ঢাকা ০৩:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ কেন বন্ধ করলো অন্তর্বর্তী সরকার? সাংবাদিক আনিস আলমগীর ও অভিনেত্রী শাওনসহ চারজনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ গুলিবিদ্ধ ওসমান হাদিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে সরকার সমালোচক সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে আটক ‘পাকিস্তানি বাহিনী বুদ্ধিজীবী হত্যা করেনি’  চবি উপ-উপাচার্যের বক্তব্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ঢাবিতে ‘রাজাকার ঘৃণাস্তম্ভ’, জুতা নিক্ষেপ লন্ডনে তারেক রহমানের শেষ কর্মসূচি ১৬ ডিসেম্বর গোলাম আজম ও নিজামীকে দেশপ্রেমিক বলায় পাবনায় প্রতিবাদ মিরপুরের বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে মানুষের ঢল, ঘাতকদের বিচারের দাবি জগন্নাথ হলের সড়কে ছাত্রদের আঁকা গোলাম আজমদের ছবি মুছে দিল প্রশাসন

এক দিন না যেতেই ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের কর্মকর্তার বদলির আদেশ

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৬:১০:১৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুন ২০১৯
  • / 1275
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গত ২রা জুন সোমবার আড়ং এ অভিযান চালানো ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ পরিচালক মনজুর মো. শাহরিয়ারকে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর খুলনা জোনে বদলী করা হয়েছে।

রাজধানীর উত্তরায় আড়ং এর শোরুমে সোমবার (৩ জুন) অভিযান পরিচালনার পরপরই তাকে বদলির প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।এর আগে সোমবার রাজধানীর উত্তরায় আড়ং শোরুমকে সাড়ে চার লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটি সাময়িক বন্ধ করে দেয়া হয়।

মূলত ৭০০ টাকার পাঞ্জাবি ১ হাজার ৩০০ টাকায় বিক্রি করায় এ জরিমানা করা হয়।অধিদফতরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে অভিযান পরিচালনা করেন অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মণ্ডল।

মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার জানান, গত ২৫ মে এক ক্রেতা উত্তরা আড়ং থেকে একটি পাঞ্জাবি কেনেন ৭১৩ টাকায়। একই পাঞ্জাবি ৩১ মে কিনতে গেলে দাম রাখা হয় ১ হাজার ৩১৫ টাকা। অধিদফতরে এমন অভিযোগ করেন এক ভোক্তা। এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ উত্তরা আড়ংয়ে অভিযান চালিয়ে এর সত্যতা পায় অধিদফতর। আড়ং অভিনব কায়দায় বেশি দাম লিখে ভোক্তাদের ঠকাচ্ছে।  ছয়দিনে একটি পাঞ্জাবির দাম বেড়েছে ৬০০ টাকা। যার কোনো কারণ জানাতে পারেনি আড়ংয়ের শোরুমের কর্মকর্তারা।

তিনি আরো বলেন, আড়ং একটি ব্র্যান্ড। দেশি ভালো পণ্য বিক্রি করে বলে তাদের প্রতি ক্রেতাদের রয়েছে আস্থা ও সরল বিশ্বাস। এটি পুঁজি করে কৌশলে ক্রেতাদের ঠকাচ্ছে, যা ভোক্তা আইনপরিপন্থী। এ অপরাধে তাদের সাড়ে চার লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটি সাময়িক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

দাম বাড়ানোর যৌক্তিক কারণ ব্যাখ্যা করতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ অধিদফতরে ডাকা হয়েছে। তারা যৌক্তিক কোনো ব্যাখ্যা দিতে না পারলে প্রতিষ্ঠানটি স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেয়া হবে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

এক দিন না যেতেই ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের কর্মকর্তার বদলির আদেশ

আপডেট সময় : ০৬:১০:১৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুন ২০১৯

গত ২রা জুন সোমবার আড়ং এ অভিযান চালানো ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ পরিচালক মনজুর মো. শাহরিয়ারকে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর খুলনা জোনে বদলী করা হয়েছে।

রাজধানীর উত্তরায় আড়ং এর শোরুমে সোমবার (৩ জুন) অভিযান পরিচালনার পরপরই তাকে বদলির প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।এর আগে সোমবার রাজধানীর উত্তরায় আড়ং শোরুমকে সাড়ে চার লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটি সাময়িক বন্ধ করে দেয়া হয়।

মূলত ৭০০ টাকার পাঞ্জাবি ১ হাজার ৩০০ টাকায় বিক্রি করায় এ জরিমানা করা হয়।অধিদফতরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে অভিযান পরিচালনা করেন অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মণ্ডল।

মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার জানান, গত ২৫ মে এক ক্রেতা উত্তরা আড়ং থেকে একটি পাঞ্জাবি কেনেন ৭১৩ টাকায়। একই পাঞ্জাবি ৩১ মে কিনতে গেলে দাম রাখা হয় ১ হাজার ৩১৫ টাকা। অধিদফতরে এমন অভিযোগ করেন এক ভোক্তা। এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ উত্তরা আড়ংয়ে অভিযান চালিয়ে এর সত্যতা পায় অধিদফতর। আড়ং অভিনব কায়দায় বেশি দাম লিখে ভোক্তাদের ঠকাচ্ছে।  ছয়দিনে একটি পাঞ্জাবির দাম বেড়েছে ৬০০ টাকা। যার কোনো কারণ জানাতে পারেনি আড়ংয়ের শোরুমের কর্মকর্তারা।

তিনি আরো বলেন, আড়ং একটি ব্র্যান্ড। দেশি ভালো পণ্য বিক্রি করে বলে তাদের প্রতি ক্রেতাদের রয়েছে আস্থা ও সরল বিশ্বাস। এটি পুঁজি করে কৌশলে ক্রেতাদের ঠকাচ্ছে, যা ভোক্তা আইনপরিপন্থী। এ অপরাধে তাদের সাড়ে চার লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটি সাময়িক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

দাম বাড়ানোর যৌক্তিক কারণ ব্যাখ্যা করতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ অধিদফতরে ডাকা হয়েছে। তারা যৌক্তিক কোনো ব্যাখ্যা দিতে না পারলে প্রতিষ্ঠানটি স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেয়া হবে।