ঢাকা ১০:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আরও ৩০ দেশের নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা খাঁচা থেকে বের হওয়া সিংহী আড়াই ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে লন্ডনে ফ্লাই রবিবার, নির্জন কারাবাস থেকেই খালেদা জিয়ার ‘নানা রোগের সূচনা’ জানালেন ফখরুল মহাকাশ থেকে পবিত্র  কাবা শরিফের উজ্জ্বল ছবি আন্দোলনে থাকা প্রাথমিকের শিক্ষকদের বদলি, ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি স্থগিত তারেক রহমানের দেশে ফেরা আবার অনিশ্চিত, কীভাবে ভোটার হবেন? খালেদা জিয়া ছাড়া পরিবারের কেউ ভিভিআইপি সুবিধা পাবেন না কুকুরছানা হত্যা মামলায় মায়ের সঙ্গে কারাগারে ২ বছরের শিশু খালেদা জিয়াকে লন্ডন নিতে ঢাকায় আসছেন জুবাইদা যুক্তরাজ্যের ৯ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী!

সেনা কর্মকর্তাদের বিচারে ঢাকা সেনানিবাসে ‘অস্থায়ী কারাগার’

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৭:২৮:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
  • / 81

বিচারের মুখোমুখি সেনা কর্মকর্তারা

অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ঢাকা সেনানিবাসের একটি ভবনকে সাময়িকভাবে ‘অস্থায়ী কারাগার’ হিসেবে ঘোষণা করেছে সরকার।

মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে সেনা হেফাজতে নেওয়ার ঘোষণার পরদিন ররিবার (১২ অক্টোবর) এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

সেখানে বলা হয়, ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪১(১) ধারার ক্ষমতাবলে এবং দ্য প্রিজন অ্যাক্ট এর ৩(বি) ধারা অনুসারে ঢাকা সেনানিবাসের বাশার রোড সংলগ্ন উত্তর দিকে অবস্থিত ‘এমইএস’ বিল্ডিং নং-৫৪-কে ‘সাময়িকভাবে কারাগার হিসেবে ঘোষণা করা হল’।

এ সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর করার কথা বলা হয়েছে প্রজ্ঞাপনে। তবে এই কারাগারে কাদের রাখা হবে, সে ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

কেন্দ্রীয় কারা অধিদপ্তরের সরকারি কারা মহাপরিদর্শক জান্নাত উল ফরহাদ বলেন, “আমরা আজকে আদেশ পেয়েছি। শিগগিরই সেখানে আমাদের লোক নিয়োজিত করা হবে।”

‘অস্থায়ী কারাগার’ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘কোন জায়গাকে কারাগার হিসেবে ঘোষণা করা হবে সেটা প্রসিকিউশন বা তদন্ত সংস্থার বিবেচ্য বিষয় নয়, আমাদের বিবেচ্য বিষয় হলো আইন অনুযায়ী কাজটা করতে হবে। আসামিকে যদি গ্রেফতার করা হয়, তাহলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে আনতে হবে। সেটা সংবিধান, ট্রাইব্যুনাল আইন ও ফৌজদারি কার্যবিধিতে আছে। তারপর আদালত তাকে যেখানে রাখতে বলবেন সেখানে রাখবে।’

আওয়ামী লীগের শাসনামলে বিরোধী মতের লোকদের গুম ও নির্যাতনের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের দুই মামলায় প্রসিকিউশনের দেওয়া আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নিয়ে গত ৮ অক্টোবর সাবেক ও বর্তমান ২৪ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ওই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

২১ অক্টোবরের মধ্যে তাদের গ্রেফতার করে ২২ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালে হাজির করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আদেশ দেওয়া হয়।

এরপর গত ১১ অক্টোবর ঢাকা সেনানিবাসের মেসে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সামরিক বাহিনীর সদস্যদের মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সেনাবাহিনীর অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান জানান, যেসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চার্জশিট হয়েছে তাদের মধ্যে ১৫ জন কর্মকর্তা ঢাকায় সেনা হেফাজতে আছেন। আমরা ১৬ জনকে সেনা হেফাজতে আসার জন্য বলেছিলাম। ১৫ জন আমাদের সেনা হেফাজতে এসেছেন।

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামরিক সচিবের দায়িত্ব পালন করা মেজর জেনারেল কবির আহমেদ ইলিগ্যাল অ্যাবসেন্ট (পলাতক) বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

আরও পড়ুন:
‘মানবতাবিরোধী অপরাধ’: বর্তমান ১৫ সেনা কর্মকর্তা ‘হেফাজতে’

নিউজটি শেয়ার করুন

সেনা কর্মকর্তাদের বিচারে ঢাকা সেনানিবাসে ‘অস্থায়ী কারাগার’

আপডেট সময় : ০৭:২৮:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫

ঢাকা সেনানিবাসের একটি ভবনকে সাময়িকভাবে ‘অস্থায়ী কারাগার’ হিসেবে ঘোষণা করেছে সরকার।

মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে সেনা হেফাজতে নেওয়ার ঘোষণার পরদিন ররিবার (১২ অক্টোবর) এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

সেখানে বলা হয়, ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪১(১) ধারার ক্ষমতাবলে এবং দ্য প্রিজন অ্যাক্ট এর ৩(বি) ধারা অনুসারে ঢাকা সেনানিবাসের বাশার রোড সংলগ্ন উত্তর দিকে অবস্থিত ‘এমইএস’ বিল্ডিং নং-৫৪-কে ‘সাময়িকভাবে কারাগার হিসেবে ঘোষণা করা হল’।

এ সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর করার কথা বলা হয়েছে প্রজ্ঞাপনে। তবে এই কারাগারে কাদের রাখা হবে, সে ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

কেন্দ্রীয় কারা অধিদপ্তরের সরকারি কারা মহাপরিদর্শক জান্নাত উল ফরহাদ বলেন, “আমরা আজকে আদেশ পেয়েছি। শিগগিরই সেখানে আমাদের লোক নিয়োজিত করা হবে।”

‘অস্থায়ী কারাগার’ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘কোন জায়গাকে কারাগার হিসেবে ঘোষণা করা হবে সেটা প্রসিকিউশন বা তদন্ত সংস্থার বিবেচ্য বিষয় নয়, আমাদের বিবেচ্য বিষয় হলো আইন অনুযায়ী কাজটা করতে হবে। আসামিকে যদি গ্রেফতার করা হয়, তাহলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে আনতে হবে। সেটা সংবিধান, ট্রাইব্যুনাল আইন ও ফৌজদারি কার্যবিধিতে আছে। তারপর আদালত তাকে যেখানে রাখতে বলবেন সেখানে রাখবে।’

আওয়ামী লীগের শাসনামলে বিরোধী মতের লোকদের গুম ও নির্যাতনের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের দুই মামলায় প্রসিকিউশনের দেওয়া আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নিয়ে গত ৮ অক্টোবর সাবেক ও বর্তমান ২৪ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ওই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

২১ অক্টোবরের মধ্যে তাদের গ্রেফতার করে ২২ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালে হাজির করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আদেশ দেওয়া হয়।

এরপর গত ১১ অক্টোবর ঢাকা সেনানিবাসের মেসে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সামরিক বাহিনীর সদস্যদের মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সেনাবাহিনীর অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান জানান, যেসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চার্জশিট হয়েছে তাদের মধ্যে ১৫ জন কর্মকর্তা ঢাকায় সেনা হেফাজতে আছেন। আমরা ১৬ জনকে সেনা হেফাজতে আসার জন্য বলেছিলাম। ১৫ জন আমাদের সেনা হেফাজতে এসেছেন।

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামরিক সচিবের দায়িত্ব পালন করা মেজর জেনারেল কবির আহমেদ ইলিগ্যাল অ্যাবসেন্ট (পলাতক) বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

আরও পড়ুন:
‘মানবতাবিরোধী অপরাধ’: বর্তমান ১৫ সেনা কর্মকর্তা ‘হেফাজতে’