ঢাকা ১২:২১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আরও ৩০ দেশের নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা খাঁচা থেকে বের হওয়া সিংহী আড়াই ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে লন্ডনে ফ্লাই রবিবার, নির্জন কারাবাস থেকেই খালেদা জিয়ার ‘নানা রোগের সূচনা’ জানালেন ফখরুল মহাকাশ থেকে পবিত্র  কাবা শরিফের উজ্জ্বল ছবি আন্দোলনে থাকা প্রাথমিকের শিক্ষকদের বদলি, ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি স্থগিত তারেক রহমানের দেশে ফেরা আবার অনিশ্চিত, কীভাবে ভোটার হবেন? খালেদা জিয়া ছাড়া পরিবারের কেউ ভিভিআইপি সুবিধা পাবেন না কুকুরছানা হত্যা মামলায় মায়ের সঙ্গে কারাগারে ২ বছরের শিশু খালেদা জিয়াকে লন্ডন নিতে ঢাকায় আসছেন জুবাইদা যুক্তরাজ্যের ৯ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী!

জীবন সঙ্কটে নারায়ণগঞ্জের সেই কাউন্সিলরের স্ত্রীর মিলছে না আইসিইউ

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৪:১২:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩১ মে ২০২০
  • / 1332
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ঢাকার পরে সবচেয়ে বেশি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে বন্দর নগরী নারায়ণগঞ্জ। শুরু থেকেই এই করোনা মহামারিতে জীবনবাজি রেখে একের পর এক ৬১টি লাশ দাফন করা নারায়ণগঞ্জের সুপরিচিত মুখ,মানবতার ফেরিওয়ালা খ্যাত কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের স্ত্রীর জীবন আশঙ্কাজনক।

শ্বাসকষ্টের জন্য অক্সিজেন লাগানো হয়েছে তাঁর স্ত্রী লুনার নাকে।একটু দোয়া করার জন্য সবার কাছে আঁকুতি জানিয়েছেন।

শনিবার রাতে নারায়ণগঞ্জে আইসিইউ না পেয়ে কাঁচপুর সাজেদা হাসপাতালে তিনি তার স্ত্রীকে নিয়ে যান।সেখানে আইসিইউ পেতে হয়ত সকাল হয়ে যাবে বলে তিনি জানান,বাঁচা মরা তো আল্লাহর হাতে।

তিনি আরও বলেন, করোনায় আক্রান্ত হয়ে আমার স্ত্রী আফরোজা খন্দকার লুনার শ্বাসকষ্ট বাড়ার পাশাপাশি পুরো শরীর নিস্তেজ হয়ে গেছে। বিশেষ করে আমার ( খোরশেদ) করোনা পজিটিভ হওয়ার খবরে আরও বেশি ভেঙ্গে পড়েছে সে।

তিনি আরো জানান, শনিবার বিকালে লুনার অবস্থার অবনতি হলে আইসিইউর ব্যবস্থা করতে মাথার ঘাম পায়ে ফেলেছি। নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকায় আইসিইউ ম্যানেজ করতে পারি নি। আমার স্ত্রীর অবস্থা খুবই খারাপ।

কোথাও আইসিইউ খালি পাচ্ছি না। নারায়ণগঞ্জে শুধু সাজেদা হাসপাতালে চারটি আইসিইউ বেড রয়েছে। সেগুলোও পরিপূর্ণ। আর কোথাও নেই।
শনিবার করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের। এর আগে তার স্ত্রী করোনায় আক্রান্ত হয়ে আইসোলেশনে বাড়িতেই ছিলেন।

কাউন্সিলর খোরশেদ বলেন, আমি রিপোর্ট পেয়েছি। এতে আমার দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। করোনা শুরু হওয়ার পর থেকে গেল শুক্রবার পর্যন্ত ৬১টি লাশ দাফন করেছি আমি।এখন নিজ বাড়িতেই আইসোলেশনে চলে গেছি। আমি নিজে চিকিৎসা নেব বাড়িতে থেকে। তিনি বলেন, আমি আক্রান্ত হলেও আমার সকল কার্যক্রম চলবে।

আমার টিম সক্রিয় থাকবে। আমার ফোন চালু থাকবে সার্বক্ষণিক।আমি যতদিন বেঁচে আছি এক বিন্দুও নড়ব না।আল্লাহর ইচ্ছেতেই আমার করোনা হয়েছে,তাই যতদিন বেঁচে আছি মানুষের পাশে থাকবো,করোনার ভয়ে পিছপা হবো না ইনশাআল্লাহ।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

জীবন সঙ্কটে নারায়ণগঞ্জের সেই কাউন্সিলরের স্ত্রীর মিলছে না আইসিইউ

আপডেট সময় : ০৪:১২:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩১ মে ২০২০

ঢাকার পরে সবচেয়ে বেশি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে বন্দর নগরী নারায়ণগঞ্জ। শুরু থেকেই এই করোনা মহামারিতে জীবনবাজি রেখে একের পর এক ৬১টি লাশ দাফন করা নারায়ণগঞ্জের সুপরিচিত মুখ,মানবতার ফেরিওয়ালা খ্যাত কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের স্ত্রীর জীবন আশঙ্কাজনক।

শ্বাসকষ্টের জন্য অক্সিজেন লাগানো হয়েছে তাঁর স্ত্রী লুনার নাকে।একটু দোয়া করার জন্য সবার কাছে আঁকুতি জানিয়েছেন।

শনিবার রাতে নারায়ণগঞ্জে আইসিইউ না পেয়ে কাঁচপুর সাজেদা হাসপাতালে তিনি তার স্ত্রীকে নিয়ে যান।সেখানে আইসিইউ পেতে হয়ত সকাল হয়ে যাবে বলে তিনি জানান,বাঁচা মরা তো আল্লাহর হাতে।

তিনি আরও বলেন, করোনায় আক্রান্ত হয়ে আমার স্ত্রী আফরোজা খন্দকার লুনার শ্বাসকষ্ট বাড়ার পাশাপাশি পুরো শরীর নিস্তেজ হয়ে গেছে। বিশেষ করে আমার ( খোরশেদ) করোনা পজিটিভ হওয়ার খবরে আরও বেশি ভেঙ্গে পড়েছে সে।

তিনি আরো জানান, শনিবার বিকালে লুনার অবস্থার অবনতি হলে আইসিইউর ব্যবস্থা করতে মাথার ঘাম পায়ে ফেলেছি। নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকায় আইসিইউ ম্যানেজ করতে পারি নি। আমার স্ত্রীর অবস্থা খুবই খারাপ।

কোথাও আইসিইউ খালি পাচ্ছি না। নারায়ণগঞ্জে শুধু সাজেদা হাসপাতালে চারটি আইসিইউ বেড রয়েছে। সেগুলোও পরিপূর্ণ। আর কোথাও নেই।
শনিবার করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের। এর আগে তার স্ত্রী করোনায় আক্রান্ত হয়ে আইসোলেশনে বাড়িতেই ছিলেন।

কাউন্সিলর খোরশেদ বলেন, আমি রিপোর্ট পেয়েছি। এতে আমার দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। করোনা শুরু হওয়ার পর থেকে গেল শুক্রবার পর্যন্ত ৬১টি লাশ দাফন করেছি আমি।এখন নিজ বাড়িতেই আইসোলেশনে চলে গেছি। আমি নিজে চিকিৎসা নেব বাড়িতে থেকে। তিনি বলেন, আমি আক্রান্ত হলেও আমার সকল কার্যক্রম চলবে।

আমার টিম সক্রিয় থাকবে। আমার ফোন চালু থাকবে সার্বক্ষণিক।আমি যতদিন বেঁচে আছি এক বিন্দুও নড়ব না।আল্লাহর ইচ্ছেতেই আমার করোনা হয়েছে,তাই যতদিন বেঁচে আছি মানুষের পাশে থাকবো,করোনার ভয়ে পিছপা হবো না ইনশাআল্লাহ।