ঢাকা ০৩:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ভোটের ওপর নির্ভর করছে সবার ভবিষ্যৎ: প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস যদি চান, সারা দেশকে কারাগার বানাতে পারেন: আদালতে আনিস আলমগীর সমালোচনা করা যাবে না- এই বার্তাই কি দেওয়া হলো আনিস আলমগীরের ঘটনায় মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত চক্র ‘বিজয়ের নতুন ইতিহাস’ রচনার অপচেষ্টায়: তারেক রহমান আটকের ১৯ ঘণ্টা পর সাংবাদিক আনিস আলমগীর গ্রেফতার; ‘বাকস্বাধীনতাটা কোথায় গেল’ প্রশ্ন শাওনের বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ কেন বন্ধ করলো অন্তর্বর্তী সরকার? সাংবাদিক আনিস আলমগীর ও অভিনেত্রী শাওনসহ চারজনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ গুলিবিদ্ধ ওসমান হাদিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে সরকার সমালোচক সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে আটক ‘পাকিস্তানি বাহিনী বুদ্ধিজীবী হত্যা করেনি’  চবি উপ-উপাচার্যের বক্তব্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ

ইউএনওকে সাথে নিয়ে নিজের বাল্যবিয়ে ঠেকালেন স্কুল ছাত্রী শাহিনা

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৪:৪১:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • / 957
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

তন্ময় আহমেদ নয়ন

ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক বাল্যবিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলে বাড়ি থেকে পালিয়ে বান্ধবীর বাড়িতে আশ্রয় নেয় ১০ম শ্রেণীর ছাত্রী শাহিনা আক্তার। মোবাইল ফোনে নিজের বাল্যবিয়ে বন্ধে ইউএনও’র সহযোগিতা চান শাহিনা আক্তার। এ নিয়ে একটি সংবাদ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে নড়ে চড়ে বসে স্থানীয় প্রশাসন। রোববার সকালে ইউএনও সামিউল আমিনকে সাথে নিয়ে নিজ বাড়িতে হাজির হয়ে বাবা-মা’য়ের মুছলেকা নিয়ে নিজের বাল্যবিয়ে ঠেকালেন ওই স্কুল ছাত্রী।

এমন ঘটনাটি ঘটেছে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার সিঙ্গিমারী ইউনিয়নের উওর ধুবনী গ্রামে।
জানা গেছে, হাতীবান্ধা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেণীর ছাত্রী ও উওর ধুবনী গ্রামের সাইরুদ্দিনের মেয়ে শাহিনা আক্তারকে শুক্রবার রাতে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক বাল্য বিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন তার বাবা-মা। উপায় না পেয়ে শাহিনা বাড়ি থেকে পালিয়ে তার এক বান্ধবীর বাড়িতে আশ্রয় নেয়। ওই বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেতে শুক্রবার রাতেই হাতীবান্ধা থানার ওসি এরশাদুল আলমকে ফোন করে সহযোগিতা চান ওই ছাত্রী। পরবর্তীতে শনিবার রাতে হাতীবান্ধার ইউএনও সামিউল আমিনকে ফোন করে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেতে সহযোগিতা কামনা করেন শাহিনা।

এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে নড়ে চড়ে বসে স্থানীয় প্রশাসন। রোববার সকালে ইউএনও সামিউল আমিন হাতীবান্ধা থানার ওসি এরশাদুল আলমকে সাথে নিয়ে প্রথমত শাহিনা আক্তারকে তার বান্ধবীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করেন। পরে ইউএনও শাহিনাকে নিয়ে তার বাড়িতে হাজির হন। এ সময় তার বাবা সাইরুদ্দিনের কাছ থেকে মুছলেকা নিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আইয়ুব আলীর জিম্মায় দেন।

হাতীবান্ধার ইউএনও সামিউল আমিন বলেন, ”রাতে খবর পাওয়া মাত্র আমি ওই স্কুলের শিক্ষকের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছি। সকালে মেয়েকে তার বান্ধবীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করে নিজ বাড়িতে নিয়ে গিয়ে বাল্যবিয়ের কুফল সম্পর্কে বাবা মায়ের সাথে কথা বলে শাহিনাকে তাদের কাছে দিয়ে এসেছি। শাহিনার বাবা মা মুছলেকা দিয়েছেন ১৮ বছরের আগে মেয়ের বিয়ে দিবেন না।”

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ইউএনওকে সাথে নিয়ে নিজের বাল্যবিয়ে ঠেকালেন স্কুল ছাত্রী শাহিনা

আপডেট সময় : ০৪:৪১:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২০

তন্ময় আহমেদ নয়ন

ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক বাল্যবিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলে বাড়ি থেকে পালিয়ে বান্ধবীর বাড়িতে আশ্রয় নেয় ১০ম শ্রেণীর ছাত্রী শাহিনা আক্তার। মোবাইল ফোনে নিজের বাল্যবিয়ে বন্ধে ইউএনও’র সহযোগিতা চান শাহিনা আক্তার। এ নিয়ে একটি সংবাদ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে নড়ে চড়ে বসে স্থানীয় প্রশাসন। রোববার সকালে ইউএনও সামিউল আমিনকে সাথে নিয়ে নিজ বাড়িতে হাজির হয়ে বাবা-মা’য়ের মুছলেকা নিয়ে নিজের বাল্যবিয়ে ঠেকালেন ওই স্কুল ছাত্রী।

এমন ঘটনাটি ঘটেছে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার সিঙ্গিমারী ইউনিয়নের উওর ধুবনী গ্রামে।
জানা গেছে, হাতীবান্ধা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেণীর ছাত্রী ও উওর ধুবনী গ্রামের সাইরুদ্দিনের মেয়ে শাহিনা আক্তারকে শুক্রবার রাতে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক বাল্য বিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন তার বাবা-মা। উপায় না পেয়ে শাহিনা বাড়ি থেকে পালিয়ে তার এক বান্ধবীর বাড়িতে আশ্রয় নেয়। ওই বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেতে শুক্রবার রাতেই হাতীবান্ধা থানার ওসি এরশাদুল আলমকে ফোন করে সহযোগিতা চান ওই ছাত্রী। পরবর্তীতে শনিবার রাতে হাতীবান্ধার ইউএনও সামিউল আমিনকে ফোন করে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেতে সহযোগিতা কামনা করেন শাহিনা।

এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে নড়ে চড়ে বসে স্থানীয় প্রশাসন। রোববার সকালে ইউএনও সামিউল আমিন হাতীবান্ধা থানার ওসি এরশাদুল আলমকে সাথে নিয়ে প্রথমত শাহিনা আক্তারকে তার বান্ধবীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করেন। পরে ইউএনও শাহিনাকে নিয়ে তার বাড়িতে হাজির হন। এ সময় তার বাবা সাইরুদ্দিনের কাছ থেকে মুছলেকা নিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আইয়ুব আলীর জিম্মায় দেন।

হাতীবান্ধার ইউএনও সামিউল আমিন বলেন, ”রাতে খবর পাওয়া মাত্র আমি ওই স্কুলের শিক্ষকের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছি। সকালে মেয়েকে তার বান্ধবীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করে নিজ বাড়িতে নিয়ে গিয়ে বাল্যবিয়ের কুফল সম্পর্কে বাবা মায়ের সাথে কথা বলে শাহিনাকে তাদের কাছে দিয়ে এসেছি। শাহিনার বাবা মা মুছলেকা দিয়েছেন ১৮ বছরের আগে মেয়ের বিয়ে দিবেন না।”