ঢাকা ০৩:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
লিবিয়া থেকে ৩১০ বাংলাদেশি দেশে ফিরলেন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আরও ৩০ দেশের নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা খাঁচা থেকে বের হওয়া সিংহী আড়াই ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে লন্ডনে ফ্লাই রবিবার, নির্জন কারাবাস থেকেই খালেদা জিয়ার ‘নানা রোগের সূচনা’ জানালেন ফখরুল মহাকাশ থেকে পবিত্র  কাবা শরিফের উজ্জ্বল ছবি আন্দোলনে থাকা প্রাথমিকের শিক্ষকদের বদলি, ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি স্থগিত তারেক রহমানের দেশে ফেরা আবার অনিশ্চিত, কীভাবে ভোটার হবেন? খালেদা জিয়া ছাড়া পরিবারের কেউ ভিভিআইপি সুবিধা পাবেন না কুকুরছানা হত্যা মামলায় মায়ের সঙ্গে কারাগারে ২ বছরের শিশু খালেদা জিয়াকে লন্ডন নিতে ঢাকায় আসছেন জুবাইদা

১৪ মাসে চার্জশিট হয়নি একটি মামলারও, নীরবে কাঁদছে মানবাধিকার

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০২:২৮:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
  • / 88

ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট

অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রাজধানীর পল্লবী থানার বাইতুন নুর এলাকার ব্যবসায়ী হেলাল উদ্দিন। গত বছরের ২৮ নভেম্বর কবির নামের এক ব্যক্তি তার কাছে তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে কবির তাকে মিথ্যা মামলায় জড়ানোর হুমকি দিয়ে চলে যান। ওই দিনই হেলাল খিলগাঁও থানায় কবিরের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এরপর যাত্রাবাড়ী থানার একটি মামলার তদন্ত কর্মকর্তার কাছে ১৬১ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে কবির হেলালকে আসামি করেন। গত ৭ সেপ্টেম্বর পুলিশ ওই মামলায় হেলাল উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে। পরদিন আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এখনো তিনি কারাগারেই আছেন।

শুধু হেলাল উদ্দিন নন, নিরপরাধ বহু সাধারণ মানুষকেই জুলাই আন্দোলন বা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে বলে মনে করেন ঢাকা মহানগরীর আইনজীবী মোরশেদ হোসেন শাহীন। তিনি বলেন, ‘‘জুলাই আন্দোলনের মামলায় চার্জশিট দাখিলের বিলম্বকে অনেকে মামলা-বাণিজ্যের সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করছে। ব্যক্তিগত বা ব্যবসায়িক শত্রুতা থেকেও অনেককে এসব মামলায় আসামি করা হচ্ছে। আমরা দেখেছি, এসব মামলায় নির্বিচারে আসামির তালিকা করা হয়েছে। যারা নিরপরাধ, চার্জশিট হলে অন্তত মুক্তির সুযোগ থাকত। কিন্তু দেরি হওয়ায় কেউ কেউ অপরাধী না হয়েও জেলে আছেন—এটা এক ধরনের শাস্তি। আবার যাদের নাম এজাহারে আছে, তারাও ভয়ের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। এতে তারা পারিবারিক, আর্থিক ও সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।’’

১৪ মাসে ৭২৯ মামলা, চার্জশিট হয়নি একটিরও

আদালত সূত্রে জানা গেছে, জুলাই আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর প্রথম মামলা হয় ১১ আগস্ট। এর পর থেকে গত ১৪ মাসে রাজধানীর ৫০ থানায় মোট ৭২৯টি মামলা হয়েছে। তবে একটিরও চূড়ান্ত চার্জশিট আদালতে দাখিল হয়নি।

গত বছরের ২২ অক্টোবর গুলশান থানার একটি মামলায় চার্জশিট জমা দেওয়া হলেও রাষ্ট্রপক্ষের আপত্তির কারণে আদালত অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন। ফলে সেই চার্জশিট কার্যকারিতা হারায়।

অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন

গত ৯ সেপ্টেম্বর সাধারণ মানুষের হয়রানি রোধে সরকার অন্তর্বর্তী প্রতিবেদনের নির্দেশনা জারি করে। সূত্র জানায়, এরপর আদালতে ৭২টি মামলার অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন জমা হয়, যেখানে ৩৭৩ জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা বলছেন, অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ—এতে সাধারণ মানুষের হয়রানি কমবে। তবে অনেক আইনজীবীর মতে, এটি সমস্যার সমাধান নয়।

চার্জশিট দিতে বিলম্বের কারণ জানতে চাইলে রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, ‘‘জুলাই আন্দোলনের মামলাগুলোর মধ্যে প্রায় ১৫টির চার্জশিট প্রস্তুত হয়েছে। খুব শিগগিরই আপনারা সেগুলো দেখতে পারবেন।’’ তদন্তে বিলম্ব বা গাফিলতি অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘‘যথাযথ ও মানসম্মত কাজ করতে সময় লাগাটাই স্বাভাবিক।’’

অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘এর উদ্দেশ্য ছিল সাধারণ মানুষকে হয়রানি থেকে মুক্ত রাখা। জুলাই আন্দোলনের মামলাগুলোয় অনেক সাধারণ মানুষকেও আসামি করা হয়েছে—এমন অভিযোগ ছিল। তাই সরকার চায়, তদন্তে যেন নিরপরাধরা কষ্ট না পায়। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও অব্যাহতির বিষয়টি নজরে রাখবেন, এতে হয়রানি কমবে।’’

রাষ্ট্রপক্ষের আরেক আইনজীবী শামসুদ্দোহা সুমন বলেন, ‘‘গুলশান থানার একটি মামলায় সব আসামিকে অব্যাহতি দিয়ে চার্জশিট আদালতে জমা হয়েছিল। তবে আমরা রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আপত্তি জানালে আদালত অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন। এর বাইরে আর কোনও চার্জশিট পাইনি।’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা চাই জুলাই আন্দোলনের মামলাগুলোতে সঠিক তদন্ত হোক। প্রকৃত আসামি চিহ্নিত হোক, নিরপরাধরা মুক্তি পাক। নতুন বাংলাদেশে যেন কারও ওপর অন্যায় না হয়—আমরা সেটাই নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি।’’

‘‘মানুষকে আরও বেশি ভোগান্তির দিকে ঠেলে দিচ্ছে’’

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খাদেমুল ইসলাম বলেন, ‘‘অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন বিষয়টি শুনতে ভালো লাগলেও এর মধ্যে অনেক ফাঁকফোকর আছে। এতে পুলিশের জন্য বাণিজ্যের সুযোগ তৈরি হয়। তারা চাইলে যেকাউকে তদন্ত থেকে বাদ দিতে পারে, আবার নাও দিতে পারে। অব্যাহতি না পাওয়া আসামিদের জামিনও কঠিন হয়ে যায়। এতে চূড়ান্ত চার্জশিটে বিলম্বের সুযোগ বেড়ে যায়। পুলিশ তখন অন্তর্বর্তী প্রতিবেদনে বেশি মনোযোগ দেয়, ফলে তাদের লাভবান হওয়ার সুযোগও বাড়ে।’’

তার মতে, অন্তর্বর্তী প্রতিবেদনের পরিবর্তে পুলিশকে চার্জশিটের নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেওয়া উচিত ছিল। ‘‘এই সময়সীমা ১৮০ দিন নির্ধারণ করা যেত। প্রয়োজনে আরও ৬০ দিন বাড়ানো যেত। এরপরও চার্জশিট না দিলে সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান রাখা উচিত ছিল,’’ বলেন তিনি।

খাদেমুল ইসলাম আরও বলেন, ‘‘অনেক মামলায় ১০-১২ বছরেও চার্জশিট হয় না, এতে আসামিদের বছরের পর বছর ভোগান্তি পোহাতে হয়। অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন অর্থশালীদের কিছুটা রেহাই দিলেও সাধারণ মানুষকে আরও বেশি দুর্ভোগে ফেলছে।’’

নিউজটি শেয়ার করুন

১৪ মাসে চার্জশিট হয়নি একটি মামলারও, নীরবে কাঁদছে মানবাধিকার

আপডেট সময় : ০২:২৮:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫

রাজধানীর পল্লবী থানার বাইতুন নুর এলাকার ব্যবসায়ী হেলাল উদ্দিন। গত বছরের ২৮ নভেম্বর কবির নামের এক ব্যক্তি তার কাছে তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে কবির তাকে মিথ্যা মামলায় জড়ানোর হুমকি দিয়ে চলে যান। ওই দিনই হেলাল খিলগাঁও থানায় কবিরের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এরপর যাত্রাবাড়ী থানার একটি মামলার তদন্ত কর্মকর্তার কাছে ১৬১ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে কবির হেলালকে আসামি করেন। গত ৭ সেপ্টেম্বর পুলিশ ওই মামলায় হেলাল উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে। পরদিন আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এখনো তিনি কারাগারেই আছেন।

শুধু হেলাল উদ্দিন নন, নিরপরাধ বহু সাধারণ মানুষকেই জুলাই আন্দোলন বা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে বলে মনে করেন ঢাকা মহানগরীর আইনজীবী মোরশেদ হোসেন শাহীন। তিনি বলেন, ‘‘জুলাই আন্দোলনের মামলায় চার্জশিট দাখিলের বিলম্বকে অনেকে মামলা-বাণিজ্যের সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করছে। ব্যক্তিগত বা ব্যবসায়িক শত্রুতা থেকেও অনেককে এসব মামলায় আসামি করা হচ্ছে। আমরা দেখেছি, এসব মামলায় নির্বিচারে আসামির তালিকা করা হয়েছে। যারা নিরপরাধ, চার্জশিট হলে অন্তত মুক্তির সুযোগ থাকত। কিন্তু দেরি হওয়ায় কেউ কেউ অপরাধী না হয়েও জেলে আছেন—এটা এক ধরনের শাস্তি। আবার যাদের নাম এজাহারে আছে, তারাও ভয়ের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। এতে তারা পারিবারিক, আর্থিক ও সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।’’

১৪ মাসে ৭২৯ মামলা, চার্জশিট হয়নি একটিরও

আদালত সূত্রে জানা গেছে, জুলাই আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর প্রথম মামলা হয় ১১ আগস্ট। এর পর থেকে গত ১৪ মাসে রাজধানীর ৫০ থানায় মোট ৭২৯টি মামলা হয়েছে। তবে একটিরও চূড়ান্ত চার্জশিট আদালতে দাখিল হয়নি।

গত বছরের ২২ অক্টোবর গুলশান থানার একটি মামলায় চার্জশিট জমা দেওয়া হলেও রাষ্ট্রপক্ষের আপত্তির কারণে আদালত অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন। ফলে সেই চার্জশিট কার্যকারিতা হারায়।

অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন

গত ৯ সেপ্টেম্বর সাধারণ মানুষের হয়রানি রোধে সরকার অন্তর্বর্তী প্রতিবেদনের নির্দেশনা জারি করে। সূত্র জানায়, এরপর আদালতে ৭২টি মামলার অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন জমা হয়, যেখানে ৩৭৩ জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা বলছেন, অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ—এতে সাধারণ মানুষের হয়রানি কমবে। তবে অনেক আইনজীবীর মতে, এটি সমস্যার সমাধান নয়।

চার্জশিট দিতে বিলম্বের কারণ জানতে চাইলে রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, ‘‘জুলাই আন্দোলনের মামলাগুলোর মধ্যে প্রায় ১৫টির চার্জশিট প্রস্তুত হয়েছে। খুব শিগগিরই আপনারা সেগুলো দেখতে পারবেন।’’ তদন্তে বিলম্ব বা গাফিলতি অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘‘যথাযথ ও মানসম্মত কাজ করতে সময় লাগাটাই স্বাভাবিক।’’

অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘এর উদ্দেশ্য ছিল সাধারণ মানুষকে হয়রানি থেকে মুক্ত রাখা। জুলাই আন্দোলনের মামলাগুলোয় অনেক সাধারণ মানুষকেও আসামি করা হয়েছে—এমন অভিযোগ ছিল। তাই সরকার চায়, তদন্তে যেন নিরপরাধরা কষ্ট না পায়। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও অব্যাহতির বিষয়টি নজরে রাখবেন, এতে হয়রানি কমবে।’’

রাষ্ট্রপক্ষের আরেক আইনজীবী শামসুদ্দোহা সুমন বলেন, ‘‘গুলশান থানার একটি মামলায় সব আসামিকে অব্যাহতি দিয়ে চার্জশিট আদালতে জমা হয়েছিল। তবে আমরা রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আপত্তি জানালে আদালত অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন। এর বাইরে আর কোনও চার্জশিট পাইনি।’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা চাই জুলাই আন্দোলনের মামলাগুলোতে সঠিক তদন্ত হোক। প্রকৃত আসামি চিহ্নিত হোক, নিরপরাধরা মুক্তি পাক। নতুন বাংলাদেশে যেন কারও ওপর অন্যায় না হয়—আমরা সেটাই নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি।’’

‘‘মানুষকে আরও বেশি ভোগান্তির দিকে ঠেলে দিচ্ছে’’

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খাদেমুল ইসলাম বলেন, ‘‘অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন বিষয়টি শুনতে ভালো লাগলেও এর মধ্যে অনেক ফাঁকফোকর আছে। এতে পুলিশের জন্য বাণিজ্যের সুযোগ তৈরি হয়। তারা চাইলে যেকাউকে তদন্ত থেকে বাদ দিতে পারে, আবার নাও দিতে পারে। অব্যাহতি না পাওয়া আসামিদের জামিনও কঠিন হয়ে যায়। এতে চূড়ান্ত চার্জশিটে বিলম্বের সুযোগ বেড়ে যায়। পুলিশ তখন অন্তর্বর্তী প্রতিবেদনে বেশি মনোযোগ দেয়, ফলে তাদের লাভবান হওয়ার সুযোগও বাড়ে।’’

তার মতে, অন্তর্বর্তী প্রতিবেদনের পরিবর্তে পুলিশকে চার্জশিটের নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেওয়া উচিত ছিল। ‘‘এই সময়সীমা ১৮০ দিন নির্ধারণ করা যেত। প্রয়োজনে আরও ৬০ দিন বাড়ানো যেত। এরপরও চার্জশিট না দিলে সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান রাখা উচিত ছিল,’’ বলেন তিনি।

খাদেমুল ইসলাম আরও বলেন, ‘‘অনেক মামলায় ১০-১২ বছরেও চার্জশিট হয় না, এতে আসামিদের বছরের পর বছর ভোগান্তি পোহাতে হয়। অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন অর্থশালীদের কিছুটা রেহাই দিলেও সাধারণ মানুষকে আরও বেশি দুর্ভোগে ফেলছে।’’