চীনের দিকে বাংলাদেশের ঝুঁকে পড়ার ঝুঁকি সম্পর্কে বোঝাবেন নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত
- আপডেট সময় : ০৭:১০:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
- / 97
চীন এবং দেশটির সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সহযোগিতায় কী ধরনের ‘ঝুঁকি’ রয়েছে, তা ব্যাখ্যা করতে বাংলাদেশের সরকার ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন।
বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের সেনেটের ফরেন রিলেশনস কমিটির শুনানিতে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশের সাবমেরিন ঘাঁটি ‘সংস্কার’ এবং ‘২০টি চীনা যুদ্ধবিমান কেনা’ প্রসঙ্গ তুলে এক প্রশ্নে ক্রিস্টেনসেন বলেন, “পুরো দক্ষিণ এশিয়ায় চীনা প্রভাব নিয়ে আপনার উদ্বেগের সঙ্গে আমি একমত। এবং (রাষ্ট্রদূত হিসেবে) নিশ্চিত হলে, চীনের কার্যক্রম ও তাদের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সমুদ্রবিষয়ক খাত এবং গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে সম্পৃক্ততার ঝুঁকি স্পষ্ট করতে আমি বাংলাদেশ সরকার ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে আলোচনায় যুক্ত হব।
“একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে, বিশেষ করে দুই দেশের সামরিক বাহিনীর আরও নিবিড় অংশীদারত্বের ফলে যে সুযোগ ও সুফল মিলবে, তা তুলে ধরব।”
এর আগে লিখিত বক্তব্যে ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেন, “বিশ্বের অষ্টম জনবহুল দেশ হলেও বড় প্রতিবেশিদের ছায়ায় থাকায় বাংলাদেশ যথাযথ মনোযোগ পায় না। ফরেন সার্ভিসে যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশ নীতি নিয়ে ২০ বছরেরও বেশি সময় কাজের অভিজ্ঞতা আমার রয়েছে, যার মধ্যে ঢাকায় কর্মকালও অন্তর্ভুক্ত।
“তাই আমি দেশটির গুরুত্ব এবং সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের তাৎপর্য গভীরভাবে বুঝি। কৌশলগত অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ অবাধ, নিরাপদ ও সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হয়ে উঠেছে।”
বাংলাদেশ এখন ‘গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে রয়েছে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, “২০২৪ সালের অগাস্টে ছাত্রদের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা বিক্ষোভ ১৫ বছর শাসনকারী সরকারের পতন ঘটিয়েছে। নতুন সরকার এবং নতুন পথনির্দেশ পেতে আগামী বছরের শুরুতে ভোট দিতে যাচ্ছে বাংলাদেশের জনগণ, যা কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ নির্বাচন হবে।
“উজ্জ্বল ও গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের পথে বাংলাদেশের যাত্রায় যুক্তরাষ্ট্র তাদের পাশে আছে। রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিশ্চিত হলে, আমি ঢাকায় দূতাবাসের সহকর্মীদের সঙ্গে মিলে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত পরবর্তী সরকারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র–বাংলাদেশ সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার কাজ করব।”
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনার দিকটি তুলে ধরে ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেন, রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পেলে তিনি বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধি, বাণিজ্য বাধা ও ঘাটতি হ্রাস এবং দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে কাজ করবেন।


















