মানবতাবিরোধী অপরাধ : অভিযোগপত্র দাখিল হলেই নির্বাচনে অযোগ্য
- আপডেট সময় : ০৫:২৮:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / 95
মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন হলে তিনি আর জনপ্রতিনিধি কিংবা সরকারি কোনো পদে থাকতে পারবেন না। এর আগে বিচারিক প্রক্রিয়ায় সাজা হলেই কেবল নির্বাচনের অযোগ্য হতেন।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠক শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বিষয়টি জানান।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ওই সংবাদ সম্মেলনে প্রেস সচিব বলেন, “উপদেষ্টা পরিষদের সভায় ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস ট্রাইব্যুনাল অ্যাক্ট ১৯৭৩–এ সেকশন ২৩ যুক্ত করা হয়েছে। নতুন সংযোজিত ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে ওই আইনের সেকশন ৯(১)-এর অধীনে আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র (ফরমাল চার্জ) দাখিল হলে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া বা বহাল থাকার অযোগ্য হবেন।”
শফিকুল আলম আরও বলেন, “একইভাবে অভিযুক্ত ব্যক্তি স্থানীয় সরকার পরিষদ বা প্রতিষ্ঠানের সদস্য, কমিশনার, চেয়ারম্যান, মেয়র কিংবা প্রশাসক হিসেবে নির্বাচিত বা বহাল থাকতে পারবেন না। এমনকি প্রজাতন্ত্রের চাকরিতে নিয়োগ পাওয়া বা অন্য কোনো পাবলিক অফিসে অধিষ্ঠিত হওয়ার যোগ্যতাও হারাবেন।”
বৈঠকে আরও দুটি নীতিমালা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো ‘বেসরকারি অংশগ্রহণে নবায়নযোগ্য জ্বালানিনির্ভর বাণিজ্যিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপন নীতিমালা, ২০২৫’।
এছাড়া ‘টেলিকমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক অ্যান্ড লাইসেন্সিং পলিসি ২০২৫’ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
তিনি বলেন, “নতুন নীতিমালার ফলে বিদ্যমান লাইসেন্সিং ব্যবস্থায় মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য বন্ধ হবে। নতুন লাইসেন্সিং কাঠামোর মাধ্যমে দেশের টেলিযোগাযোগ খাতে মানসম্মত সেবার নিশ্চয়তা দেওয়া হবে। পাশাপাশি প্রতিযোগিতামূলক ব্যবসা সম্প্রসারণের মাধ্যমে ভয়েস কল ও ইন্টারনেটসহ ডেটা সেবা সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার ভেতরে আনতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।”
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর বিপুল সংখ্যক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার শুরু হচ্ছে, তাদেরকে বিচার প্রক্রিয়ার বাইরে রাখার জন্যই এই সংশোধন বলে ধারণা করা হচ্ছে।


















