ঢাকা ০৬:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

আফগানিস্তানে কেন এত ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়
রবিবারের ৬ মাত্রার ভূমিকম্পে কয়েক গ্রাম ধ্বংসস্তুপ

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ১১:৪৮:৪৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / 216

ভূমিকম্পে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে আফগানিস্তানের কয়েকটি গ্রাম

অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলে ৬ দশমিক শূন্য মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে অন্তত ২৫০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

গত রবিবার (৩১ আগস্ট) স্থানীয় সময় রাত ১১টা ৪৭ মিনিটে ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর পর অন্তত আরও তিন দফা কম্পন অনুভূত হয়, যেগুলোর মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৫ থেকে ৫ দশমিক ২-এর মধ্যে।

ভূমিকম্পপ্রবণ দেশগুলোর মধ্যে আফগানিস্তান অন্যতম। কারণ দেশটি ভারতীয় ও ইউরেশীয় টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত, যেখানে রয়েছে একাধিক সক্রিয় ফল্ট লাইন।

২০২২ সালে দেশটির পূর্বাঞ্চলে ৫ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্পে অন্তত এক হাজার মানুষ নিহত এবং আরও তিন হাজার আহত হয়েছিলেন। দুই দশকে সেটিই ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্প।

যদিও ওই ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল মাঝারি, এর ভয়াবহতার কারণ ছিল উৎপত্তিস্থল ভূপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার গভীরে।

রবিবারের ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল আরও অগভীর—মাত্র ৮ কিলোমিটার গভীরে। এ কারণে শত শত মানুষের মৃত্যু বা আহত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

আফগানিস্তানের জনগণ ভূমিকম্পে বিশেষভাবে ঝুঁকিতে থাকে, কারণ সেখানকার অধিকাংশ বাড়িঘর কাঠ, কাদামাটির ইট কিংবা দুর্বল কংক্রিট দিয়ে তৈরি, যা ভূমিকম্প-সহনশীল নয়।

এ ছাড়া পার্বত্য এলাকায় ভূমিকম্পের প্রভাবে ভূমিধস দেখা দেয়, যা ঘরবাড়ি ধ্বংস করতে পারে, নদীর গতিপথ রোধ করতে পারে এবং রাস্তাঘাট বন্ধ করে দেয়। ফলে উদ্ধারকর্মী ও সহায়তা পৌঁছানো অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আফগানিস্তানে কেন এত ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়
রবিবারের ৬ মাত্রার ভূমিকম্পে কয়েক গ্রাম ধ্বংসস্তুপ

আপডেট সময় : ১১:৪৮:৪৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলে ৬ দশমিক শূন্য মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে অন্তত ২৫০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

গত রবিবার (৩১ আগস্ট) স্থানীয় সময় রাত ১১টা ৪৭ মিনিটে ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর পর অন্তত আরও তিন দফা কম্পন অনুভূত হয়, যেগুলোর মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৫ থেকে ৫ দশমিক ২-এর মধ্যে।

ভূমিকম্পপ্রবণ দেশগুলোর মধ্যে আফগানিস্তান অন্যতম। কারণ দেশটি ভারতীয় ও ইউরেশীয় টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত, যেখানে রয়েছে একাধিক সক্রিয় ফল্ট লাইন।

২০২২ সালে দেশটির পূর্বাঞ্চলে ৫ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্পে অন্তত এক হাজার মানুষ নিহত এবং আরও তিন হাজার আহত হয়েছিলেন। দুই দশকে সেটিই ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্প।

যদিও ওই ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল মাঝারি, এর ভয়াবহতার কারণ ছিল উৎপত্তিস্থল ভূপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার গভীরে।

রবিবারের ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল আরও অগভীর—মাত্র ৮ কিলোমিটার গভীরে। এ কারণে শত শত মানুষের মৃত্যু বা আহত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

আফগানিস্তানের জনগণ ভূমিকম্পে বিশেষভাবে ঝুঁকিতে থাকে, কারণ সেখানকার অধিকাংশ বাড়িঘর কাঠ, কাদামাটির ইট কিংবা দুর্বল কংক্রিট দিয়ে তৈরি, যা ভূমিকম্প-সহনশীল নয়।

এ ছাড়া পার্বত্য এলাকায় ভূমিকম্পের প্রভাবে ভূমিধস দেখা দেয়, যা ঘরবাড়ি ধ্বংস করতে পারে, নদীর গতিপথ রোধ করতে পারে এবং রাস্তাঘাট বন্ধ করে দেয়। ফলে উদ্ধারকর্মী ও সহায়তা পৌঁছানো অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ে।