ঢাকা ০৬:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

প্লট না নিলেও টিউলিপের সাজা, কারণ কী; রায়কে “ত্রুটিপূর্ণ ও প্রহসনমূলক” বললেন টিউলিপ

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৬:৩০:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৫
  • / 66

টিউলিপ সিদ্দিকী। ফাইল ছবি

অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট সদস্য, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিক পূর্বাচলে কোন প্লট বরাদ্দ না নিয়েও সাজার মুখে পড়লেন।

শেখ হাসিনার পরিবারের বিরুদ্ধে পূর্বাচলের ছয়টি প্লট নিয়ে ছয়টি মামলা হয়েছে; এর একটি প্লটও তাঁর ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিকের নামে নেই। কিন্তু তিনটি মামলায় তিনি আসামি, এর একটিতে তাঁর কারাদণ্ড হলো।

সোমবার (১ নভেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪–এর বিচারক মো. রবিউল আলমের দেওয়া রায়ে টিউলিপকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে তাঁকে। অর্থ দিতে ব্যর্থ হলে তাঁকে আরও ছয় মাস কারাভোগ করতে হবে।

যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট সদস্য, সাবেক মন্ত্রী টিউলিপকে সাজা দেওয়ার কারণ হলো, তিনি তাঁর মা শেখ রেহানার নামে রাজউকের পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ১০ কাঠার একটি প্লট বরাদ্দে তাঁর রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়েছিলেন।

রায়কে “ত্রুটিপূর্ণ ও প্রহসনমূলক” বললেন টিউলিপ
প্লট বরাদ্দে অনিয়মের মামলায় ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের অনুপস্থিতিতে তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের আদালত যে রায় দিয়েছে, সেটাকে ‘ত্রুটিপূর্ণ ও প্রহসনমূলক’ বলে মন্তব্য করেছেন মিজ সিদ্দিক। রায় ঘোষণা হওয়ার পর ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানকে দেওয়া এক তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি একথা বলেন।

“এর (বিচারের) শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়াটি ত্রুটিপূর্ণ ও প্রহসনমূলক ছাড়া আর কিছুই নয়,” বলেন মিজ সিদ্দিক।

তিনি আরও বলেন, “এই ক্যাঙ্গারু কোর্টের সম্পূর্ণ অযৌক্তিক রায়টি আগে থেকেই অনুমান করা যাচ্ছিল…আমার মনোযোগ সবসময় হ্যাম্পস্টেড এবং হাইগেটের আমার ভোটারদের ওপর এবং আমি বাংলাদেশের নোংরা রাজনীতিতে বিভ্রান্ত হতে রাজি নই।”

এদিকে, মিজ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে দেওয়া দুর্নীতির রায়কে স্বীকৃতি দিচ্ছে না তার দল লেবার পার্টিও।

কারণ হিসেবে দলটি বলছে, বিচারকাজ চলাকালে টিউলিপ সিদ্দিককে ন্যায্য আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়নি। এর আগে, গত সপ্তাহে শীর্ষস্থানীয় ব্রিটিশ আইনজীবীদের একটি দল বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দেখা করে বলেছিলেন যে, মিজ সিদ্দিকের অনুপস্থিতিতে তার বিরুদ্ধে চলা বিচারকাজটি “সাজানো, কল্পিত এবং অন্যায্য”।

নিউজটি শেয়ার করুন

প্লট না নিলেও টিউলিপের সাজা, কারণ কী; রায়কে “ত্রুটিপূর্ণ ও প্রহসনমূলক” বললেন টিউলিপ

আপডেট সময় : ০৬:৩০:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৫

যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট সদস্য, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিক পূর্বাচলে কোন প্লট বরাদ্দ না নিয়েও সাজার মুখে পড়লেন।

শেখ হাসিনার পরিবারের বিরুদ্ধে পূর্বাচলের ছয়টি প্লট নিয়ে ছয়টি মামলা হয়েছে; এর একটি প্লটও তাঁর ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিকের নামে নেই। কিন্তু তিনটি মামলায় তিনি আসামি, এর একটিতে তাঁর কারাদণ্ড হলো।

সোমবার (১ নভেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪–এর বিচারক মো. রবিউল আলমের দেওয়া রায়ে টিউলিপকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে তাঁকে। অর্থ দিতে ব্যর্থ হলে তাঁকে আরও ছয় মাস কারাভোগ করতে হবে।

যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট সদস্য, সাবেক মন্ত্রী টিউলিপকে সাজা দেওয়ার কারণ হলো, তিনি তাঁর মা শেখ রেহানার নামে রাজউকের পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ১০ কাঠার একটি প্লট বরাদ্দে তাঁর রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়েছিলেন।

রায়কে “ত্রুটিপূর্ণ ও প্রহসনমূলক” বললেন টিউলিপ
প্লট বরাদ্দে অনিয়মের মামলায় ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের অনুপস্থিতিতে তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের আদালত যে রায় দিয়েছে, সেটাকে ‘ত্রুটিপূর্ণ ও প্রহসনমূলক’ বলে মন্তব্য করেছেন মিজ সিদ্দিক। রায় ঘোষণা হওয়ার পর ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানকে দেওয়া এক তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি একথা বলেন।

“এর (বিচারের) শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়াটি ত্রুটিপূর্ণ ও প্রহসনমূলক ছাড়া আর কিছুই নয়,” বলেন মিজ সিদ্দিক।

তিনি আরও বলেন, “এই ক্যাঙ্গারু কোর্টের সম্পূর্ণ অযৌক্তিক রায়টি আগে থেকেই অনুমান করা যাচ্ছিল…আমার মনোযোগ সবসময় হ্যাম্পস্টেড এবং হাইগেটের আমার ভোটারদের ওপর এবং আমি বাংলাদেশের নোংরা রাজনীতিতে বিভ্রান্ত হতে রাজি নই।”

এদিকে, মিজ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে দেওয়া দুর্নীতির রায়কে স্বীকৃতি দিচ্ছে না তার দল লেবার পার্টিও।

কারণ হিসেবে দলটি বলছে, বিচারকাজ চলাকালে টিউলিপ সিদ্দিককে ন্যায্য আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়নি। এর আগে, গত সপ্তাহে শীর্ষস্থানীয় ব্রিটিশ আইনজীবীদের একটি দল বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দেখা করে বলেছিলেন যে, মিজ সিদ্দিকের অনুপস্থিতিতে তার বিরুদ্ধে চলা বিচারকাজটি “সাজানো, কল্পিত এবং অন্যায্য”।