ঢাকা ০৮:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ডাকসু নেতার হাতে হেনস্থার শিকার ঢাবি অধ্যাপক

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৫:৩৭:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫
  • / 17

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হেনস্থা

অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা ও অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দিনের নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নীল দলের পক্ষ থেকে উপাচার্যকে স্মারকলিপি দিতে গিয়ে হামলা ও হেনস্থার শিকার হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুর ২টার দিকে একজন ডাকসু নেতার নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগে এই হেনস্থার ঘটনা ঘটে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এবং আওয়ামীপন্থি নীল দলের আহবায়ক আ ক ম জামাল উদ্দীন জানিয়েছেন, স্মারকলিপি দেওয়ার জন্য পাঁচজন শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন। তারা সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে গেলে কয়েকটি ছেলে মব সৃষ্টি করে শিক্ষকদের শারীরিকভাবে লাঞ্জিত ও হামলা চালায়। নিজ বিভাগে গিয়ে হেনস্তার শিকার হয়ে তারা ক্যাম্পাস ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।

আক্রান্ত শিক্ষকদের মধ্যে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা, নীলদলের কনভেনর অধ্যাপক ড. আ. ক. ম. জামাল উদ্দীন, কো-কনভেনর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আজমল হোসেন ভূঁইয়া ও অধ্যাপক ড. তৌহিদা রশীদ।
হামলাকারীদের বক্তব্য, আ ক ম জামালসহ কয়েকজন শিক্ষক দুপুরে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে যান। খবর পেয়ে অনুষদ ভবনের সামনে জড়ো হন কয়েকজন শিক্ষার্থী। সেখানে ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক এবি জুবায়েরের নেতৃত্বে আ ক ম জামালকে ধাওয়া করা হয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসা এক ভিডিওতে দেখা যায়, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সিঁড়িতে জুবায়ের অধ্যাপক জামালকে জাপটে ধরে আটকানোর চেষ্টা করছেন। নিজেকে ছাড়াতে গিয়ে আ ক ম জামাল হুডি খুলে ফেলেন। এরপর তিনি সিঁড়ি বেয়ে নেমে দৌড়ে পালালে জুবায়েরও তার পিছু নেন।

এক পর্যায়ে অধ্যাপক জামাল একটি গাড়িতে উঠে পড়েন। তখনও জুবায়ের গাড়ির দরজা ধরে তাকে নামানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন।

ডাকসু নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্যানেল থেকে সমাজসেবা সম্পাদক নির্বাচিত জুবায়ের পরে এক ফেসবুক পোস্টে লেখেন, “স্বঘোষিত রাজাকারের বাচ্চাগুলোরে ধইরা ধইরা ব্রাশফায়ার দিতে হবে বলা আওয়ামী লীগের কুলাঙ্গার শিক্ষক আকম জামাল, নীল দলের পোস্টেড নেতা জিনাত হুদাসহ ৫ জন ফ্যাসিস্টের দোসর শিক্ষক আজকে ক্যাম্পাসে এসে গোপন মিটিংয়ে যুক্ত হয়েছিল। খবর পেয়ে আমরা তাদেরকে পাকড়াও করে পুলিশে দেয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু আনফরচুনেটলি আগে থেকে প্রস্তুত করে রাখা গাড়িতে উঠে পালিয়ে যায় কুলাঙ্গারগুলো!”

তিনি আরও লেখেন, “ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থীরা এদের ক্লাস-পরীক্ষা সব বয়কট করেছে। তারপরও এরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করার সাহস কিভাবে পায়! প্রশাসনকে আরো তৎপর হতে হবে। খুনিদের সাথে কোনো সহাবস্থানের সুযোগ নেই। সবগুলোকে বিচারের আওতায় আনতে হবে শীঘ্রই।”

নিউজটি শেয়ার করুন

ডাকসু নেতার হাতে হেনস্থার শিকার ঢাবি অধ্যাপক

আপডেট সময় : ০৫:৩৭:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫

অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা ও অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দিনের নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নীল দলের পক্ষ থেকে উপাচার্যকে স্মারকলিপি দিতে গিয়ে হামলা ও হেনস্থার শিকার হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুর ২টার দিকে একজন ডাকসু নেতার নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগে এই হেনস্থার ঘটনা ঘটে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এবং আওয়ামীপন্থি নীল দলের আহবায়ক আ ক ম জামাল উদ্দীন জানিয়েছেন, স্মারকলিপি দেওয়ার জন্য পাঁচজন শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন। তারা সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে গেলে কয়েকটি ছেলে মব সৃষ্টি করে শিক্ষকদের শারীরিকভাবে লাঞ্জিত ও হামলা চালায়। নিজ বিভাগে গিয়ে হেনস্তার শিকার হয়ে তারা ক্যাম্পাস ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।

আক্রান্ত শিক্ষকদের মধ্যে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা, নীলদলের কনভেনর অধ্যাপক ড. আ. ক. ম. জামাল উদ্দীন, কো-কনভেনর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আজমল হোসেন ভূঁইয়া ও অধ্যাপক ড. তৌহিদা রশীদ।
হামলাকারীদের বক্তব্য, আ ক ম জামালসহ কয়েকজন শিক্ষক দুপুরে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে যান। খবর পেয়ে অনুষদ ভবনের সামনে জড়ো হন কয়েকজন শিক্ষার্থী। সেখানে ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক এবি জুবায়েরের নেতৃত্বে আ ক ম জামালকে ধাওয়া করা হয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসা এক ভিডিওতে দেখা যায়, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সিঁড়িতে জুবায়ের অধ্যাপক জামালকে জাপটে ধরে আটকানোর চেষ্টা করছেন। নিজেকে ছাড়াতে গিয়ে আ ক ম জামাল হুডি খুলে ফেলেন। এরপর তিনি সিঁড়ি বেয়ে নেমে দৌড়ে পালালে জুবায়েরও তার পিছু নেন।

এক পর্যায়ে অধ্যাপক জামাল একটি গাড়িতে উঠে পড়েন। তখনও জুবায়ের গাড়ির দরজা ধরে তাকে নামানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন।

ডাকসু নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্যানেল থেকে সমাজসেবা সম্পাদক নির্বাচিত জুবায়ের পরে এক ফেসবুক পোস্টে লেখেন, “স্বঘোষিত রাজাকারের বাচ্চাগুলোরে ধইরা ধইরা ব্রাশফায়ার দিতে হবে বলা আওয়ামী লীগের কুলাঙ্গার শিক্ষক আকম জামাল, নীল দলের পোস্টেড নেতা জিনাত হুদাসহ ৫ জন ফ্যাসিস্টের দোসর শিক্ষক আজকে ক্যাম্পাসে এসে গোপন মিটিংয়ে যুক্ত হয়েছিল। খবর পেয়ে আমরা তাদেরকে পাকড়াও করে পুলিশে দেয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু আনফরচুনেটলি আগে থেকে প্রস্তুত করে রাখা গাড়িতে উঠে পালিয়ে যায় কুলাঙ্গারগুলো!”

তিনি আরও লেখেন, “ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থীরা এদের ক্লাস-পরীক্ষা সব বয়কট করেছে। তারপরও এরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করার সাহস কিভাবে পায়! প্রশাসনকে আরো তৎপর হতে হবে। খুনিদের সাথে কোনো সহাবস্থানের সুযোগ নেই। সবগুলোকে বিচারের আওতায় আনতে হবে শীঘ্রই।”