মিরপুরে শেষ ম্যাচ খেলেই অবসর নিতে চান সাকিব
- আপডেট সময় : ০৯:৫৫:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫
- / 139
গত বছরের আগস্টে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে দেশে ফেরেননি জাতীয় দলের সাবেক অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। আওয়ামী লীগের এমপি হওয়ার কারণে তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে। এর মধ্যেই এক সময় দেশের মাটিতে টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানাতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ‘নিরাপত্তার অভাবে’ সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়নি।
তবু সাকিব জানিয়েছেন, ক্যারিয়ারের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচটি খেলতে চান মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।
গত বছর ভারত সফরের সময় টি–টোয়েন্টি ফরম্যাট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন সাকিব। সংবাদমাধ্যমকে জানান, গত অক্টোবরে ঢাকায় দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে টেস্ট ক্রিকেট থেকেও অবসর নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল তার। বাকি থাকা ওয়ানডে ফরম্যাট থেকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলেই বিদায় নিতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর সে পরিকল্পনাগুলো আর বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। তবু ক্রিকবাজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সাকিব বলেন, এখন পর্যন্ত তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও ফরম্যাট থেকেই অবসর নেননি—
“না, সত্যি বলতে আমি কোনও ফরম্যাট থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে অবসর নেইনি।”
নিজের ইচ্ছার কথা জানিয়ে তিনি আরও বলেন,
“হ্যাঁ, শতভাগ। আমি মনে করি, এটা আমার চেয়ে বেশি আমার ভক্তদের জন্য। যদি সেটা সম্ভব হয়, তাহলে সেটাই হবে আমার আর ভক্তদের জন্য সবচেয়ে বড় পাওয়া।”
গত বছরের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর থেকেই সাকিব দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। জুলাই আন্দোলনের পর ঘটে যাওয়া ঘটনাপ্রবাহে তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়। এসব কারণে দেশে ফেরা বা জাতীয় দলে ফেরার সম্ভাবনা আপাতত অনিশ্চিত বলেই মনে করা হচ্ছে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় নীরব থাকার কারণে সমালোচিত হয়েছিলেন সাকিব। সে প্রসঙ্গে ক্রিকবাজকে তিনি বলেন, বাংলাদেশের ক্রিকেটে তার অবদান অনেক সময়ই কিছু সংবাদমাধ্যমে ভুলভাবে উপস্থাপিত হয়েছে—
“আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, কিছু সাংবাদিক আর অনলাইন পোর্টাল বানানো গল্প ছড়িয়েছে, যেগুলো মানুষকে ভুলভাবে ভাবতে বাধ্য করেছে। কারণ, বাংলাদেশে আমি যা করেছি, সেটা আগে কেউ করেনি। তাই সেটা অনেকের জন্য হজম করা কঠিন ছিল। এখন কেউ একই কাজ করলে (ব্র্যান্ড এনডোর্সমেন্ট), তেমন প্রতিক্রিয়া হয় না, কারণ আমি প্রথম ছিলাম—এটাই ভালো এবং খারাপ দু’দিকই।”
সমালোচনা প্রসঙ্গে সাকিব আরও বলেন,
“আমি মনে করি, একটা নির্দিষ্ট সময়ের একটা ঘটনা আমার বিরুদ্ধে গেছে। হয়তো মানুষ অন্য কিছু আশা করেছিল, কিন্তু আমি তখন সেটা করতে পারিনি বা বিষয়টা বুঝতেও পারিনি। তখন আমি দেশের বাইরে ছিলাম, তাই পরিস্থিতিটা আমার জন্য কঠিন ছিল। আমি তাদের অবস্থানটা বুঝি এবং সম্মান করি। কোনও আফসোস নেই, বরং এখন মানুষ বিষয়টা ধীরে ধীরে আরও ভালোভাবে বুঝতে শুরু করেছে।”


















