ঢাকা ০২:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
আরও পেছাল খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রা ইসলামে পারিবারিক নির্যাতনের কোনো স্থান নেই-শায়খ আব্দুল কাইয়ুম লিবিয়া থেকে ৩১০ বাংলাদেশি দেশে ফিরলেন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আরও ৩০ দেশের নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা খাঁচা থেকে বের হওয়া সিংহী আড়াই ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে লন্ডনে ফ্লাই রবিবার, নির্জন কারাবাস থেকেই খালেদা জিয়ার ‘নানা রোগের সূচনা’ জানালেন ফখরুল মহাকাশ থেকে পবিত্র  কাবা শরিফের উজ্জ্বল ছবি আন্দোলনে থাকা প্রাথমিকের শিক্ষকদের বদলি, ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি স্থগিত তারেক রহমানের দেশে ফেরা আবার অনিশ্চিত, কীভাবে ভোটার হবেন? খালেদা জিয়া ছাড়া পরিবারের কেউ ভিভিআইপি সুবিধা পাবেন না

আলোচনায় নির্বাচনকালীন সরকার : নাকি অন্তর্বর্তী সরকার পুনর্গঠন?

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ১১:৪৬:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫
  • / 267
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগ করলে কী ধরনের আইনি জটিলতা তৈরি হতে পারে—তা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। আইনগত দিক থেকে সরকার পুনর্গঠনের কতটা সুযোগ রয়েছে, কিংবা কোনো আইনি প্রতিবন্ধকতা আছে কি না, তা ঘিরেই এই বিতর্ক। লিখেছেন মরিয়ম সুলতানা।

প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ প্রসঙ্গটি সামনে আসে জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী ছাত্র সংগঠন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের বক্তব্যের মাধ্যমে।

বৃহস্পতিবার (২২ মে) বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নাহিদ ইসলাম জানান, তিনি ওই সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করেছেন।

তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের গুঞ্জন পাওয়ার পরই তিনি সাক্ষাৎ করতে যান এবং তার ভাষ্য অনুযায়ী, অধ্যাপক ইউনূস “পদত্যাগের বিষয়ে ভাবছেন”।

এমন প্রেক্ষাপটে প্রশ্ন উঠছে—যদি অধ্যাপক ইউনূস সত্যিই পদত্যাগ করেন, তাহলে দেশের অন্তর্বর্তী সরকার কাঠামো কীভাবে পরিচালিত হবে? সরকার কি নতুন করে পুনর্গঠন করা সম্ভব?

আইনে সরকার পুনর্গঠনের সুযোগ কতটা?

অন্তর্বর্তী সরকারের পুনর্গঠন কতটা আইনি ভিত্তি রাখে—এই বিষয়ে মতানৈক্য রয়েছে আইনজীবীদের মধ্যে।

অনেক আইনজীবী মনে করেন, সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতে ও রাজনৈতিক দলগুলোর সম্মতিতে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে। ফলে প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করলেও কোনো সাংবিধানিক সঙ্কট দেখা দেবে না; বরং নতুন সরকার গঠনের সুযোগ তৈরি হবে।

তাদের মতে, অধ্যাপক ইউনূস পদত্যাগ করলে রাষ্ট্রপতি একটি নির্বাচনকেন্দ্রিক তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের উদ্যোগ নিতে পারেন।

অন্যদিকে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. শাহদীন মালিকের ব্যাখ্যা ভিন্ন। তিনি বলেন, “আইনে কী বলা আছে, তা এখন আর প্রযোজ্য নয়। কারণ এখন সবকিছুই আইনের বাইরে ঘটছে।”

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করা হয়েছিল। তবে রাজনৈতিক পালাবদলের পর হাইকোর্ট ওই সংশোধনীর একটি অংশ আংশিক বাতিল করে, যার ফলে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সম্ভাবনা আবার জেগে ওঠে।

শাহদীন মালিক বলেন, “অধ্যাদেশ দিয়ে সংবিধান সংশোধন করা যায় না। সংসদ ছাড়া তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। তাই এখন সব কিছু চলছে জোড়াতালিতে।”

‘পদত্যাগ হলে নতুন সরকার গঠনের প্রশ্ন উঠবে’

আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। এর আগে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে সুপ্রিম কোর্টের কাছে মতামত চেয়ে রেফারেন্স পাঠান।

এর ভিত্তিতেই উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা শপথ নেন। শাহদীন মালিক বলেন, “রাজনৈতিক বাস্তবতার কারণে সংবিধানের বাইরে গিয়ে এই সরকার গঠন করা হয়েছে, কিন্তু আপিল বিভাগের একাধিক রায়ে স্পষ্ট বলা আছে—অসাংবিধানিক কোনো বিষয়কে সাংবিধানিক বলা যায় না।”

আইনজীবী মনজিল মোরসেদ মনে করেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর একটি রাজনৈতিক শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছিল, যার পরিপ্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। তবে তিনি বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করলে নতুন সরকার গঠনের প্রশ্ন আসবে। এমনকি তিনি থেকে গেলেও, নির্বাচন আয়োজনের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা যেতে পারে।”

মনজিল মোরসেদ বলেন, “পঞ্চদশ সংশোধনীর আংশিক বাতিলের ফলে এখন নির্বাচন দিতে হলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারই গঠন করতে হবে। কারণ আদালতের রায়ে তাতে সুযোগ রাখা হয়েছে।”

তার মতে, বর্তমান উপদেষ্টা পরিষদ চাইলে বহাল রাখা যেতে পারে কিংবা রাষ্ট্রপতি নতুন করে কাউকে মনোনয়ন দিতে পারেন। তবে নিয়ম অনুযায়ী, নির্বাচনের অন্তত ৯০ দিন আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করতে হবে।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের জন্য নতুন করে আদালতের রেফারেন্স লাগবে না বলেও মনে করেন তিনি।

ইউনূসের পদত্যাগে উপদেষ্টা পরিষদের ভবিষ্যৎ কী?

প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করলে তার মনোনীত উপদেষ্টারা কি বহাল থাকবেন? মনজিল মোরসেদের মতে, “প্রধান উপদেষ্টা যাদের নিজের সাথে কাজ করতে চেয়েছেন, তার অনুপস্থিতিতে তাদের থাকার যৌক্তিকতা থাকে না। তবে নতুন প্রধান চাইলে তাদের রেখে দিতে পারেন।”

শাহদীন মালিক বলেন, “ইচ্ছামতো করলে যা খুশি করা যায়। তবে আমি মনে করি, নতুন সরকারপ্রধান নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য প্রয়োজন।”

প্রধান উপদেষ্টা কেন পদত্যাগ করতে চাইছেন, তা সরকারিভাবে ব্যাখ্যা করা হয়নি। তবে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ইউনূস মনে করছেন—বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় তিনি কাজ করতে পারছেন না।

নাহিদ ইসলাম বৃহস্পতিবার রাতে বিবিসিকে বলেন, “আমিতো এভাবে কাজ করতে পারবো না। রাজনৈতিক দলগুলো যদি কোনো কমন জায়গায় না আসে, তাহলে সমস্যা থেকেই যাবে।”

এ নিয়ে সরকারিভাবে কেউ আনুষ্ঠানিক বক্তব্য না দিলেও পরিবেশ উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসানের মন্তব্যে সরকারের চাপ অনুভূত হয়।

তিনি শুক্রবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অনুষ্ঠানে বলেন, “আমাদের দায়িত্ব তিনটি—সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন। কেবল নির্বাচন করার জন্যই আমরা দায়িত্ব নেইনি। অথচ এখন যার যা দাবি, তাই নিয়ে রাস্তায় বসে শহর অচল করে দিচ্ছে। এতে আমরা হতাশ।”

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

আলোচনায় নির্বাচনকালীন সরকার : নাকি অন্তর্বর্তী সরকার পুনর্গঠন?

আপডেট সময় : ১১:৪৬:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগ করলে কী ধরনের আইনি জটিলতা তৈরি হতে পারে—তা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। আইনগত দিক থেকে সরকার পুনর্গঠনের কতটা সুযোগ রয়েছে, কিংবা কোনো আইনি প্রতিবন্ধকতা আছে কি না, তা ঘিরেই এই বিতর্ক। লিখেছেন মরিয়ম সুলতানা।

প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ প্রসঙ্গটি সামনে আসে জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী ছাত্র সংগঠন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের বক্তব্যের মাধ্যমে।

বৃহস্পতিবার (২২ মে) বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নাহিদ ইসলাম জানান, তিনি ওই সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করেছেন।

তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের গুঞ্জন পাওয়ার পরই তিনি সাক্ষাৎ করতে যান এবং তার ভাষ্য অনুযায়ী, অধ্যাপক ইউনূস “পদত্যাগের বিষয়ে ভাবছেন”।

এমন প্রেক্ষাপটে প্রশ্ন উঠছে—যদি অধ্যাপক ইউনূস সত্যিই পদত্যাগ করেন, তাহলে দেশের অন্তর্বর্তী সরকার কাঠামো কীভাবে পরিচালিত হবে? সরকার কি নতুন করে পুনর্গঠন করা সম্ভব?

আইনে সরকার পুনর্গঠনের সুযোগ কতটা?

অন্তর্বর্তী সরকারের পুনর্গঠন কতটা আইনি ভিত্তি রাখে—এই বিষয়ে মতানৈক্য রয়েছে আইনজীবীদের মধ্যে।

অনেক আইনজীবী মনে করেন, সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতে ও রাজনৈতিক দলগুলোর সম্মতিতে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে। ফলে প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করলেও কোনো সাংবিধানিক সঙ্কট দেখা দেবে না; বরং নতুন সরকার গঠনের সুযোগ তৈরি হবে।

তাদের মতে, অধ্যাপক ইউনূস পদত্যাগ করলে রাষ্ট্রপতি একটি নির্বাচনকেন্দ্রিক তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের উদ্যোগ নিতে পারেন।

অন্যদিকে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. শাহদীন মালিকের ব্যাখ্যা ভিন্ন। তিনি বলেন, “আইনে কী বলা আছে, তা এখন আর প্রযোজ্য নয়। কারণ এখন সবকিছুই আইনের বাইরে ঘটছে।”

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করা হয়েছিল। তবে রাজনৈতিক পালাবদলের পর হাইকোর্ট ওই সংশোধনীর একটি অংশ আংশিক বাতিল করে, যার ফলে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সম্ভাবনা আবার জেগে ওঠে।

শাহদীন মালিক বলেন, “অধ্যাদেশ দিয়ে সংবিধান সংশোধন করা যায় না। সংসদ ছাড়া তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। তাই এখন সব কিছু চলছে জোড়াতালিতে।”

‘পদত্যাগ হলে নতুন সরকার গঠনের প্রশ্ন উঠবে’

আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। এর আগে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে সুপ্রিম কোর্টের কাছে মতামত চেয়ে রেফারেন্স পাঠান।

এর ভিত্তিতেই উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা শপথ নেন। শাহদীন মালিক বলেন, “রাজনৈতিক বাস্তবতার কারণে সংবিধানের বাইরে গিয়ে এই সরকার গঠন করা হয়েছে, কিন্তু আপিল বিভাগের একাধিক রায়ে স্পষ্ট বলা আছে—অসাংবিধানিক কোনো বিষয়কে সাংবিধানিক বলা যায় না।”

আইনজীবী মনজিল মোরসেদ মনে করেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর একটি রাজনৈতিক শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছিল, যার পরিপ্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। তবে তিনি বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করলে নতুন সরকার গঠনের প্রশ্ন আসবে। এমনকি তিনি থেকে গেলেও, নির্বাচন আয়োজনের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা যেতে পারে।”

মনজিল মোরসেদ বলেন, “পঞ্চদশ সংশোধনীর আংশিক বাতিলের ফলে এখন নির্বাচন দিতে হলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারই গঠন করতে হবে। কারণ আদালতের রায়ে তাতে সুযোগ রাখা হয়েছে।”

তার মতে, বর্তমান উপদেষ্টা পরিষদ চাইলে বহাল রাখা যেতে পারে কিংবা রাষ্ট্রপতি নতুন করে কাউকে মনোনয়ন দিতে পারেন। তবে নিয়ম অনুযায়ী, নির্বাচনের অন্তত ৯০ দিন আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করতে হবে।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের জন্য নতুন করে আদালতের রেফারেন্স লাগবে না বলেও মনে করেন তিনি।

ইউনূসের পদত্যাগে উপদেষ্টা পরিষদের ভবিষ্যৎ কী?

প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করলে তার মনোনীত উপদেষ্টারা কি বহাল থাকবেন? মনজিল মোরসেদের মতে, “প্রধান উপদেষ্টা যাদের নিজের সাথে কাজ করতে চেয়েছেন, তার অনুপস্থিতিতে তাদের থাকার যৌক্তিকতা থাকে না। তবে নতুন প্রধান চাইলে তাদের রেখে দিতে পারেন।”

শাহদীন মালিক বলেন, “ইচ্ছামতো করলে যা খুশি করা যায়। তবে আমি মনে করি, নতুন সরকারপ্রধান নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য প্রয়োজন।”

প্রধান উপদেষ্টা কেন পদত্যাগ করতে চাইছেন, তা সরকারিভাবে ব্যাখ্যা করা হয়নি। তবে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ইউনূস মনে করছেন—বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় তিনি কাজ করতে পারছেন না।

নাহিদ ইসলাম বৃহস্পতিবার রাতে বিবিসিকে বলেন, “আমিতো এভাবে কাজ করতে পারবো না। রাজনৈতিক দলগুলো যদি কোনো কমন জায়গায় না আসে, তাহলে সমস্যা থেকেই যাবে।”

এ নিয়ে সরকারিভাবে কেউ আনুষ্ঠানিক বক্তব্য না দিলেও পরিবেশ উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসানের মন্তব্যে সরকারের চাপ অনুভূত হয়।

তিনি শুক্রবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অনুষ্ঠানে বলেন, “আমাদের দায়িত্ব তিনটি—সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন। কেবল নির্বাচন করার জন্যই আমরা দায়িত্ব নেইনি। অথচ এখন যার যা দাবি, তাই নিয়ে রাস্তায় বসে শহর অচল করে দিচ্ছে। এতে আমরা হতাশ।”