‘অনৈতিক কর্মকাণ্ড’ ঠেকাতে আফগানিস্তানে ইন্টারনেট বন্ধ
- আপডেট সময় : ০৮:১৯:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / 205
চার বছর আগে ক্ষমতায় ফেরার পর থেকে একের পর এক বিধিনিষেধ জারি করছে তালেবান প্রশাসন। এবার তাদের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় যুক্ত হলো ইন্টারনেট।
‘অনৈতিক কর্মকাণ্ড’ প্রতিরোধের অজুহাতে আফগানিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
প্রথমে গত মঙ্গলবার উত্তর আফগানিস্তানের বাল্খ প্রদেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। বৃহস্পতিবার কর্মকর্তারা জানান, এরপর উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আরও কয়েকটি প্রদেশ—কুন্দুজ, বাদাখশান, বাঘলান, নানগরহার এবং তাখরেও ব্রডব্যান্ড পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, ২০২১ সালে তালেবান ক্ষমতা দখলের পর এটাই প্রথমবার ইন্টারনেটের ওপর এমন কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলো।
এতে প্রভাব পড়েছে সাধারণ মানুষের ঘরবাড়ি, সরকারি দপ্তর, বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি অফিসে। যদিও মোবাইল ফোনের ইন্টারনেট পরিষেবা এখনও চালু রয়েছে।
মঙ্গলবারই বাল্খ প্রদেশের প্রশাসন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধের ঘোষণা দেয়। পরে জানা যায়, উত্তরাঞ্চলের আরও কয়েকটি প্রদেশেও একই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে। তালেবান কর্তৃপক্ষ বলছে, “অনৈতিক কাজকর্ম বন্ধ করতেই” এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এর আগে আফগানিস্তানের কট্টর ইসলামপন্থী গোষ্ঠীগুলো অভিযোগ তুলেছিল যে ইন্টারনেটের লাগামহীন ব্যবহারে ‘পর্নোগ্রাফি দেখার প্রবণতা বাড়ছে এবং নারী-পুরুষের মধ্যে অনলাইনে সম্পর্ক তৈরি হচ্ছে।’
ইন্টারনেট বন্ধের এই সিদ্ধান্ত তালেবান সরকারের সাম্প্রতিক পদক্ষেপগুলোর ধারাবাহিকতা। এর আগে তারা মেয়েদের হাইস্কুলে যাওয়া নিষিদ্ধ করে, কর্মস্থলে নারীদের নিয়োগে বাধা দেয়, যার সমালোচনা দেশ-বিদেশে হয়েছিল। এবার ইন্টারনেট বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েও সমালোচনা উঠেছে।
আফগানিস্তানে সাবেক মার্কিন দূত জালমে খালিলজাদ এ বিষয়ে রয়টার্সকে বলেন, এই নিষেধাজ্ঞা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।
তার ভাষায়, “যদি সত্যিই পর্নোগ্রাফি নিয়ে উদ্বেগ থাকে, তবে অনেক মুসলিম দেশের মতো সেগুলো ফিল্টার করার ব্যবস্থা নেওয়া যেত। বিভিন্ন মুসলিম দেশ ইতিমধ্যে তা করেছে।”


















