অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি খায়রুল আলম ভুইয়া মিঠু জানান, শনিবার সরকারি ছুটির দিন হলেও দুপুর ২টা পর্যন্ত কার্গো ভিলেজে নিয়মিত কার্যক্রম চলছিল।
তিনি বলেন, “সেখানে তখনও অনেক শ্রমিক ও আনসার সদস্যসহ অন্যান্য কর্মী উপস্থিত ছিলেন। আগুন লাগার পর আনসারসহ সবাই দ্রুত লোকজনকে সরিয়ে দেন। তখন জানানো হয়, ওই গুদামে গোলাবারুদ ও রাসায়নিক পদার্থ রয়েছে, বিস্ফোরণের ঝুঁকি আছে—তাই সবাইকে নিরাপদে সরে যেতে বলা হয়।”
সরকারি ছুটির দিন শুক্রবার ও শনিবার কার্গো ভিলেজে সাধারণ কাজকর্ম বন্ধ থাকে, তবে কুরিয়ার শাখায় আধাবেলা কার্যক্রম চলে। এজন্য প্রথম শিফটের কর্মীরা আগেই বেরিয়ে যান এবং পরবর্তী শিফটের অনেকে তখনও প্রবেশ করেননি।
অন্যদিকে, সারাদিনের শিফটের কর্মীরা তখন দুপুরের খাবারের বিরতিতে ছিলেন। ফলে আগুন লাগার সময় সেখানে এয়ারলাইন্স ও এজেন্টদের উপস্থিতি ছিল তুলনামূলক কম।
মিঠু আরও জানান, কুরিয়ার গুদামের পাশেই রাসায়নিকের আরেকটি গুদাম রয়েছে, যেখানে দেশের পোশাক খাতসহ বিভিন্ন শিল্পে ব্যবহারের জন্য আনা রাসায়নিক পদার্থ রাখা হয়।
তার অভিযোগ, “আগুন নেভাতে এসে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি দীর্ঘক্ষণ ৮ নম্বর ফটকে আটকে থাকে। অনুমতি সংক্রান্ত জটিলতার কারণে তারা ভেতরে ঢুকতে পারেননি।”
প্রায় ৩০০ মিটার দীর্ঘ কার্গো ভিলেজটি বিমানবন্দরের উত্তর-পূর্ব কোণে অবস্থিত।
বিমানের কার্গো শাখার তিনজন কর্মী জানান, আগুনের উৎস ছিল কুরিয়ার শাখা থেকেই। তারা আগুন দেখে দ্রুত দৌড়ে বাইরে চলে আসেন।
আমদানিকৃত কার্গো কমপ্লেক্সের সামনে ১০ থেকে ১৪ নম্বর বে-তে উড়োজাহাজ পার্কিং করা ছিল। আগুন লাগার পর সেখানকার কয়েকটি উড়োজাহাজ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিমানের কর্মীরা।
তারা আরও বলেন, কুরিয়ার সেকশনের সেডের বাইরেও উড়োজাহাজ থেকে নামানো অনেক মালামাল রাখা ছিল, সেগুলোও আগুনে পুড়ে গেছে।


















