জাতিসংঘে নেতানিয়াহুর বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করল বাংলাদেশও
- আপডেট সময় : ০৫:১৫:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / 110
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ছবিতে দাবি করা হয়েছিল, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ভাষণের সময় বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং ছয় রাজনৈতিক প্রতিনিধি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের হলে উপস্থিত ছিলেন। তবে যাচাই করে দেখা গেছে, এ দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা। শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং ফ্যাক্টস এ তথ্য জানায়।
প্রেস উইং জানায়, ‘‘ড. ইউনূস ও তার প্রতিনিধি দলের বসে থাকা ছবিটি ইউএনজিএর ৮০তম অধিবেশনে নিজের বক্তব্য দেওয়ার কিছুক্ষণ আগের। ছবিটি মূলত বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টার অফিসিয়াল অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করা হয়েছিল।’’
‘‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সদর দফতরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনের সাধারণ বিতর্কে বক্তব্য দেওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন’’ বলেও প্রেস উইং ফ্যাক্টস উল্লেখ করে।
প্রেস উইং আরও জানায়, ‘‘নেতানিয়াহু মঞ্চে ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই যুক্তরাষ্ট্রসহ বহু দেশের শতাধিক কূটনীতিক গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন ও গণহত্যার প্রতিবাদে সভাকক্ষ ত্যাগ করেন। বাংলাদেশের প্রতিনিধিরাও সে সময় বেরিয়ে যান। অন্যভাবে বললে, নেতানিয়াহুর বক্তব্যের সময় তারা সেখানে ছিলেন না। এএফপি ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থার প্রকাশিত ছবিতেও দেখা গেছে— নেতানিয়াহুর ভাষণের সময় বাংলাদেশের নেমপ্লেটের আসন খালি ছিল।’’
প্রেস উইং জানায়, ‘‘তাই প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস ও তার প্রতিনিধি দলের যে ছবি ছড়ানো হচ্ছে, তা নেতানিয়াহুর বক্তব্যের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবিটি ব্যবহার করে মিথ্যা প্রচার চালানো হয়েছে যে, বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল ওয়াকআউট করেনি। অথচ যাচাইকৃত প্রমাণে নিশ্চিত হওয়া গেছে, নেতানিয়াহুর ভাষণের সময় তারা সভাকক্ষে ছিলেন না।’’
বার্তায় আরও বলা হয়, “অভূতপূর্বভাবে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু দাবি করেছেন, ইসরায়েলি সেনারা গাজার অধিবাসী ও হামাস সদস্যদের ফোন নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে এবং তার ভাষণ সরাসরি সেখানে সম্প্রচার করা হচ্ছে।”
শুক্রবার হেগ গ্রুপভুক্ত ৩৪ দেশের কূটনীতিক ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতীকী বিবৃতির পাশাপাশি কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।
জাতিসংঘে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত রিয়াদ মানসুর সতর্ক করে বলেন, এখনই পদক্ষেপ না নিলে শিশুদের মৃত্যু অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, “ফিলিস্তিনি শিশুরা নিহত হচ্ছে, অনাহারে মরছে, অনাথ হচ্ছে, আগুনে পুড়ে যাচ্ছে, মানসিক আঘাত পাচ্ছে। পরিবার ভেঙে যাচ্ছে, জীবন ধ্বংস হচ্ছে, জমি দখল হচ্ছে, ভূখণ্ড দখল হচ্ছে।”
বৈঠকে কলোম্বিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, কাতার, তুরস্ক, মেক্সিকো, সৌদি আরব, ব্রাজিল, আয়ারল্যান্ড, স্পেন ও উরুগুয়ের প্রতিনিধিরাও অংশ নেন।


















