ঢাকা ০৫:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
গোলাম আজম ও নিজামীকে দেশপ্রেমিক বলায় পাবনায় প্রতিবাদ মিরপুরের বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে মানুষের ঢল, ঘাতকদের বিচারের দাবি জগন্নাথ হলের সড়কে ছাত্রদের আঁকা গোলাম আজমদের ছবি মুছে দিল প্রশাসন নির্বাচন বয়কট করছে না আওয়ামী লীগ সুদানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী ঘাঁটিতে হামলা: নিহত ৬ বাংলাদেশি বিএনপি থেকে তিন দফা বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামানকে দলে নিল জামায়াত তিন দলের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার জরুরি বৈঠক: ‘ষড়যন্ত্রকারীরা প্রশিক্ষিত শুটার নামিয়েছে মাঠে’ ওসমান হাদির গ্রামের বাড়িতে চুরির ঘটনা হাদিকে গুলি: প্রধান সন্দেহভাজনের ছবি প্রকাশ, ধরিয়ে দিতে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার রিকশায় থাকা হাদিকে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে গুলি

৪০ কিঃ মিঃ পথ পায়ে হেঁটে প্রতিদিন স্কুলে যেতেন টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার!

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ১১:৫৫:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ মে ২০১৯
  • / 1851
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

লেখাপড়ার তাগিদে ৪০ কিলোমিটার পথ হেঁটে স্কুলে গিয়েছেন ডাক ও  টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। এক সাক্ষাৎকারে নিজের জীবনযুদ্ধের কথা বলতে গিয়ে তিনি এই স্মৃতিচারণ করেন।
মন্ত্রী বলেন, পরিশ্রমই সফলতার মূল চাবিকাঠি। আজকের এখানে পর্যন্ত পৌঁছাতে আমাকেও অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। ৪০ কিলোমিটার হেঁটে গিয়ে ক্লাস করে আবার ৪০ কিলোমিটার হেঁটে বাড়ি ফিরতাম। আমাদের সময়ে তো এত সুযোগও ছিল না।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, এখনকার মানুষদের আর কষ্ট করতে হয় না, ইন্টারনেটের বদৌলতে তারা পেয়েছে গুগল। তাই জানার চেষ্টা থাকলে খুব সহজেই তারা জেনে যাচ্ছে সবকিছু- যা আমাদের সময় ছিল খুবই কষ্টসাধ্য।
১৯৪৯ সালের ১২ আগস্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার চর চারতলা গ্রামের নানারবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন মোস্তাফা জব্বার। বাবা আব্দুল জব্বার তালুকদার পাটের ব্যবসার পাশাপাশি একজন পুরোদস্তর কৃষক ছিলেন। মা রাবেয়া খাতুন ছিলেন গৃহিণী।
দাদার প্রতিষ্ঠিত চর চারতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়াশোনার মাধ্যমে মোস্তাফা জব্বারের শিক্ষাজীবন শুরু হয়। গ্রাম থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে হবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জে এএবিসি হাইস্কুল থেকে ১৯৬৬ সালে মাধ্যমিক ও ঢাকা কলেজ থেকে ১৯৬৮ সালে উচমাধ্যমিক পাস করেন তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে ভর্তি হন। নিয়মানুযায়ী ১৯৭১ সালে পরীক্ষা হওয়ার কথা থাকলেও মুক্তিযুদ্ধের কারণে পরে সেটি বাতিল হওয়ায় পরের বছর ১৯৭২ সালে তিনি স্নাতক পাস করেন।
এরপর তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৪ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। নিজের এ পরিশ্রমের ফল ইতিমধ্যেই ভোগ করছেন এ মন্ত্রী। দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিদেশেও তিনি অর্জন করেছেন নেতৃত্বের আসন।
ছাত্রজীবন থেকেই লেখালেখিতে পটু মোস্তাফা জব্বার রাজনীতি, মুক্তিযুদ্ধ, সাহিত্য চর্চা, সাংবাদিকতা, নাট্য আন্দোলন- এসবের সঙ্গে ব্যাপকভাবে জড়িত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

৪০ কিঃ মিঃ পথ পায়ে হেঁটে প্রতিদিন স্কুলে যেতেন টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার!

আপডেট সময় : ১১:৫৫:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ মে ২০১৯

লেখাপড়ার তাগিদে ৪০ কিলোমিটার পথ হেঁটে স্কুলে গিয়েছেন ডাক ও  টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। এক সাক্ষাৎকারে নিজের জীবনযুদ্ধের কথা বলতে গিয়ে তিনি এই স্মৃতিচারণ করেন।
মন্ত্রী বলেন, পরিশ্রমই সফলতার মূল চাবিকাঠি। আজকের এখানে পর্যন্ত পৌঁছাতে আমাকেও অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। ৪০ কিলোমিটার হেঁটে গিয়ে ক্লাস করে আবার ৪০ কিলোমিটার হেঁটে বাড়ি ফিরতাম। আমাদের সময়ে তো এত সুযোগও ছিল না।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, এখনকার মানুষদের আর কষ্ট করতে হয় না, ইন্টারনেটের বদৌলতে তারা পেয়েছে গুগল। তাই জানার চেষ্টা থাকলে খুব সহজেই তারা জেনে যাচ্ছে সবকিছু- যা আমাদের সময় ছিল খুবই কষ্টসাধ্য।
১৯৪৯ সালের ১২ আগস্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার চর চারতলা গ্রামের নানারবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন মোস্তাফা জব্বার। বাবা আব্দুল জব্বার তালুকদার পাটের ব্যবসার পাশাপাশি একজন পুরোদস্তর কৃষক ছিলেন। মা রাবেয়া খাতুন ছিলেন গৃহিণী।
দাদার প্রতিষ্ঠিত চর চারতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়াশোনার মাধ্যমে মোস্তাফা জব্বারের শিক্ষাজীবন শুরু হয়। গ্রাম থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে হবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জে এএবিসি হাইস্কুল থেকে ১৯৬৬ সালে মাধ্যমিক ও ঢাকা কলেজ থেকে ১৯৬৮ সালে উচমাধ্যমিক পাস করেন তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে ভর্তি হন। নিয়মানুযায়ী ১৯৭১ সালে পরীক্ষা হওয়ার কথা থাকলেও মুক্তিযুদ্ধের কারণে পরে সেটি বাতিল হওয়ায় পরের বছর ১৯৭২ সালে তিনি স্নাতক পাস করেন।
এরপর তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৪ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। নিজের এ পরিশ্রমের ফল ইতিমধ্যেই ভোগ করছেন এ মন্ত্রী। দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিদেশেও তিনি অর্জন করেছেন নেতৃত্বের আসন।
ছাত্রজীবন থেকেই লেখালেখিতে পটু মোস্তাফা জব্বার রাজনীতি, মুক্তিযুদ্ধ, সাহিত্য চর্চা, সাংবাদিকতা, নাট্য আন্দোলন- এসবের সঙ্গে ব্যাপকভাবে জড়িত ছিলেন।