ঢাকা ০৩:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ কেন বন্ধ করলো অন্তর্বর্তী সরকার? সাংবাদিক আনিস আলমগীর ও অভিনেত্রী শাওনসহ চারজনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ গুলিবিদ্ধ ওসমান হাদিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে সরকার সমালোচক সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে আটক ‘পাকিস্তানি বাহিনী বুদ্ধিজীবী হত্যা করেনি’  চবি উপ-উপাচার্যের বক্তব্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ঢাবিতে ‘রাজাকার ঘৃণাস্তম্ভ’, জুতা নিক্ষেপ লন্ডনে তারেক রহমানের শেষ কর্মসূচি ১৬ ডিসেম্বর গোলাম আজম ও নিজামীকে দেশপ্রেমিক বলায় পাবনায় প্রতিবাদ মিরপুরের বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে মানুষের ঢল, ঘাতকদের বিচারের দাবি জগন্নাথ হলের সড়কে ছাত্রদের আঁকা গোলাম আজমদের ছবি মুছে দিল প্রশাসন

বায়তুল মোকাররম মসজিদ ও ইসলামী ফাউন্ডেশন বোমা মেরে উড়িয়ে দেবার হুমকি

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ১২:২৫:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ মে ২০১৯
  • / 1830
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
  • ৫২বাংলা টিভি,ঢাকা

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম মসজিদ ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনে বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। নিজেকে জেএমবি কর্মী পরিচয় দিয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক বরাবরে ডাকযোগে এক চিঠিতে এ হুমকি দিয়েছেন হাফেজ মাওলানা কামরুজ্জামান নামে এক ব্যক্তি।
মসজিদের আশপাশের আবাসিক হোটেলগুলো থেকে অনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধের দাবি জানিয়ে এ হুমকি দেওয়া হয়।
বিষয়টি অবহিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ধর্ম মন্ত্রণালয়, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার ও সংশ্লিষ্ট জোনের উপ-পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

সংশ্লিষ্টরা জানান, রাজধানীর বংশালের ১৪৭/এ, মালিটোলার ঠিকানা ব্যবহার করে হাফেজ মাওলানা কামরুজ্জামান নিজেকে জেএমবি কর্মী পরিচয় দিয়ে গত ১৮ এপ্রিল ডাকযোগে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক বরাবর একটি চিঠি পাঠান। চিঠিটি গত ২৩ এপ্রিল ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করে। এরপরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ধর্ম মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়। ধর্ম মন্ত্রণালয় বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানায়। এছাড়াও ইসলামিক ফাউন্ডেশন ঢাকা মহানগর পুলিশকে আলাদা চিঠি দিয়ে বিষয়টি অবহিত করে ব্যবস্থা নিতে বলেছে।

জেএমবির ওই চিঠিতে বলা হয়- ‘‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু অসাধু কর্মকর্তার সহায়তায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের আধা কিলোমিটারের মধ্যে গুলিস্তানের ফুলবাড়িয়ার ১০ কাজী আবদুল হামিদ লেনের ‘হোটেল স্বর্নালী’তে ৩য় থেকে ৫ম তলা পর্যন্ত প্রতিটি ফ্লোরে দৈনিক ৪০ থেকে ৫০টি তরুণীকে দিয়ে অসামাজিক কর্মকাণ্ড চালানো হচ্ছে।’’

চিঠিতে বলা হয়- হোটেলের পরিচালকের বাড়ি নারায়ণগঞ্জে। এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এলাকার পুলিশের কিছু কর্মকর্তাও জড়িত। দৈনিক যা আয় হয় তার বেশিরভাগ টাকা ওইসব অসাধু কর্মকর্তাদের মধ্যেও ভাগ-বাটোয়ারা হয় বলে চিঠিতে অভিযোগ করা হয়। চিঠিতে লালবাগ জোনের একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তার নামও উল্লেখ করা হয়।

চিঠিতে আরও বলা হয়- ‘‘এসব অন্যায় ব্যভিচার আমরা সহ্য করবো না। যদি ওই হোটেলের অসামাজিক কর্মকাণ্ড বন্ধ করা না হয় তাহলে বায়তুল মোকাররম মসজিদ ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনে বোমা ও টাইম বোমা চার্জ করে বিশ্ব মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিয়ে বলবো, ব্যাভিচারে বাংলাদেশ শীর্ষে। বোমার আঘাতে ইমাম, খতিব, মোয়াজ্জিন কাউকে শেষ করতে পারলেই কেল্লা ফতেহ। পুরো বিশ্ব জানবে, বর্তমান সরকার ও তার পুলিশ কী জঘন্য কাজে লিপ্ত। নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দু’টি মসজিদে ৫০জন মানুষকে মারা হয়েছে। আমরা ইচ্ছা করলে তার কয়েকগুন নামাজিকে বায়তুল মোকাররমের মধ্যে মেরে নিরাপদে চলে আসতে সক্ষম। তাই অবিলম্বে এ অসামাজিক কর্মকাণ্ড বন্ধ করুন।’’
বায়তুল মোকাররম মসজিদে বোমা হামলার হুমকির বিষয়ে জানতে চাইলে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব কাজী হাসান আহমেদ চিঠির বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, জেএমবি কর্মী নামে যে উড়ো চিঠিটা পাঠানো হয়েছে সেটা আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।
এ বিষয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক কাজী নুরুল ইসলাম বলেন, চিঠি পাওয়ার পরপরই আমরা এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছি। স্বরাষ্ট্র সচিবকে চিঠি দিয়েছি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। তাছাড়া ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ও জোনের উপ কমিশনারকে চিঠির অনুলিপি দিয়েছি। তারা সতর্ক অবস্থানে আছেন বলে জানিয়েছেন।

জঙ্গি হামলার হুমকির বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল জোনের উপ কমিশনার আনোয়ার হোসেন বলেন, চিঠিটি আমরা পেয়েছি। এ বিষয়ে আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় আছি। যেখানে নিরাপত্তা বাড়ানো উচিত সেখানে নিরাপত্তা বাড়িয়েছি। তদন্ত চলছে। তবে বলার মতো এখনও কিছু পাইনি। চিঠির ঠিকানা অনুযায়ী জেএমবি কর্মীকে এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। তদন্ত শেষ করে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাবো।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বায়তুল মোকাররম মসজিদ ও ইসলামী ফাউন্ডেশন বোমা মেরে উড়িয়ে দেবার হুমকি

আপডেট সময় : ১২:২৫:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ মে ২০১৯
  • ৫২বাংলা টিভি,ঢাকা

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম মসজিদ ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনে বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। নিজেকে জেএমবি কর্মী পরিচয় দিয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক বরাবরে ডাকযোগে এক চিঠিতে এ হুমকি দিয়েছেন হাফেজ মাওলানা কামরুজ্জামান নামে এক ব্যক্তি।
মসজিদের আশপাশের আবাসিক হোটেলগুলো থেকে অনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধের দাবি জানিয়ে এ হুমকি দেওয়া হয়।
বিষয়টি অবহিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ধর্ম মন্ত্রণালয়, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার ও সংশ্লিষ্ট জোনের উপ-পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

সংশ্লিষ্টরা জানান, রাজধানীর বংশালের ১৪৭/এ, মালিটোলার ঠিকানা ব্যবহার করে হাফেজ মাওলানা কামরুজ্জামান নিজেকে জেএমবি কর্মী পরিচয় দিয়ে গত ১৮ এপ্রিল ডাকযোগে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক বরাবর একটি চিঠি পাঠান। চিঠিটি গত ২৩ এপ্রিল ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করে। এরপরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ধর্ম মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়। ধর্ম মন্ত্রণালয় বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানায়। এছাড়াও ইসলামিক ফাউন্ডেশন ঢাকা মহানগর পুলিশকে আলাদা চিঠি দিয়ে বিষয়টি অবহিত করে ব্যবস্থা নিতে বলেছে।

জেএমবির ওই চিঠিতে বলা হয়- ‘‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু অসাধু কর্মকর্তার সহায়তায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের আধা কিলোমিটারের মধ্যে গুলিস্তানের ফুলবাড়িয়ার ১০ কাজী আবদুল হামিদ লেনের ‘হোটেল স্বর্নালী’তে ৩য় থেকে ৫ম তলা পর্যন্ত প্রতিটি ফ্লোরে দৈনিক ৪০ থেকে ৫০টি তরুণীকে দিয়ে অসামাজিক কর্মকাণ্ড চালানো হচ্ছে।’’

চিঠিতে বলা হয়- হোটেলের পরিচালকের বাড়ি নারায়ণগঞ্জে। এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এলাকার পুলিশের কিছু কর্মকর্তাও জড়িত। দৈনিক যা আয় হয় তার বেশিরভাগ টাকা ওইসব অসাধু কর্মকর্তাদের মধ্যেও ভাগ-বাটোয়ারা হয় বলে চিঠিতে অভিযোগ করা হয়। চিঠিতে লালবাগ জোনের একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তার নামও উল্লেখ করা হয়।

চিঠিতে আরও বলা হয়- ‘‘এসব অন্যায় ব্যভিচার আমরা সহ্য করবো না। যদি ওই হোটেলের অসামাজিক কর্মকাণ্ড বন্ধ করা না হয় তাহলে বায়তুল মোকাররম মসজিদ ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনে বোমা ও টাইম বোমা চার্জ করে বিশ্ব মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিয়ে বলবো, ব্যাভিচারে বাংলাদেশ শীর্ষে। বোমার আঘাতে ইমাম, খতিব, মোয়াজ্জিন কাউকে শেষ করতে পারলেই কেল্লা ফতেহ। পুরো বিশ্ব জানবে, বর্তমান সরকার ও তার পুলিশ কী জঘন্য কাজে লিপ্ত। নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দু’টি মসজিদে ৫০জন মানুষকে মারা হয়েছে। আমরা ইচ্ছা করলে তার কয়েকগুন নামাজিকে বায়তুল মোকাররমের মধ্যে মেরে নিরাপদে চলে আসতে সক্ষম। তাই অবিলম্বে এ অসামাজিক কর্মকাণ্ড বন্ধ করুন।’’
বায়তুল মোকাররম মসজিদে বোমা হামলার হুমকির বিষয়ে জানতে চাইলে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব কাজী হাসান আহমেদ চিঠির বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, জেএমবি কর্মী নামে যে উড়ো চিঠিটা পাঠানো হয়েছে সেটা আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।
এ বিষয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক কাজী নুরুল ইসলাম বলেন, চিঠি পাওয়ার পরপরই আমরা এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছি। স্বরাষ্ট্র সচিবকে চিঠি দিয়েছি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। তাছাড়া ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ও জোনের উপ কমিশনারকে চিঠির অনুলিপি দিয়েছি। তারা সতর্ক অবস্থানে আছেন বলে জানিয়েছেন।

জঙ্গি হামলার হুমকির বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল জোনের উপ কমিশনার আনোয়ার হোসেন বলেন, চিঠিটি আমরা পেয়েছি। এ বিষয়ে আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় আছি। যেখানে নিরাপত্তা বাড়ানো উচিত সেখানে নিরাপত্তা বাড়িয়েছি। তদন্ত চলছে। তবে বলার মতো এখনও কিছু পাইনি। চিঠির ঠিকানা অনুযায়ী জেএমবি কর্মীকে এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। তদন্ত শেষ করে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাবো।