আন্তর্জাতিক মর্যাদা পেল কক্সবাজার বিমানবন্দর
- আপডেট সময় : ০৮:৫৬:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
- / 60
অবশেষে সরকার কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করেছে। প্রধান উপদেষ্টার চূড়ান্ত অনুমোদনের পরই এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
১২ অক্টোবর রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সি-১ শাখার যুগ্মসচিব আহমেদ জামিল স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘দি সিভিল এভিয়েশন রুলস ১৯৮৪’-এর রুল ১৬ এর সাব-রুল (১) অনুযায়ী সরকার কক্সবাজার বিমানবন্দরকে “কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর” হিসেবে ঘোষণা করল।’
প্রজ্ঞাপনে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।’
বেবিচক ও কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সূত্র জানায়, প্রজ্ঞাপন জারির ফলে কক্সবাজার রুটে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালুর পথ উন্মুক্ত হয়েছে এবং এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন।
কক্সবাজার বিমানবন্দরের পরিচালক গোলাম মুর্তজা হোসেন বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার জন্য কাস্টমস ও ইমিগ্রেশন সুবিধা ইতোমধ্যে প্রস্তুত রয়েছে। কিছু কাজ বাকি থাকলেও অনুমোদন পাওয়ায় আশা করা যাচ্ছে, এ মাসের মধ্যেই আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু হবে।’
কক্সবাজারকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণার পর পর্যটন সংশ্লিষ্ট মহল সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ বলেন, ‘নিঃসন্দেহে এটি দেশের পর্যটন শিল্পের জন্য একটি বড় মাইলফলক। বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক মর্যাদা পাওয়ায় বিদেশিদের কাছে কক্সবাজার অচিরেই জনপ্রিয় গন্তব্য হয়ে উঠবে।’
হোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু হলে পর্যটন ব্যবসায় নতুন গতি আসবে। আন্তর্জাতিক সম্মেলন, করপোরেট ইভেন্ট ও সাংস্কৃতিক আয়োজন আরও সহজ হবে—যা স্থানীয় কর্মসংস্থান ও অর্থনীতিকে শক্তিশালী করবে।’
কক্সবাজার জেলার সরকারি ওয়েবসাইটের তথ্যমতে, বিমানবন্দরের রানওয়ে ৬ হাজার ৭৯০ ফুট থেকে সম্প্রসারণ করে ৯ হাজার ফুটে উন্নীত করা হয়েছে এবং প্রস্থ ১৫০ ফুট থেকে বাড়িয়ে ২০০ ফুট করা হবে। রানওয়ের লোড ক্ষমতা বাড়ানো, ওয়াইড-বডি বিমান চলাচলের উপযোগী করা ও রানওয়ে লাইটিং উন্নত করার কাজও চলছে। নতুন আন্তর্জাতিক টার্মিনাল ভবন হবে ১০ হাজার ৯১২ দশমিক ৪৯ বর্গফুট এবং সংযোগ ট্যাক্সিওয়ে হবে ৪৯ হাজার ৭৫৩ বর্গফুট।
উল্লেখ্য, এর আগে দেশে তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছিল—ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।

















