ঢাকা ০৭:০৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ইসলামে পারিবারিক নির্যাতনের কোনো স্থান নেই-শায়খ আব্দুল কাইয়ুম লিবিয়া থেকে ৩১০ বাংলাদেশি দেশে ফিরলেন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আরও ৩০ দেশের নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা খাঁচা থেকে বের হওয়া সিংহী আড়াই ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে লন্ডনে ফ্লাই রবিবার, নির্জন কারাবাস থেকেই খালেদা জিয়ার ‘নানা রোগের সূচনা’ জানালেন ফখরুল মহাকাশ থেকে পবিত্র  কাবা শরিফের উজ্জ্বল ছবি আন্দোলনে থাকা প্রাথমিকের শিক্ষকদের বদলি, ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি স্থগিত তারেক রহমানের দেশে ফেরা আবার অনিশ্চিত, কীভাবে ভোটার হবেন? খালেদা জিয়া ছাড়া পরিবারের কেউ ভিভিআইপি সুবিধা পাবেন না কুকুরছানা হত্যা মামলায় মায়ের সঙ্গে কারাগারে ২ বছরের শিশু

ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ থেকে বাটা-কেএফসি ভাংচুর : ৪ মামলা, গ্রেপ্তারে সাঁড়াশি অভিযান

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৬:৪৩:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫
  • / 249
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গাজায় ইসরায়েলি অভিযানের প্রতিবাদে বিক্ষোভ থেকে বাটা, কেএফসিসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনায় কঠোর হওয়ার বার্তা দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। সোমবারের ওই সব হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৪৯ জনকে গ্রেপ্তারের তথ্য জানিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই সহিংসতা ও ধ্বংসযজ্ঞের জন্য দায়ী সবাইকে গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত এই অভিযান চলবে। এসব ঘটনায় এখন পর্যন্ত চার‌টি মামলা দায়ের হ‌য়ে‌ছে।

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল ২০২৫) প্রধান উপদেষ্টার ফেইসবুক পাতায় এক পোস্টে এই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। এর আগে সোমবার হামলা-ভাংচুরের পরপরই জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল পুলিশকে। ফিলিস্তিনের গাজায় দেড় বছরের বেশি সময় ধরে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। এই যুদ্ধে অর্ধ লক্ষাধিক ফিলিস্তিনি এরই মধ্যে নিহত হয়েছে, যার একটি বড় অংশ শিশু।

গাজায় ইসরায়েল গণহত্যা চালাচ্ছে অভিযোগ তুলে বিশ্বব্যাপী সোচ্চার অধিকারকর্মীরা। ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীগুলো সোমবার সারাবিশ্বে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশের জেলায় জেলায় ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ হয়। সিলেটে বিক্ষোভকারীদের একটি অংশ বাটা ও কেএফসির মালিকানায় ইহুদিরা থাকার কথা তুলে প্রতিষ্ঠান দুটিতে ব্যাপক হামলা ও লুটপাট চালায়।

বিনিয়োগ সম্মেলনে অংশ নিতে বিশ্বের ৪০টি দেশের ব্যবসায়ীরা যখন ঢাকায়, তখন সিলেটে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের ওপর হামলার ঘটনায় সরকারও তৎপর হয়।

প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ চলাকালে সিলেটসহ বিভিন্ন শহরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ। এসব ঘটনায় দুটি মামলায় হয়েছে জানিয়ে ফেইসবুক পোস্টে বলা হয়, আরও মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। এখন পর্যন্ত সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগে কমপক্ষে ৪৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বিক্ষোভের সময় ধারণ করা ভিডিও পর্যালোচনা করছে বলেও জানানো হয়েছে। তদন্তে সহায়তা করতে পারে এমন তথ্য যাদের কাছে আছে, তাদের সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছে সরকার।

এর আগে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেছিলেন, “আমাদের কাছে হামলাকারীদের ভিডিও ফুটেজ আছে। তাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে, অবিলম্বে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।” তিনি আরও বলেন, “সরকার কোনো ন্যায়সঙ্গত বিক্ষোভে বাধা দেয় না। তবে প্রতিবাদ কর্মসূচির আড়ালে কোনও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সহ্য করা হবে না।”

এদিকে চার দিনব্যাপী বিনিয়োগ সম্মেলন শুরুর দিনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ওপর হামলাকে ‘ন্যক্কারজনক দৃষ্টান্ত’ এর নিন্দা জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন। তিনি বলেছেন, “যখন আমরা বাংলাদেশকে বিনিয়োগের জন্য ইতিবাচকভাবে তুলে ধরতে শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন করছি, তখন এ ধরনের ন্যক্কারজনক দৃষ্টান্ত আমাদের জন্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। যারা এই জঘন্য ভাংচুর চালিয়েছে, তারা দেশের কর্মসংস্থান, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং স্থিতিশীলতা বিরোধী।”

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ থেকে বাটা-কেএফসি ভাংচুর : ৪ মামলা, গ্রেপ্তারে সাঁড়াশি অভিযান

আপডেট সময় : ০৬:৪৩:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫

গাজায় ইসরায়েলি অভিযানের প্রতিবাদে বিক্ষোভ থেকে বাটা, কেএফসিসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনায় কঠোর হওয়ার বার্তা দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। সোমবারের ওই সব হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৪৯ জনকে গ্রেপ্তারের তথ্য জানিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই সহিংসতা ও ধ্বংসযজ্ঞের জন্য দায়ী সবাইকে গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত এই অভিযান চলবে। এসব ঘটনায় এখন পর্যন্ত চার‌টি মামলা দায়ের হ‌য়ে‌ছে।

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল ২০২৫) প্রধান উপদেষ্টার ফেইসবুক পাতায় এক পোস্টে এই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। এর আগে সোমবার হামলা-ভাংচুরের পরপরই জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল পুলিশকে। ফিলিস্তিনের গাজায় দেড় বছরের বেশি সময় ধরে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। এই যুদ্ধে অর্ধ লক্ষাধিক ফিলিস্তিনি এরই মধ্যে নিহত হয়েছে, যার একটি বড় অংশ শিশু।

গাজায় ইসরায়েল গণহত্যা চালাচ্ছে অভিযোগ তুলে বিশ্বব্যাপী সোচ্চার অধিকারকর্মীরা। ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীগুলো সোমবার সারাবিশ্বে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশের জেলায় জেলায় ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ হয়। সিলেটে বিক্ষোভকারীদের একটি অংশ বাটা ও কেএফসির মালিকানায় ইহুদিরা থাকার কথা তুলে প্রতিষ্ঠান দুটিতে ব্যাপক হামলা ও লুটপাট চালায়।

বিনিয়োগ সম্মেলনে অংশ নিতে বিশ্বের ৪০টি দেশের ব্যবসায়ীরা যখন ঢাকায়, তখন সিলেটে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের ওপর হামলার ঘটনায় সরকারও তৎপর হয়।

প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ চলাকালে সিলেটসহ বিভিন্ন শহরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ। এসব ঘটনায় দুটি মামলায় হয়েছে জানিয়ে ফেইসবুক পোস্টে বলা হয়, আরও মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। এখন পর্যন্ত সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগে কমপক্ষে ৪৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বিক্ষোভের সময় ধারণ করা ভিডিও পর্যালোচনা করছে বলেও জানানো হয়েছে। তদন্তে সহায়তা করতে পারে এমন তথ্য যাদের কাছে আছে, তাদের সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছে সরকার।

এর আগে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেছিলেন, “আমাদের কাছে হামলাকারীদের ভিডিও ফুটেজ আছে। তাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে, অবিলম্বে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।” তিনি আরও বলেন, “সরকার কোনো ন্যায়সঙ্গত বিক্ষোভে বাধা দেয় না। তবে প্রতিবাদ কর্মসূচির আড়ালে কোনও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সহ্য করা হবে না।”

এদিকে চার দিনব্যাপী বিনিয়োগ সম্মেলন শুরুর দিনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ওপর হামলাকে ‘ন্যক্কারজনক দৃষ্টান্ত’ এর নিন্দা জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন। তিনি বলেছেন, “যখন আমরা বাংলাদেশকে বিনিয়োগের জন্য ইতিবাচকভাবে তুলে ধরতে শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন করছি, তখন এ ধরনের ন্যক্কারজনক দৃষ্টান্ত আমাদের জন্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। যারা এই জঘন্য ভাংচুর চালিয়েছে, তারা দেশের কর্মসংস্থান, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং স্থিতিশীলতা বিরোধী।”