ঢাকা ০৮:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
খাঁচা থেকে বের হওয়া সিংহী আড়াই ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে লন্ডনে ফ্লাই রবিবার, নির্জন কারাবাস থেকেই খালেদা জিয়ার ‘নানা রোগের সূচনা’ জানালেন ফখরুল মহাকাশ থেকে পবিত্র  কাবা শরিফের উজ্জ্বল ছবি আন্দোলনে থাকা প্রাথমিকের শিক্ষকদের বদলি, ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি স্থগিত তারেক রহমানের দেশে ফেরা আবার অনিশ্চিত, কীভাবে ভোটার হবেন? খালেদা জিয়া ছাড়া পরিবারের কেউ ভিভিআইপি সুবিধা পাবেন না কুকুরছানা হত্যা মামলায় মায়ের সঙ্গে কারাগারে ২ বছরের শিশু খালেদা জিয়াকে লন্ডন নিতে ঢাকায় আসছেন জুবাইদা যুক্তরাজ্যের ৯ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী! কাতারের রাজপরিবারের এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে যেসব অত্যাধুনিক সুবিধা রয়েছে

ইতালিতে প্রথম বাংলাদেশী ডাক্তার হিসেবে শপথ নিলেন তিসাদ

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০২:৪৯:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ মে ২০১৯
  • / 1640
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

[youtube]9uYKgizBO6w[/youtube]

বারো বছর বয়সে মায়ের সাথে ইতালিতে আসেন তাহমিদ তিসাদ। বাবা এ কে এম সেলিম একজন ব্যবসায়ী। তিনি ইতালিতে আসেন ১৯৯৭ সালে। ইতালিয়ান স্কুলে ভর্তি হয়ে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলে পড়াশুনায় ভালো ফলাফল করলে নিজের ইচ্ছায় এবং মা বাবার উৎসাহে আরো ভালো ফলাফল করে নিজেকে প্রতিষ্টিত করতে প্রবল ইচ্ছা জাগে তাহমিদ তিসাদ এর । সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ২০১৭ সালে পাদোভা শহরের পাদোভা ইউনিভার্সিটি থেকে এম বি বি এস পাশ করে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মুখ উজ্জ্বল করেছেন তিসাদ। গত ১৮ মে ২০১৯ পাদোভা মেডিকো বিভাগের এম বি বি এস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সকল শিক্ষার্থীদেরকে সম্মাননা ও শপথ অনুষ্ঠানে প্রায় দুই শতাধিক ছাত্রছাত্রীদেরকে শপথ বাক্য ও সম্মাননা স্মারক তুলে দেন মেডিকেল ইউনিভার্সিটির প্রধানরা।

সেই অনুষ্ঠানে একমাত্র প্রবাসী বাংলাদেশিদের হয়ে শপথ ও সম্মাননা স্মারক গ্রহণ করেন তাহমিদ তিসাদ। তিনি বর্তমানে ইতালিতে এফ সি ফি এস এর উপর উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে পড়াশুনা চালিয়ে যাচ্ছেন।

তাহমিদ তিসাদ এর বাবা পাদোভা শহরের প্রবাসী এ কে এম সেলিম ও তার মা শামীমা আক্তার ছেলের এই ফলাফলের কারণে খুবই আনন্দিত এবং গর্বিত।

তিনি আরো বলেন আমার ছেলের জন্ম এই দেশে না। কিন্তু সে এই দেশে বড় হয়েও বিদেশিদের সাথে পাল্লা দিয়ে ভালো ফলাফল করেছে। তার এই ফলাফলের কারণে আমাদের বাংলাদেশী প্রবাসীদের বিদেশিদের কাছে মুখ উজ্জ্বল করেছে।

তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে। উনার মেয়ে তানজিনা তাজনিন ২০১৮ সালে চক্ষু বিভাগে গ্রেজুয়েশন শেষ করে বর্তমানে মাস্টার্সে পড়াশুনা করছে। উনাদের দেশের বাড়ি ঢাকা বিভাগের গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া উপজেলার নবীপুর গ্রামে।

তিসাদ এর এই ফলাফলে ইতালিতে বেড়ে উঠা এই প্রজন্মের ছেলে মেয়েরা ও অভিবাবকরা আরো উৎসাহিত হবেন
বলে আশা করছেন অনেক প্রবাসী।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ইতালিতে প্রথম বাংলাদেশী ডাক্তার হিসেবে শপথ নিলেন তিসাদ

আপডেট সময় : ০২:৪৯:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ মে ২০১৯

[youtube]9uYKgizBO6w[/youtube]

বারো বছর বয়সে মায়ের সাথে ইতালিতে আসেন তাহমিদ তিসাদ। বাবা এ কে এম সেলিম একজন ব্যবসায়ী। তিনি ইতালিতে আসেন ১৯৯৭ সালে। ইতালিয়ান স্কুলে ভর্তি হয়ে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলে পড়াশুনায় ভালো ফলাফল করলে নিজের ইচ্ছায় এবং মা বাবার উৎসাহে আরো ভালো ফলাফল করে নিজেকে প্রতিষ্টিত করতে প্রবল ইচ্ছা জাগে তাহমিদ তিসাদ এর । সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ২০১৭ সালে পাদোভা শহরের পাদোভা ইউনিভার্সিটি থেকে এম বি বি এস পাশ করে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মুখ উজ্জ্বল করেছেন তিসাদ। গত ১৮ মে ২০১৯ পাদোভা মেডিকো বিভাগের এম বি বি এস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সকল শিক্ষার্থীদেরকে সম্মাননা ও শপথ অনুষ্ঠানে প্রায় দুই শতাধিক ছাত্রছাত্রীদেরকে শপথ বাক্য ও সম্মাননা স্মারক তুলে দেন মেডিকেল ইউনিভার্সিটির প্রধানরা।

সেই অনুষ্ঠানে একমাত্র প্রবাসী বাংলাদেশিদের হয়ে শপথ ও সম্মাননা স্মারক গ্রহণ করেন তাহমিদ তিসাদ। তিনি বর্তমানে ইতালিতে এফ সি ফি এস এর উপর উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে পড়াশুনা চালিয়ে যাচ্ছেন।

তাহমিদ তিসাদ এর বাবা পাদোভা শহরের প্রবাসী এ কে এম সেলিম ও তার মা শামীমা আক্তার ছেলের এই ফলাফলের কারণে খুবই আনন্দিত এবং গর্বিত।

তিনি আরো বলেন আমার ছেলের জন্ম এই দেশে না। কিন্তু সে এই দেশে বড় হয়েও বিদেশিদের সাথে পাল্লা দিয়ে ভালো ফলাফল করেছে। তার এই ফলাফলের কারণে আমাদের বাংলাদেশী প্রবাসীদের বিদেশিদের কাছে মুখ উজ্জ্বল করেছে।

তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে। উনার মেয়ে তানজিনা তাজনিন ২০১৮ সালে চক্ষু বিভাগে গ্রেজুয়েশন শেষ করে বর্তমানে মাস্টার্সে পড়াশুনা করছে। উনাদের দেশের বাড়ি ঢাকা বিভাগের গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া উপজেলার নবীপুর গ্রামে।

তিসাদ এর এই ফলাফলে ইতালিতে বেড়ে উঠা এই প্রজন্মের ছেলে মেয়েরা ও অভিবাবকরা আরো উৎসাহিত হবেন
বলে আশা করছেন অনেক প্রবাসী।