শুধু শেখ হাসিনার রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী নিম্ন আদালতের!
- আপডেট সময় : ০২:৩৭:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫
- / 128
২০২৪ সালের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে করা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। সোমবার (১৭ নভেম্বর) এই রায় ঘোষণা করেন আদালত।
মামলাটির শিরোনাম ‘চিফ প্রসিকিউটর বনাম শেখ হাসিনা ও অন্যান্য’। এই মামলায় আইনের দৃষ্টিতে শেখ হাসিনা একজন পলাতক আসামি। তার পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী (স্টেট ডিফেন্স) ছিলেন নিম্ন আদালতের আইনজীবী মো. আমির হোসেন। আর রাষ্ট্রপক্ষে বক্তব্য রাখেন রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান। ১৯৯৬ সাল থেকে তিনি সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী। তিনি সর্বোচ্চ আদালত আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন দুই দশক আগে ২০০৫ সালে।
প্রসিকিউশন থেকে বক্তব্য রাখেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, যিনি অ্যাটর্নি জেনারেলের পদমর্যাদায় চিফ প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে তিনিও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী।
রাষ্ট্রপক্ষে বা প্রসিকিউশনের পক্ষে এমন বাঘা বাঘা আইনজীবী বক্তব্য রাখলেও শেখ হাসিনার পক্ষে স্টেট ডিফেন্স হিসেবে যিনি নিয়োগ পেলেন তিনি নিম্ন আদালতের একজন আইনজীবী।
গতকাল এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি হাইকোর্টের আইনজীবী নই। আমি শুধু জজ কোর্টের আইনজীবী। ট্রাইব্যুনাল আমাকে আরও কয়েকজন পলাতক আসামির পক্ষে স্টেট ডিফেন্স নিয়োগ দিয়েছেন। জজ কোর্টের আইনজীবী হওয়াতে আইনি কোনো সমস্যা নেই। আমি তো কাউকে বলিওনি যে, আমি হাইকোর্টের আইনজীবী।’
প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনার পক্ষে প্রথমে স্টেট ডিফেন্স নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল আমিনুল গনিকে (টিটু)। তিনিও জজ কোর্টের আইনজীবী। তবে ওই নিয়োগের আগে শেখ হাসিনার ফাঁসি চেয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন তিনি। তাকে স্টেট ডিফেন্স কাউন্সেল নিয়োগ দেওয়ার পর খবরের কাগজ পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে ‘শেখ হাসিনার ফাঁসি চাওয়া আইনজীবী এখন তার পক্ষে স্টেট ডিফেন্স’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়, যা পত্রিকার প্রিন্ট সংস্করণেও ভিন্ন শিরোনামে প্রকাশিত হয়। এরপর তার জায়গায় নিম্ন আদালতের আইনজীবী মো. আমির হোসেনকে শেখ হাসিনার পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
পরে শেখ হাসিনার আইনজীবী হতে চেয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আরেক জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না। তবে ট্রাইব্যুনাল তা খারিজ করে দেন।
আরও পড়ুন : ১. রায় ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে যেতে সরকারকে শেখ হাসিনার চ্যালেঞ্জ

















