ঢাকা ০৮:৩৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ইসলামে পারিবারিক নির্যাতনের কোনো স্থান নেই-শায়খ আব্দুল কাইয়ুম লিবিয়া থেকে ৩১০ বাংলাদেশি দেশে ফিরলেন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আরও ৩০ দেশের নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা খাঁচা থেকে বের হওয়া সিংহী আড়াই ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে লন্ডনে ফ্লাই রবিবার, নির্জন কারাবাস থেকেই খালেদা জিয়ার ‘নানা রোগের সূচনা’ জানালেন ফখরুল মহাকাশ থেকে পবিত্র  কাবা শরিফের উজ্জ্বল ছবি আন্দোলনে থাকা প্রাথমিকের শিক্ষকদের বদলি, ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি স্থগিত তারেক রহমানের দেশে ফেরা আবার অনিশ্চিত, কীভাবে ভোটার হবেন? খালেদা জিয়া ছাড়া পরিবারের কেউ ভিভিআইপি সুবিধা পাবেন না কুকুরছানা হত্যা মামলায় মায়ের সঙ্গে কারাগারে ২ বছরের শিশু

প্রধানমন্ত্রীর নতুন বাসভবন হতে পারে শেরে বাংলা নগরে

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০১:১১:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / 80

জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের বাসভবন

অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নতুন সরকারের প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের সরকারি বাসভবন নির্ধারণে কাজ শুরু করেছিল গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। এ জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়, যা প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের আবাসনের বিষয়ে সুপারিশ জমা দেয়। মূলত গণভবনকে জাদুঘরে রূপান্তরের সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। তবে এখন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বদলে সংসদ ভবন এলাকার স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের বাসভবনকে বেশি উপযোগী মনে করছে কমিটি। সেই অনুযায়ী পদক্ষেপও নেওয়া হচ্ছে।

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ও নতুন প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন চূড়ান্ত করতে একটি আলাদা কমিটি গঠন করেছে। তারা শেরে বাংলা নগরে দুটি স্থানকে সম্ভাব্য বিকল্প হিসেবে বিবেচনা করছে—একটি হলো সংসদ ভবন এলাকার স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের বাসভবন, অন্যটি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এলাকা।

গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র–জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সাধারণ মানুষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে প্রবেশ করে। এরপর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গণভবনকে ‘জুলাই স্মৃতি জাদুঘর’ হিসেবে রূপান্তরের কাজ শুরু করে। জাদুঘরের নির্মাণকাজ অক্টোবরের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা এবং নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এটি উদ্বোধনের পরিকল্পনা রয়েছে।

অন্যদিকে, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির মধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এর প্রেক্ষাপটে নতুন সরকারের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন নির্ধারণ প্রশ্নটি সামনে আসে।

প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের বাসভবন নিয়ে সুপারিশ দেওয়ার জন্য গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় গত ৭ জুলাই ছয় সদস্যের একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করে। মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ফারুক আহম্মেদ (বর্তমানে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক) এ কমিটির নেতৃত্ব দেন। রাজধানীর কয়েকটি এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন শেষে ২০ জুলাই কমিটি তাদের প্রতিবেদন জমা দেয়। তবে সে প্রতিবেদন নিয়ে বৈঠক হলেও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

পরে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে নতুন প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন চূড়ান্ত করতে একটি নতুন উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলামকে প্রধান করে গঠিত এ কমিটিতে সংসদ সচিবালয় ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

প্রধানমন্ত্রীর নতুন বাসভবন হতে পারে শেরে বাংলা নগরে

আপডেট সময় : ০১:১১:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নতুন সরকারের প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের সরকারি বাসভবন নির্ধারণে কাজ শুরু করেছিল গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। এ জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়, যা প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের আবাসনের বিষয়ে সুপারিশ জমা দেয়। মূলত গণভবনকে জাদুঘরে রূপান্তরের সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। তবে এখন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বদলে সংসদ ভবন এলাকার স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের বাসভবনকে বেশি উপযোগী মনে করছে কমিটি। সেই অনুযায়ী পদক্ষেপও নেওয়া হচ্ছে।

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ও নতুন প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন চূড়ান্ত করতে একটি আলাদা কমিটি গঠন করেছে। তারা শেরে বাংলা নগরে দুটি স্থানকে সম্ভাব্য বিকল্প হিসেবে বিবেচনা করছে—একটি হলো সংসদ ভবন এলাকার স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের বাসভবন, অন্যটি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এলাকা।

গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র–জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সাধারণ মানুষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে প্রবেশ করে। এরপর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গণভবনকে ‘জুলাই স্মৃতি জাদুঘর’ হিসেবে রূপান্তরের কাজ শুরু করে। জাদুঘরের নির্মাণকাজ অক্টোবরের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা এবং নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এটি উদ্বোধনের পরিকল্পনা রয়েছে।

অন্যদিকে, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির মধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এর প্রেক্ষাপটে নতুন সরকারের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন নির্ধারণ প্রশ্নটি সামনে আসে।

প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের বাসভবন নিয়ে সুপারিশ দেওয়ার জন্য গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় গত ৭ জুলাই ছয় সদস্যের একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করে। মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ফারুক আহম্মেদ (বর্তমানে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক) এ কমিটির নেতৃত্ব দেন। রাজধানীর কয়েকটি এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন শেষে ২০ জুলাই কমিটি তাদের প্রতিবেদন জমা দেয়। তবে সে প্রতিবেদন নিয়ে বৈঠক হলেও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

পরে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে নতুন প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন চূড়ান্ত করতে একটি নতুন উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলামকে প্রধান করে গঠিত এ কমিটিতে সংসদ সচিবালয় ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।