ঢাকা ০২:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আরও ৩০ দেশের নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা খাঁচা থেকে বের হওয়া সিংহী আড়াই ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে লন্ডনে ফ্লাই রবিবার, নির্জন কারাবাস থেকেই খালেদা জিয়ার ‘নানা রোগের সূচনা’ জানালেন ফখরুল মহাকাশ থেকে পবিত্র  কাবা শরিফের উজ্জ্বল ছবি আন্দোলনে থাকা প্রাথমিকের শিক্ষকদের বদলি, ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি স্থগিত তারেক রহমানের দেশে ফেরা আবার অনিশ্চিত, কীভাবে ভোটার হবেন? খালেদা জিয়া ছাড়া পরিবারের কেউ ভিভিআইপি সুবিধা পাবেন না কুকুরছানা হত্যা মামলায় মায়ের সঙ্গে কারাগারে ২ বছরের শিশু খালেদা জিয়াকে লন্ডন নিতে ঢাকায় আসছেন জুবাইদা যুক্তরাজ্যের ৯ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী!

ভৈরবকে জেলা ঘোষণার দাবিতে সড়ক-রেল-নৌপথ অবরোধের ডাক

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৪:২৬:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫
  • / 99

জেলা ঘোষণার দাবিতে ভৈরব বাজারে সমাবেশ

অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কিশোরগঞ্জের ভৈরবকে জেলা ঘোষণা করার দাবিতে আজ নৌপথ অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এতে মেঘনা নদীর ভৈরব বাজার ঘাটে এক ঘণ্টা নৌযান চলাচল বন্ধ ছিল। কর্মসূচি শেষে আগামী বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) একযোগে সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধের ঘোষণা দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলে। এ সময় বিক্ষোভকারীরা ভৈরব বাজার লঞ্চঘাট ও কার্গোঘাটে অবস্থান নেন।

অবরোধকারীরা বলেন, সোমবার শান্তিপূর্ণ রেল অবরোধের সময় ট্রেন চালক হঠাৎ জোরে হুইসেল বাজালে লোকজন আতঙ্কে সরে যাওয়ার চেষ্টা করে এবং আত্মরক্ষার্থে কয়েকটি পাথর নিক্ষেপ করে। তবে ঘটনার সম্পূর্ণ দায় স্টেশন মাস্টার ও রেলওয়ে থানার ওসির। আমরা ভৈরবকে জেলা ঘোষণার দাবিতে আগেও আন্দোলন করেছি, ভবিষ্যতেও থাকব। মামলা দিয়ে আমাদের দাবিকে দমিয়ে রাখা যাবে না।

এর আগে আন্দোলনকারীরা সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন। আজ তারা নৌপথ অবরোধ করেন এবং দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত মাঠে থাকার ঘোষণা দেন। বৃহস্পতিবার একযোগে সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধের ঘোষণা দেওয়া হয়।

ভৈরব পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক খায়রুল ইসলাম পাভেল বলেন, “ভৈরবকে জেলা ঘোষণা এখানকার সর্বস্তরের মানুষের দাবি। আন্দোলনের মাধ্যমে পূর্বে ৬৫তম জেলার প্রজ্ঞাপন জারি হলেও পরে সরকার কোনো উদ্যোগ নেয়নি। আমরা জেলার দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে মাঠে নেমেছি।”

বাঁশগাড়ি জিল্লুর রহমান স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র রায়হান বলেন, “ভৈরবকে জেলা ঘোষণার দাবিতে আমাদের বিক্ষোভ-মিছিল শান্তিপূর্ণ ছিল। আমরা ব্লকেড কর্মসূচিও পালন করেছি শান্তিপূর্ণভাবে। রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়েছিলাম, তবে প্রশাসনের নির্দেশে তা তুলে নিয়েছি। জেলা বাস্তবায়নের দাবিতে আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছি।”

এ সময় জেলা আন্দোলনের নেতা মাওলানা সাইফুল ইসলাম শাহারিয়া, গণঅধিকার পরিষদের নেতা ইমতিয়াজ আহমেদ কাজল, ছাত্রনেতা জুনাইদসহ আরও অনেকে বক্তব্য দেন।

অবরোধ চলাকালে ভৈরব বাজার লঞ্চঘাটে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এএইচএম মো. আজিমুল হক, ভৈরব নৌথানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাশেদুজ্জামানসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

ভৈরব নৌথানার ওসি মো. রাশেদুজ্জামান বলেন, “ভৈরবকে জেলা ঘোষণার দাবিতে সকালে নৌপথ অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। আমরা সবাইকে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করার আহ্বান জানিয়েছি।”

প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে একবার ভৈরবকে জেলা ঘোষণা করা হয়েছিল, তবে তা পরবর্তীতে বাস্তবায়িত হয়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ভৈরবকে জেলা ঘোষণার দাবিতে সড়ক-রেল-নৌপথ অবরোধের ডাক

আপডেট সময় : ০৪:২৬:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫

কিশোরগঞ্জের ভৈরবকে জেলা ঘোষণা করার দাবিতে আজ নৌপথ অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এতে মেঘনা নদীর ভৈরব বাজার ঘাটে এক ঘণ্টা নৌযান চলাচল বন্ধ ছিল। কর্মসূচি শেষে আগামী বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) একযোগে সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধের ঘোষণা দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলে। এ সময় বিক্ষোভকারীরা ভৈরব বাজার লঞ্চঘাট ও কার্গোঘাটে অবস্থান নেন।

অবরোধকারীরা বলেন, সোমবার শান্তিপূর্ণ রেল অবরোধের সময় ট্রেন চালক হঠাৎ জোরে হুইসেল বাজালে লোকজন আতঙ্কে সরে যাওয়ার চেষ্টা করে এবং আত্মরক্ষার্থে কয়েকটি পাথর নিক্ষেপ করে। তবে ঘটনার সম্পূর্ণ দায় স্টেশন মাস্টার ও রেলওয়ে থানার ওসির। আমরা ভৈরবকে জেলা ঘোষণার দাবিতে আগেও আন্দোলন করেছি, ভবিষ্যতেও থাকব। মামলা দিয়ে আমাদের দাবিকে দমিয়ে রাখা যাবে না।

এর আগে আন্দোলনকারীরা সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন। আজ তারা নৌপথ অবরোধ করেন এবং দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত মাঠে থাকার ঘোষণা দেন। বৃহস্পতিবার একযোগে সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধের ঘোষণা দেওয়া হয়।

ভৈরব পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক খায়রুল ইসলাম পাভেল বলেন, “ভৈরবকে জেলা ঘোষণা এখানকার সর্বস্তরের মানুষের দাবি। আন্দোলনের মাধ্যমে পূর্বে ৬৫তম জেলার প্রজ্ঞাপন জারি হলেও পরে সরকার কোনো উদ্যোগ নেয়নি। আমরা জেলার দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে মাঠে নেমেছি।”

বাঁশগাড়ি জিল্লুর রহমান স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র রায়হান বলেন, “ভৈরবকে জেলা ঘোষণার দাবিতে আমাদের বিক্ষোভ-মিছিল শান্তিপূর্ণ ছিল। আমরা ব্লকেড কর্মসূচিও পালন করেছি শান্তিপূর্ণভাবে। রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়েছিলাম, তবে প্রশাসনের নির্দেশে তা তুলে নিয়েছি। জেলা বাস্তবায়নের দাবিতে আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছি।”

এ সময় জেলা আন্দোলনের নেতা মাওলানা সাইফুল ইসলাম শাহারিয়া, গণঅধিকার পরিষদের নেতা ইমতিয়াজ আহমেদ কাজল, ছাত্রনেতা জুনাইদসহ আরও অনেকে বক্তব্য দেন।

অবরোধ চলাকালে ভৈরব বাজার লঞ্চঘাটে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এএইচএম মো. আজিমুল হক, ভৈরব নৌথানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাশেদুজ্জামানসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

ভৈরব নৌথানার ওসি মো. রাশেদুজ্জামান বলেন, “ভৈরবকে জেলা ঘোষণার দাবিতে সকালে নৌপথ অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। আমরা সবাইকে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করার আহ্বান জানিয়েছি।”

প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে একবার ভৈরবকে জেলা ঘোষণা করা হয়েছিল, তবে তা পরবর্তীতে বাস্তবায়িত হয়নি।