ঢাকা ০৮:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
লন্ডনে ফ্লাই রবিবার, নির্জন কারাবাস থেকেই খালেদা জিয়ার ‘নানা রোগের সূচনা’ জানালেন ফখরুল মহাকাশ থেকে পবিত্র  কাবা শরিফের উজ্জ্বল ছবি আন্দোলনে থাকা প্রাথমিকের শিক্ষকদের বদলি, ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি স্থগিত তারেক রহমানের দেশে ফেরা আবার অনিশ্চিত, কীভাবে ভোটার হবেন? খালেদা জিয়া ছাড়া পরিবারের কেউ ভিভিআইপি সুবিধা পাবেন না কুকুরছানা হত্যা মামলায় মায়ের সঙ্গে কারাগারে ২ বছরের শিশু খালেদা জিয়াকে লন্ডন নিতে ঢাকায় আসছেন জুবাইদা যুক্তরাজ্যের ৯ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী! কাতারের রাজপরিবারের এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে যেসব অত্যাধুনিক সুবিধা রয়েছে কাকরদিয়া–তেরাদল–আলিপুর এডুকেশন ট্রাস্ট ইউকের আত্নপ্রকাশ

অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সৈয়দা আনোয়ারা তাইমুর পরলোকে

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০১:৪৫:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • / 1254
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

এনআরসিছুট অর্থাৎ ন্যাশনাল রেজিস্টার অব সিটিজেনশিপ-এ নাম অন্তর্ভুক্ত না-হওয়ার দুঃখ নিয়েই পরপারে পাড়ি দিলেন অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সৈয়দা আনোয়ারা তাইমুর! ৮৩ বছর বয়সে তিনি অস্ট্রেলিয়ায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। সৈয়দা আনোয়ারা তাইমুর অসমের এযাবৎ প্রথম তথা একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রী। শুধু তা-ই নয়; সমগ্র ভারতে তিনিই একমাত্র মুসলিম মহিলা মুখ্যমন্ত্রীও বটে! তাঁর মুখ্যমন্ত্রিত্বের কার্যকাল ছিল ৬ডিসেম্বর,১৯৮০ থেকে ৩০ জুন,১৯৮১ পর্যন্ত। প্রায় সাত মাস।
১৯৩৬ সালের ২৪ নভেম্বর অসমের যোরহাটে জন্ম গ্রহণ করেন সৈয়দা আনোয়ারা তাইমুর। আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করে ১৯৫৬ সালে যোরহাটের দেবী চরণ বরুয়া গার্লস কলেজে অর্থনীতির অধ্যাপিকা নিযুক্ত হন। ১৯৭২ সালে প্রথমবারের মতো তিনি বিধায়ক(এমএলএ) নির্বাচিত হন। এর পর ১৯৭৮, ১৯৮৩ ও ১৯৯১ সালে তিনি বিধায়ক(এমএলএ) নির্বাচিত হন। মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও তিনি শিক্ষামন্ত্রী, কৃষিমন্ত্রীসহ বিভিন্ন দায়িত্ব দক্ষতার সঙ্গে পালন করেন। তিনি জাতীয় কংগ্রেসের মনোনয়নে ১৯৮৮ সালে রাজ্যসভারও সদস্য নির্বাচিত হন।

প্রায় চার দশক জুড়ে তিনি সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। কিন্তু ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই প্রকাশিত এনআরসি’র চূড়ান্ত তালিকায় তাঁর নাম অন্তর্ভুক্ত না-হওয়ার দরুন তিনি মানসিকভাবে খুবই আঘাত পান। রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। রাজনীতি থেকে অঘোষিতভাবে অবসর গ্রহণ করে সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ায় ছেলের সঙ্গে বসবাস করতে শুরু করেন।

এনআরসিতে নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আবেদন করার লক্ষ্যে তাঁর কয়েক দিনের মধ্যে অসমে ফিরে আসার কথা থাকলেও অকস্মাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অস্ট্রেলিয়াতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই ক্ষণজন্মা মহীয়সী! তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক ব্যক্ত করেছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল, প্রাক্তন মন্ত্রী ও গৌহাটি হাইকোর্টের বরিষ্ট আইনজীবী আবু সালেহ নজমুদ্দিন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সৈয়দা আনোয়ারা তাইমুর পরলোকে

আপডেট সময় : ০১:৪৫:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০

এনআরসিছুট অর্থাৎ ন্যাশনাল রেজিস্টার অব সিটিজেনশিপ-এ নাম অন্তর্ভুক্ত না-হওয়ার দুঃখ নিয়েই পরপারে পাড়ি দিলেন অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সৈয়দা আনোয়ারা তাইমুর! ৮৩ বছর বয়সে তিনি অস্ট্রেলিয়ায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। সৈয়দা আনোয়ারা তাইমুর অসমের এযাবৎ প্রথম তথা একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রী। শুধু তা-ই নয়; সমগ্র ভারতে তিনিই একমাত্র মুসলিম মহিলা মুখ্যমন্ত্রীও বটে! তাঁর মুখ্যমন্ত্রিত্বের কার্যকাল ছিল ৬ডিসেম্বর,১৯৮০ থেকে ৩০ জুন,১৯৮১ পর্যন্ত। প্রায় সাত মাস।
১৯৩৬ সালের ২৪ নভেম্বর অসমের যোরহাটে জন্ম গ্রহণ করেন সৈয়দা আনোয়ারা তাইমুর। আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করে ১৯৫৬ সালে যোরহাটের দেবী চরণ বরুয়া গার্লস কলেজে অর্থনীতির অধ্যাপিকা নিযুক্ত হন। ১৯৭২ সালে প্রথমবারের মতো তিনি বিধায়ক(এমএলএ) নির্বাচিত হন। এর পর ১৯৭৮, ১৯৮৩ ও ১৯৯১ সালে তিনি বিধায়ক(এমএলএ) নির্বাচিত হন। মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও তিনি শিক্ষামন্ত্রী, কৃষিমন্ত্রীসহ বিভিন্ন দায়িত্ব দক্ষতার সঙ্গে পালন করেন। তিনি জাতীয় কংগ্রেসের মনোনয়নে ১৯৮৮ সালে রাজ্যসভারও সদস্য নির্বাচিত হন।

প্রায় চার দশক জুড়ে তিনি সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। কিন্তু ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই প্রকাশিত এনআরসি’র চূড়ান্ত তালিকায় তাঁর নাম অন্তর্ভুক্ত না-হওয়ার দরুন তিনি মানসিকভাবে খুবই আঘাত পান। রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। রাজনীতি থেকে অঘোষিতভাবে অবসর গ্রহণ করে সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ায় ছেলের সঙ্গে বসবাস করতে শুরু করেন।

এনআরসিতে নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আবেদন করার লক্ষ্যে তাঁর কয়েক দিনের মধ্যে অসমে ফিরে আসার কথা থাকলেও অকস্মাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অস্ট্রেলিয়াতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই ক্ষণজন্মা মহীয়সী! তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক ব্যক্ত করেছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল, প্রাক্তন মন্ত্রী ও গৌহাটি হাইকোর্টের বরিষ্ট আইনজীবী আবু সালেহ নজমুদ্দিন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।