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। নির্বাচনের প্রতিশ্রুতিতে যদি কোনো ব্যত্যয় ঘটে, তার দায় আপনাকেই নিতে হবে।”

জামায়াতের দাবি: নভেম্বরে গণভোট

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশকে স্বাগত জানিয়ে জামায়াতে ইসলামী এবার গণভোটের দাবিতে সরব। সমমনা সাত দলকে সঙ্গে নিয়ে তারা পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন চালাচ্ছে।

এই আটটি দল হলো— ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, জাগপা ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি।

জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “গণভোটের তারিখ ঘোষণায় দেরি করলে জাতীয় নির্বাচনও বিলম্বিত হবে। এখন সিদ্ধান্ত নিতে হবে সরকারকেই।”

নায়েবে আমির আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, “জাতীয় নির্বাচন না হলেও জুলাই সনদের গণভোট অবশ্যই হতে হবে, নভেম্বরের শেষের দিকেই সেটা সম্ভব।”

এনসিপির তিন দফা দাবি

সনদে এখনো সই না করলেও এনসিপি ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছে। দলীয় মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দিন পাটওয়ারী সংবাদ সম্মেলনে বলেন,
১️⃣ সনদের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করতে ‘প্রস্তাব–১’ গ্রহণ করতে হবে।
২️⃣ সংবিধান সংস্কার বিলের খসড়া উন্মুক্ত করতে হবে।
৩️⃣ বাস্তবায়ন আদেশ দ্রুত কার্যকর করতে হবে।

তিনি বলেন, “সরকার কমিশনের প্রস্তাব গ্রহণ করলে এনসিপি জুলাই সনদে সইয়ের পথে অগ্রসর হবে।”

দলটির দক্ষিণাঞ্চলীয় সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, “জুলাই সনদে এনসিপির সই পুরোপুরি নির্ভর করছে সরকারের পরবর্তী পদক্ষেপের ওপর।”