ঢাকা ০৩:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
আরও পেছাল খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রা ইসলামে পারিবারিক নির্যাতনের কোনো স্থান নেই-শায়খ আব্দুল কাইয়ুম লিবিয়া থেকে ৩১০ বাংলাদেশি দেশে ফিরলেন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আরও ৩০ দেশের নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা খাঁচা থেকে বের হওয়া সিংহী আড়াই ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে লন্ডনে ফ্লাই রবিবার, নির্জন কারাবাস থেকেই খালেদা জিয়ার ‘নানা রোগের সূচনা’ জানালেন ফখরুল মহাকাশ থেকে পবিত্র  কাবা শরিফের উজ্জ্বল ছবি আন্দোলনে থাকা প্রাথমিকের শিক্ষকদের বদলি, ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি স্থগিত তারেক রহমানের দেশে ফেরা আবার অনিশ্চিত, কীভাবে ভোটার হবেন? খালেদা জিয়া ছাড়া পরিবারের কেউ ভিভিআইপি সুবিধা পাবেন না

উপদেষ্টা মাহফুজ-আসিফের সঙ্গে এনসিপির কোনো সম্পর্ক নেই
সংবাদ সম্মেলনে নেতাদের দাবি

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০২:৫৪:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫
  • / 253
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, সরকারে থাকা দুই ছাত্র উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সঙ্গে এনসিপির কোনও রাজনৈতিক সম্পর্ক নেই। তারা গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে আহত ও শহীদ পরিবারের স্বার্থ আদায়ে সরকারে যোগ দেন।
শনিবার (২৪ মে ২০২৫) দুপুর সাড়ে ১২টায় বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে সমসাময়িক পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, দুই ছাত্র উপদেষ্টাকে কেউ কেউ এনসিপির প্রতিনিধি বলে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। আমাদের সুস্পষ্ট বক্তব্য, তারা এনসিপির কেউ নন। তারা রাজনীতি করতে চাইলে আগে পদত্যাগ করতে হবে। যেমনটি আমি করেছি। এখন তারা তাদের পরবর্তী স্ট্র্যাটেজি কী করবেন এ নিয়ে আমাদের বলার কিছু নেই।
জুলাই ঘোষণাপত্র, বিচার-সংস্কার ও নির্বাচনি রোডম্যাপ একত্রে প্রকাশ করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান এনসিপি নেতারা। সেই সাথে সেনাবাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, তাদের যে কাজ, সেটাই যেন তারা পালন করেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ”আমরা মনে করি, এই অন্তর্বতী সরকার একটি গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষিতে তৈরি হয়েছে, ফলে সেই আকাঙ্খা বাস্তবায়নের একটা দায়বদ্ধতা রয়েছে। শুধু নির্বাচন আয়োজন নয়, বরং জুলাই গণহত্যাসহ বিগত সময়ের অপরাধসমুহের বিচার, রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার মধ্য দিয়েই সরকারকে নির্বাচনের দিকে যেতে হবে। তাই আমাদের আহ্বান থাকবে, ড. মুহাম্মদ ইউনূস দায়িত্বে থেকেই রাজনৈতিকভাবে সকল পক্ষের সাথে আলোচনা করে একটি সমাধানের দিকে যাবেন। আমরা মনে করি, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র, বিচার-সংস্কার এবং নির্বাচন, এই তিনটির রোডম্যাপ একত্রে প্রকাশ করা উচিত। তাহলে জনমনে এবং সকল রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এক ধরনের স্বস্তি ও আস্থার জায়গা তৈরি হবে”, বলেছেন নাহিদ ইসলাম।
তিনি বলেন, ”তাই অন্তর্বতী সরকারের প্রতি আমাদের আহ্বান, জুলাই সনদ, বিচার-সংস্কার ও নির্বাচনি রোডম্যাপ একত্রে ঘোষণা করা। সবার সাথে আলোচনা করে একটি সুষ্ঠু সমাধানের দিকে যাওয়া। পাশাপাশি আমাদের রাজনৈতিক দলের সবাইকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে।”
সেনাবাহিনী প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম বলেন, ”সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ৬২৬ জনের একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, যেটা আমরা দীর্ঘদিন ধরে শুনে আসছিলাম। এই তালিকা যদি আরো আগে প্রকাশ করা হতো, যেহেতু এটা অগাস্ট মাসের ঘটনা, তাহলে জনগণের মধ্যে কোন ধরনের সন্দেহ আর শঙ্কা তৈরি হতো না, প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলার যোগ পেতো না। আমরা চাই, সেনাবাহিনী সার্বভৌমত্বের প্রতি, গণঅভ্যুত্থানের প্রতি যে ভূমিকা পালন করছে, সেটা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু একই সাথে আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাসে বিভিন্ন সময় দেখেছি, সেনাবাহিনীর সাথে একটা রাজনৈতিক সম্পর্ক কখনো কখনো তৈরি হয়, আমরা ওয়ান ইলেভেনের ঘটনা জানি। এসব ঘটনা কিন্তু আমাদের গণতন্ত্রের জন্য, আমাদের রাষ্ট্রের জন্য, সেনাবাহিনী প্রতিষ্ঠান হিসাবে কারো জন্যই ভালো ফলাফল নিয়ে আসেনি। সেই বিষয়টা যেন আমরা সকলেই বিবেচনা করি। যার যেটা কাজ, যেটা দায়িত্ব, সেটাই যাতে সে পালন করে।”
নাহিদ ইসলাম বলেন, ”বিগত আমলে রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণ করা হয়েছে। আমলাতন্ত্র, পুলিশ, সেনাবাহিনী- তাদের দিয়ে নানারকম মানবতাবিরোধী কাজের অভিযোগ রয়েছে। ফলে প্রত্যেকটা প্রতিষ্ঠান, এই সময়ে এসে একটা বিচারেরমধ্য দিয়ে যারা অভিযুক্ত তাদের শাসেস্তা করবে এবং প্রতিষ্ঠানগুলোকে রাষ্ট্রীয় জনগণের প্রতিষ্ঠান হিসাবে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করবে, এটা আমাদের প্রত্যাশা। গুমের অভিযোগ যেসকল সেনা অফিসারের বিরুদ্ধে রয়েছে, তাদের মধ্যে অনেকেই গ্রেফতার হয়নি। তাদের অবস্থান কি, সেটা আমরা এখনো জানি না। সুতরাং এই বিষয়গুলো সুস্পষ্ট করলে সেনাবাহিনী প্রতিষ্ঠান হিসাবে আরো বেশি জনগণের আস্থার জায়গা পাবে, আমরা সেই আস্থার জায়গা সেনাবাহিনীকে দিতে চাই।”
সম্প্রতি ইশরাক হোসেনের ঢাকা দক্ষিণের মেয়র পদে দায়িত্ব গ্রহণ নিয়ে বিএনপি ও এনসিপি অনেকটা মুখোমুখি অবস্থানে চলে গেছে। সেই প্রসঙ্গ সরাসরি উল্লেখ না করলেও স্থানীয় সরকার নিয়ে কথা বলেছেন নাহিদ ইসলাম।
তিনি বলেন, ”এছাড়া আওয়ামী আমলের যে নির্বাচনগুলো আদালতে গিয়ে একধরনের বৈধতা দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে, সেটা একপ্রকার বিশৃঙ্খলা সৃষ্ঠি করবে। সেটা নিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না করে আমাদের স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দিকে যাওয়া উচিত।”
সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবিতে ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে এনসিপি। সেই প্রসঙ্গ নাহিদ ইসলাম বলেন, ”নির্বাচন কমিশনের যে নিরপেক্ষতা, আস্থা তারা হারিয়েছে বলে আমরা মনে করি। নির্বাচন কমিশন আস্থার জায়গা ধরে রাখতে না পারলে তাদের পক্ষে একটা সুস্থ নির্বাচন দেওয়া সম্ভব নয়। ফলে নির্বাচন কমিশনকে সেই আস্থার জায়গায় আসার চেষ্টা করতে হবে অথবা তাদের দায়িত্ব ছেড়ে দিতে হবে।”
সংবাদ সম্মেলনে আরও ছিলেন– এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

উপদেষ্টা মাহফুজ-আসিফের সঙ্গে এনসিপির কোনো সম্পর্ক নেই
সংবাদ সম্মেলনে নেতাদের দাবি

আপডেট সময় : ০২:৫৪:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, সরকারে থাকা দুই ছাত্র উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সঙ্গে এনসিপির কোনও রাজনৈতিক সম্পর্ক নেই। তারা গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে আহত ও শহীদ পরিবারের স্বার্থ আদায়ে সরকারে যোগ দেন।
শনিবার (২৪ মে ২০২৫) দুপুর সাড়ে ১২টায় বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে সমসাময়িক পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, দুই ছাত্র উপদেষ্টাকে কেউ কেউ এনসিপির প্রতিনিধি বলে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। আমাদের সুস্পষ্ট বক্তব্য, তারা এনসিপির কেউ নন। তারা রাজনীতি করতে চাইলে আগে পদত্যাগ করতে হবে। যেমনটি আমি করেছি। এখন তারা তাদের পরবর্তী স্ট্র্যাটেজি কী করবেন এ নিয়ে আমাদের বলার কিছু নেই।
জুলাই ঘোষণাপত্র, বিচার-সংস্কার ও নির্বাচনি রোডম্যাপ একত্রে প্রকাশ করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান এনসিপি নেতারা। সেই সাথে সেনাবাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, তাদের যে কাজ, সেটাই যেন তারা পালন করেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ”আমরা মনে করি, এই অন্তর্বতী সরকার একটি গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষিতে তৈরি হয়েছে, ফলে সেই আকাঙ্খা বাস্তবায়নের একটা দায়বদ্ধতা রয়েছে। শুধু নির্বাচন আয়োজন নয়, বরং জুলাই গণহত্যাসহ বিগত সময়ের অপরাধসমুহের বিচার, রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার মধ্য দিয়েই সরকারকে নির্বাচনের দিকে যেতে হবে। তাই আমাদের আহ্বান থাকবে, ড. মুহাম্মদ ইউনূস দায়িত্বে থেকেই রাজনৈতিকভাবে সকল পক্ষের সাথে আলোচনা করে একটি সমাধানের দিকে যাবেন। আমরা মনে করি, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র, বিচার-সংস্কার এবং নির্বাচন, এই তিনটির রোডম্যাপ একত্রে প্রকাশ করা উচিত। তাহলে জনমনে এবং সকল রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এক ধরনের স্বস্তি ও আস্থার জায়গা তৈরি হবে”, বলেছেন নাহিদ ইসলাম।
তিনি বলেন, ”তাই অন্তর্বতী সরকারের প্রতি আমাদের আহ্বান, জুলাই সনদ, বিচার-সংস্কার ও নির্বাচনি রোডম্যাপ একত্রে ঘোষণা করা। সবার সাথে আলোচনা করে একটি সুষ্ঠু সমাধানের দিকে যাওয়া। পাশাপাশি আমাদের রাজনৈতিক দলের সবাইকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে।”
সেনাবাহিনী প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম বলেন, ”সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ৬২৬ জনের একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, যেটা আমরা দীর্ঘদিন ধরে শুনে আসছিলাম। এই তালিকা যদি আরো আগে প্রকাশ করা হতো, যেহেতু এটা অগাস্ট মাসের ঘটনা, তাহলে জনগণের মধ্যে কোন ধরনের সন্দেহ আর শঙ্কা তৈরি হতো না, প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলার যোগ পেতো না। আমরা চাই, সেনাবাহিনী সার্বভৌমত্বের প্রতি, গণঅভ্যুত্থানের প্রতি যে ভূমিকা পালন করছে, সেটা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু একই সাথে আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাসে বিভিন্ন সময় দেখেছি, সেনাবাহিনীর সাথে একটা রাজনৈতিক সম্পর্ক কখনো কখনো তৈরি হয়, আমরা ওয়ান ইলেভেনের ঘটনা জানি। এসব ঘটনা কিন্তু আমাদের গণতন্ত্রের জন্য, আমাদের রাষ্ট্রের জন্য, সেনাবাহিনী প্রতিষ্ঠান হিসাবে কারো জন্যই ভালো ফলাফল নিয়ে আসেনি। সেই বিষয়টা যেন আমরা সকলেই বিবেচনা করি। যার যেটা কাজ, যেটা দায়িত্ব, সেটাই যাতে সে পালন করে।”
নাহিদ ইসলাম বলেন, ”বিগত আমলে রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণ করা হয়েছে। আমলাতন্ত্র, পুলিশ, সেনাবাহিনী- তাদের দিয়ে নানারকম মানবতাবিরোধী কাজের অভিযোগ রয়েছে। ফলে প্রত্যেকটা প্রতিষ্ঠান, এই সময়ে এসে একটা বিচারেরমধ্য দিয়ে যারা অভিযুক্ত তাদের শাসেস্তা করবে এবং প্রতিষ্ঠানগুলোকে রাষ্ট্রীয় জনগণের প্রতিষ্ঠান হিসাবে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করবে, এটা আমাদের প্রত্যাশা। গুমের অভিযোগ যেসকল সেনা অফিসারের বিরুদ্ধে রয়েছে, তাদের মধ্যে অনেকেই গ্রেফতার হয়নি। তাদের অবস্থান কি, সেটা আমরা এখনো জানি না। সুতরাং এই বিষয়গুলো সুস্পষ্ট করলে সেনাবাহিনী প্রতিষ্ঠান হিসাবে আরো বেশি জনগণের আস্থার জায়গা পাবে, আমরা সেই আস্থার জায়গা সেনাবাহিনীকে দিতে চাই।”
সম্প্রতি ইশরাক হোসেনের ঢাকা দক্ষিণের মেয়র পদে দায়িত্ব গ্রহণ নিয়ে বিএনপি ও এনসিপি অনেকটা মুখোমুখি অবস্থানে চলে গেছে। সেই প্রসঙ্গ সরাসরি উল্লেখ না করলেও স্থানীয় সরকার নিয়ে কথা বলেছেন নাহিদ ইসলাম।
তিনি বলেন, ”এছাড়া আওয়ামী আমলের যে নির্বাচনগুলো আদালতে গিয়ে একধরনের বৈধতা দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে, সেটা একপ্রকার বিশৃঙ্খলা সৃষ্ঠি করবে। সেটা নিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না করে আমাদের স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দিকে যাওয়া উচিত।”
সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবিতে ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে এনসিপি। সেই প্রসঙ্গ নাহিদ ইসলাম বলেন, ”নির্বাচন কমিশনের যে নিরপেক্ষতা, আস্থা তারা হারিয়েছে বলে আমরা মনে করি। নির্বাচন কমিশন আস্থার জায়গা ধরে রাখতে না পারলে তাদের পক্ষে একটা সুস্থ নির্বাচন দেওয়া সম্ভব নয়। ফলে নির্বাচন কমিশনকে সেই আস্থার জায়গায় আসার চেষ্টা করতে হবে অথবা তাদের দায়িত্ব ছেড়ে দিতে হবে।”
সংবাদ সম্মেলনে আরও ছিলেন– এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।