ঢাকা ১১:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আরও ৩০ দেশের নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা খাঁচা থেকে বের হওয়া সিংহী আড়াই ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে লন্ডনে ফ্লাই রবিবার, নির্জন কারাবাস থেকেই খালেদা জিয়ার ‘নানা রোগের সূচনা’ জানালেন ফখরুল মহাকাশ থেকে পবিত্র  কাবা শরিফের উজ্জ্বল ছবি আন্দোলনে থাকা প্রাথমিকের শিক্ষকদের বদলি, ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি স্থগিত তারেক রহমানের দেশে ফেরা আবার অনিশ্চিত, কীভাবে ভোটার হবেন? খালেদা জিয়া ছাড়া পরিবারের কেউ ভিভিআইপি সুবিধা পাবেন না কুকুরছানা হত্যা মামলায় মায়ের সঙ্গে কারাগারে ২ বছরের শিশু খালেদা জিয়াকে লন্ডন নিতে ঢাকায় আসছেন জুবাইদা যুক্তরাজ্যের ৯ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী!

ইতালিতে করোনার তৃতীয় ঢেউ: কঠোর লকডাউন ঘোষণা

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৫:১৯:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ এপ্রিল ২০২১
  • / 836
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউয়ে ইতালিতে ফের সংক্রমণ বেড়েছে। দেশটির সব অঞ্চলই এখন ‘রেড জোন’। করোনায় ইউরোপে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে থাকা দেশটির প্রশাসন সীমাবদ্ধতার মধ্যেই সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে চলছে। খবর বিবিসির।

তবে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে পুরোনো ধর্মীয় অনুষ্ঠান ‘ইস্টার’ ঘিরে জনসমাগম ঠেকাতে এবার তিনদিনের কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। অপ্রয়োজনে বাইরে ঘোরাঘুরি পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে এ ধর্মীয় অনুষ্ঠান বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে উদযাপনে কোনো বাধা নেই।

এদিকে লকডাউন চললেও চার্চগুলো খোলা থাকছে। কিন্তু উপাসকরা ‘ইস্টার’ অনুষ্ঠানে গণহারে মানুষের যোগ দিতে নিরুৎসাহিত করছেন। ফলে গত বছরের মতো এবারও পোপ ফ্রান্সিস জনশূন্য সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে ‘ইস্টার’-এর বক্তৃতা করবেন।

চীনের উহান থেকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে প্রথম ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়ে ইতালি। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে দেশটি অন্যান্য দেশের তুলনায় ক্ষতি কিছুটা কমাতে সক্ষম হলেও তৃতীয় ঢেউ নিয়ে এখন চিন্তিত ইতালি সরকার।

ফলে সংক্রমণ ঠেকাতে ঘোষিত লকডাউন কঠোরভাবে পালনে জনসাধারণকে বাধ্য করা হচ্ছে। নিত্যপণ্য ও ওষুধের দোকান ছাড়া সব ধরনের দোকানপাট বন্ধ রাখা হচ্ছে। তবে রেস্টুরেন্টগুলো থেকে অনলাইনে খাবার কেনার সুযোগ রয়েছে।

রেড জোন ঘোষিত এলাকায় সব ধরনের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। তবে ইস্টার উপলক্ষে একই এলাকায় বসবাস করা মানুষ তাদের আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে যেতে পারবে।

ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুসিয়ানা ল্যামোরগেস বলেছেন, কোনোভাবেই লকডাউন ভঙ্গ করা উচিত হবে না। এখনই সময় ইতালিয়ানদের দায়বদ্ধতা দেখানোর। ভ্যাকসিন আসছে এবং মানুষ গ্রহণ করছেন। সবাই যখন ভ্যাকসিনের আওতায় আসবেন, তখন আমরা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে পারব।

দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে এক লাখ ১০ হাজার ৩২৮ জন মারা গেছেন। আর এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৩৬ লাখ ২৯ হাজার মানুষ। এখনও প্রতিদিন অন্তত ২০ হাজার নতুন রোগী শনাক্ত হচ্ছেন। গত ১ এপ্রিল একদিনে শনাক্ত হয়েছেন ২৩ হাজার ৬৩৪ জন এবং মারা গেছেন ৫০১ জন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ইতালিতে করোনার তৃতীয় ঢেউ: কঠোর লকডাউন ঘোষণা

আপডেট সময় : ০৫:১৯:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ এপ্রিল ২০২১

করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউয়ে ইতালিতে ফের সংক্রমণ বেড়েছে। দেশটির সব অঞ্চলই এখন ‘রেড জোন’। করোনায় ইউরোপে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে থাকা দেশটির প্রশাসন সীমাবদ্ধতার মধ্যেই সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে চলছে। খবর বিবিসির।

তবে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে পুরোনো ধর্মীয় অনুষ্ঠান ‘ইস্টার’ ঘিরে জনসমাগম ঠেকাতে এবার তিনদিনের কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। অপ্রয়োজনে বাইরে ঘোরাঘুরি পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে এ ধর্মীয় অনুষ্ঠান বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে উদযাপনে কোনো বাধা নেই।

এদিকে লকডাউন চললেও চার্চগুলো খোলা থাকছে। কিন্তু উপাসকরা ‘ইস্টার’ অনুষ্ঠানে গণহারে মানুষের যোগ দিতে নিরুৎসাহিত করছেন। ফলে গত বছরের মতো এবারও পোপ ফ্রান্সিস জনশূন্য সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে ‘ইস্টার’-এর বক্তৃতা করবেন।

চীনের উহান থেকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে প্রথম ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়ে ইতালি। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে দেশটি অন্যান্য দেশের তুলনায় ক্ষতি কিছুটা কমাতে সক্ষম হলেও তৃতীয় ঢেউ নিয়ে এখন চিন্তিত ইতালি সরকার।

ফলে সংক্রমণ ঠেকাতে ঘোষিত লকডাউন কঠোরভাবে পালনে জনসাধারণকে বাধ্য করা হচ্ছে। নিত্যপণ্য ও ওষুধের দোকান ছাড়া সব ধরনের দোকানপাট বন্ধ রাখা হচ্ছে। তবে রেস্টুরেন্টগুলো থেকে অনলাইনে খাবার কেনার সুযোগ রয়েছে।

রেড জোন ঘোষিত এলাকায় সব ধরনের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। তবে ইস্টার উপলক্ষে একই এলাকায় বসবাস করা মানুষ তাদের আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে যেতে পারবে।

ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুসিয়ানা ল্যামোরগেস বলেছেন, কোনোভাবেই লকডাউন ভঙ্গ করা উচিত হবে না। এখনই সময় ইতালিয়ানদের দায়বদ্ধতা দেখানোর। ভ্যাকসিন আসছে এবং মানুষ গ্রহণ করছেন। সবাই যখন ভ্যাকসিনের আওতায় আসবেন, তখন আমরা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে পারব।

দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে এক লাখ ১০ হাজার ৩২৮ জন মারা গেছেন। আর এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৩৬ লাখ ২৯ হাজার মানুষ। এখনও প্রতিদিন অন্তত ২০ হাজার নতুন রোগী শনাক্ত হচ্ছেন। গত ১ এপ্রিল একদিনে শনাক্ত হয়েছেন ২৩ হাজার ৬৩৪ জন এবং মারা গেছেন ৫০১ জন।