ঢাকা ০৬:৫৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ইসলামে পারিবারিক নির্যাতনের কোনো স্থান নেই-শায়খ আব্দুল কাইয়ুম লিবিয়া থেকে ৩১০ বাংলাদেশি দেশে ফিরলেন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আরও ৩০ দেশের নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা খাঁচা থেকে বের হওয়া সিংহী আড়াই ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে লন্ডনে ফ্লাই রবিবার, নির্জন কারাবাস থেকেই খালেদা জিয়ার ‘নানা রোগের সূচনা’ জানালেন ফখরুল মহাকাশ থেকে পবিত্র  কাবা শরিফের উজ্জ্বল ছবি আন্দোলনে থাকা প্রাথমিকের শিক্ষকদের বদলি, ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি স্থগিত তারেক রহমানের দেশে ফেরা আবার অনিশ্চিত, কীভাবে ভোটার হবেন? খালেদা জিয়া ছাড়া পরিবারের কেউ ভিভিআইপি সুবিধা পাবেন না কুকুরছানা হত্যা মামলায় মায়ের সঙ্গে কারাগারে ২ বছরের শিশু

ওসমানী উদ্যানে ৪৭ কোটি টাকায় হবে ‘জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ’

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৯:১৩:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫
  • / 88

ঢাকার ওসমানী উদ্যানে নির্মিত হচ্ছে ‘জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ’

অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জুলাই ছাত্র আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে ও জুলাইয়ের চেতনাকে জাগ্রত রাখতে ঢাকার ওসমানী উদ্যানে নির্মিত হচ্ছে ‘জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ’।

রবিবার (১২ অক্টোবর) এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী।

জানা গেছে, স্থানীয় সরকার বিভাগের অর্থায়নে প্রায় ৪৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে স্মৃতিস্তম্ভটি নির্মাণ করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। বৃত্তাকার বেদির ওপর নির্মিত হবে এই স্থাপনা, যার দুই পাশে চারটি করে মোট আটটি আয়তাকার কলাম এবং মাঝখানে থাকবে একটি স্বতন্ত্র বৃত্তাকার কলাম—এর উচ্চতা হবে ৯০ ফুট। স্মৃতিস্তম্ভে দুটি প্রবেশপথ থাকবে, প্রবেশমুখে থাকবে একটি এপিটাফ। পুরো এলাকায় কৃষ্ণচূড়াসহ বৃহদাকার ফুলের চারা রোপণ করা হবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, “জুলাই স্মৃতিস্তম্ভের নকশা ও নির্মাণে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মৃতি ও ইতিহাসকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে উপস্থাপন করা হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে কাজ শুরু হলেই একটি মহল বাজেট নিয়ে নানা প্রশ্ন তোলে। এসব প্রশ্ন জনগণের টাকার দায়বদ্ধতা নয়, বরং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। কারণ, ফ্যাসিবাদের সময়ে এমন প্রশ্ন কেউ তোলে না।”

বিগত সরকারের ব্যয়ের তুলনা টেনে তিনি বলেন, “তাদের সময়ের শুধু পরামর্শক ফি দিয়েই এখন প্রায় পুরো প্রকল্প বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে। সব অপচেষ্টা সত্ত্বেও সরকার জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ ও আহতদের আত্মত্যাগের স্মৃতি প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে দিতে বদ্ধপরিকর।”

ডিএসসিসি প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া বলেন, “যখন কেউ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়নি, তখন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার উদ্যোগ ও নির্দেশনায় এই স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে।”

তিনি জানান, স্মৃতিস্তম্ভের পাইলিং কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে এবং চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্মাণকাজ শেষ হবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শহীদদের স্মরণে দোয়া ও একটি ঔষধি গাছ রোপণ করেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা। এ সময় স্থানীয় সরকার বিভাগ ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ওসমানী উদ্যানে ৪৭ কোটি টাকায় হবে ‘জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ’

আপডেট সময় : ০৯:১৩:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫

জুলাই ছাত্র আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে ও জুলাইয়ের চেতনাকে জাগ্রত রাখতে ঢাকার ওসমানী উদ্যানে নির্মিত হচ্ছে ‘জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ’।

রবিবার (১২ অক্টোবর) এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী।

জানা গেছে, স্থানীয় সরকার বিভাগের অর্থায়নে প্রায় ৪৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে স্মৃতিস্তম্ভটি নির্মাণ করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। বৃত্তাকার বেদির ওপর নির্মিত হবে এই স্থাপনা, যার দুই পাশে চারটি করে মোট আটটি আয়তাকার কলাম এবং মাঝখানে থাকবে একটি স্বতন্ত্র বৃত্তাকার কলাম—এর উচ্চতা হবে ৯০ ফুট। স্মৃতিস্তম্ভে দুটি প্রবেশপথ থাকবে, প্রবেশমুখে থাকবে একটি এপিটাফ। পুরো এলাকায় কৃষ্ণচূড়াসহ বৃহদাকার ফুলের চারা রোপণ করা হবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, “জুলাই স্মৃতিস্তম্ভের নকশা ও নির্মাণে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মৃতি ও ইতিহাসকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে উপস্থাপন করা হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে কাজ শুরু হলেই একটি মহল বাজেট নিয়ে নানা প্রশ্ন তোলে। এসব প্রশ্ন জনগণের টাকার দায়বদ্ধতা নয়, বরং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। কারণ, ফ্যাসিবাদের সময়ে এমন প্রশ্ন কেউ তোলে না।”

বিগত সরকারের ব্যয়ের তুলনা টেনে তিনি বলেন, “তাদের সময়ের শুধু পরামর্শক ফি দিয়েই এখন প্রায় পুরো প্রকল্প বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে। সব অপচেষ্টা সত্ত্বেও সরকার জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ ও আহতদের আত্মত্যাগের স্মৃতি প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে দিতে বদ্ধপরিকর।”

ডিএসসিসি প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া বলেন, “যখন কেউ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়নি, তখন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার উদ্যোগ ও নির্দেশনায় এই স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে।”

তিনি জানান, স্মৃতিস্তম্ভের পাইলিং কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে এবং চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্মাণকাজ শেষ হবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শহীদদের স্মরণে দোয়া ও একটি ঔষধি গাছ রোপণ করেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা। এ সময় স্থানীয় সরকার বিভাগ ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।