সংবাদ শিরোনাম :
“নবীনরা ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখে, আর প্রবীণরা সেই স্বপ্নের ভিত্তিপ্রস্তর”-এই কথাটির গভীরে যে মানবিকতা, তা উপলব্ধি করা যায় তখনই, যখন আমরা বিস্তারিত..
প্রিন্স ফিলিপ আমার প্রকৃত শক্তি, নির্ভরযোগ্য সঙ্গী এবং পরম আশ্রয়স্থল – রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ
গত বছর উইন্ডসর রাজপ্রাসাদে স্ত্রীর সঙ্গে ৯৯তম জন্ম বার্ষিকী পালন করতে পেরেছিলেন ঠিকই, হয়তো ভেবেছিলেন ১০০তম জন্মদিনও প্রানপ্রিয় স্ত্রীর সাথে পালন করবেন এ বছর। সে মাহেন্দ্রক্ষণ আসার দুমাস আগেই না ফেরার দেশে চলে যেতে হলো তাঁকে। হ্যাঁ, কথা বলছি “হিজ রয়্যাল হাইনেস ডিউক অফ এডিনবরা প্রিন্স ফিলিপকে” নিয়ে। ৯ এপ্রিল, শুক্রবার সকালে উইন্ডসর রাজপ্রাসাদে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তাঁর মৃত্যু সংবাদ আনুষ্ঠানিকভাবে গণমাধ্যমে প্রচার করা হয় দুপুর বারোটা বাজার পর পরই। ব্রিটিশ রাজ পরিবারের ইতিহাসে তিনি কোনো “মোনার্ক” অর্থাৎ রাজা বা রানীর দীর্ঘতম সঙ্গী বা “কনসর্ট” হবার রেকর্ড গড়েছিলেন। রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের সাথে স্বামী হিসেবে কাটিয়েছেন ৭৩ বছর আর “কোনসর্ট” বা সঙ্গী হিসেবে ৭০ বছর। এ এক অনন্য রেকর্ড! প্রিন্স ফিলিপ ছিলেন একাধারে রানীর জীবনের একমাত্র স্বপ্ন পুরুষ, সুখ – দুঃখের সাথী, পরম বন্ধু, পরামর্শ দাতা, পথ নির্দেশক, বাতিঘর এবং সর্বোপরি বিশ্বস্ত স্বামী। যার উপর রানী অন্ধ বিশ্বাসে নির্ভর করতে পারতেন। তাঁদের দুজনের মেজাজ ভিন্ন হলেও কর্মক্ষেত্রে তাঁরা সর্বদা একত্রিত থেকেছেন। তাঁরই ছায়ায় থেকে আজ পর্যন্ত রানী তাঁর রাজকার্য চালিয়ে গেছেন অত্যন্ত নিষ্ঠা আর একাগ্রতার সাথে। বলা হয় তাঁর অবিরাম সমর্থন ব্যতীত রানী আজ অবধি যা যা অর্জন করেছেন তা লাভ করা সম্ভব হতো না। রানীর জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিলেন তিনি। এক কথায় রানীর জীবনকে আলোতে ভরিয়ে রেখেছিলেন তাঁর প্রিয়তম জীবন সাথী প্রিন্স ফিলিপ। চলুন ফিরে তাকানো যাক প্রিন্স ফিলিপের শৈশবে। জন্ম ১৯২১ সালের ১০ জুন। স্থান “কর্ফু”, গ্রিসের একটি

















