ঢাকা ০৫:০২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ইসলামে পারিবারিক নির্যাতনের কোনো স্থান নেই-শায়খ আব্দুল কাইয়ুম লিবিয়া থেকে ৩১০ বাংলাদেশি দেশে ফিরলেন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আরও ৩০ দেশের নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা খাঁচা থেকে বের হওয়া সিংহী আড়াই ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে লন্ডনে ফ্লাই রবিবার, নির্জন কারাবাস থেকেই খালেদা জিয়ার ‘নানা রোগের সূচনা’ জানালেন ফখরুল মহাকাশ থেকে পবিত্র  কাবা শরিফের উজ্জ্বল ছবি আন্দোলনে থাকা প্রাথমিকের শিক্ষকদের বদলি, ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি স্থগিত তারেক রহমানের দেশে ফেরা আবার অনিশ্চিত, কীভাবে ভোটার হবেন? খালেদা জিয়া ছাড়া পরিবারের কেউ ভিভিআইপি সুবিধা পাবেন না কুকুরছানা হত্যা মামলায় মায়ের সঙ্গে কারাগারে ২ বছরের শিশু

তোফায়েল আহমেদ লাইফ সাপোর্টে, অবস্থা সংকটাপন্ন

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৫:০৬:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৫
  • / 231

তোফায়েল আহমেদ

অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

উনসত্তোরের গণঅভ্যুত্থান সংগঠনকারী ছাত্রনেতা, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী ও ভোলা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাঁর অবস্থা সংকটাপন্ন। তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে।

রোববার (৫ অক্টোবর) প্রথম প্রহরে তোফায়েল আহমেদের জামাতা ডা. তৌহিদুজ্জামান তুহিন জানান, উনার অবস্থা খুবই খারাপ। সংকটাপন্ন। অবস্থা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। এখনো কোনো কিছু ঘোষণা করেননি চিকিৎসকরা। তিনি এখনো অ্যালাইভ (জীবিত)। হার্ট কাজ করছে। তবে যে পরিমাণ ক্রিটিক্যাল অবস্থা, এখান থেকে উঠে আসা সম্ভব নয়।

পরিবারের পক্ষ থেকে কোন প্রকার গুজব না ছড়ানোর জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

বছর দুয়েক ধরে হুইলচেয়ারে চলাফেরা করতেন তোফায়েল আহমেদ। স্ট্রোকের কারণে তার শরীরের একাংশ প্যারালাইজড হয়ে যায়। নিয়মিত চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে ছিলেন তিনি। ১০ দিন আগে জ্বর নিয়ে স্কয়ারে ভর্তি হন তোফায়েল আহমেদ। এরপর তার অবস্থার অবনতি হলে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়।

তোফায়েল আহমেদের জন্ম ১৯৪৩ সালের ২২ অক্টোবর ভোলা জেলার সদর উপজেলার দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের কোড়ালিয়া গ্রামে। বরিশালের ব্রজমোহন কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মৃত্তিকাবিজ্ঞানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেন।

১৯৬৮-৬৯ এর উত্তাল সময়ে তোফায়েল ছিলেন ডাকসুর ভিপি। সেই হিসেবে তিনি সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেন। ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে তিনি ছিলেন ছাত্রসমাজের নেতৃত্বের ভূমিকায়। সেই অভ্যুত্থানের ফলে পাকিস্তান সরকার বঙ্গবন্ধুসহ রাজবন্দীদের মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। এরপর এক ঐতিহাসিক সমাবেশে তিনি বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমানকে বঙ্গবন্ধু হিসেবে অভিসিক্ত করেন।

স্বাধীনতার পর তিনি বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সচিব হিসেবে নিয়োগ পান। তিনি আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

তোফায়েল আহমেদ লাইফ সাপোর্টে, অবস্থা সংকটাপন্ন

আপডেট সময় : ০৫:০৬:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৫

উনসত্তোরের গণঅভ্যুত্থান সংগঠনকারী ছাত্রনেতা, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী ও ভোলা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাঁর অবস্থা সংকটাপন্ন। তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে।

রোববার (৫ অক্টোবর) প্রথম প্রহরে তোফায়েল আহমেদের জামাতা ডা. তৌহিদুজ্জামান তুহিন জানান, উনার অবস্থা খুবই খারাপ। সংকটাপন্ন। অবস্থা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। এখনো কোনো কিছু ঘোষণা করেননি চিকিৎসকরা। তিনি এখনো অ্যালাইভ (জীবিত)। হার্ট কাজ করছে। তবে যে পরিমাণ ক্রিটিক্যাল অবস্থা, এখান থেকে উঠে আসা সম্ভব নয়।

পরিবারের পক্ষ থেকে কোন প্রকার গুজব না ছড়ানোর জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

বছর দুয়েক ধরে হুইলচেয়ারে চলাফেরা করতেন তোফায়েল আহমেদ। স্ট্রোকের কারণে তার শরীরের একাংশ প্যারালাইজড হয়ে যায়। নিয়মিত চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে ছিলেন তিনি। ১০ দিন আগে জ্বর নিয়ে স্কয়ারে ভর্তি হন তোফায়েল আহমেদ। এরপর তার অবস্থার অবনতি হলে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়।

তোফায়েল আহমেদের জন্ম ১৯৪৩ সালের ২২ অক্টোবর ভোলা জেলার সদর উপজেলার দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের কোড়ালিয়া গ্রামে। বরিশালের ব্রজমোহন কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মৃত্তিকাবিজ্ঞানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেন।

১৯৬৮-৬৯ এর উত্তাল সময়ে তোফায়েল ছিলেন ডাকসুর ভিপি। সেই হিসেবে তিনি সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেন। ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে তিনি ছিলেন ছাত্রসমাজের নেতৃত্বের ভূমিকায়। সেই অভ্যুত্থানের ফলে পাকিস্তান সরকার বঙ্গবন্ধুসহ রাজবন্দীদের মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। এরপর এক ঐতিহাসিক সমাবেশে তিনি বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমানকে বঙ্গবন্ধু হিসেবে অভিসিক্ত করেন।

স্বাধীনতার পর তিনি বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সচিব হিসেবে নিয়োগ পান। তিনি আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেন।