ঢাকা ১০:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আরও ৩০ দেশের নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা খাঁচা থেকে বের হওয়া সিংহী আড়াই ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে লন্ডনে ফ্লাই রবিবার, নির্জন কারাবাস থেকেই খালেদা জিয়ার ‘নানা রোগের সূচনা’ জানালেন ফখরুল মহাকাশ থেকে পবিত্র  কাবা শরিফের উজ্জ্বল ছবি আন্দোলনে থাকা প্রাথমিকের শিক্ষকদের বদলি, ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি স্থগিত তারেক রহমানের দেশে ফেরা আবার অনিশ্চিত, কীভাবে ভোটার হবেন? খালেদা জিয়া ছাড়া পরিবারের কেউ ভিভিআইপি সুবিধা পাবেন না কুকুরছানা হত্যা মামলায় মায়ের সঙ্গে কারাগারে ২ বছরের শিশু খালেদা জিয়াকে লন্ডন নিতে ঢাকায় আসছেন জুবাইদা যুক্তরাজ্যের ৯ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী!

জাপা নিষিদ্ধের দাবির মধ্যে আরেক দুঃসংবাদ

জিএম কাদের ও তাঁর স্ত্রীর বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৩:০০:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / 118

জি এম কাদের ও তার স্ত্রী শেরিফা কাদের

অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জাতীয় পার্টি (জাপা) নিষিদ্ধ করার দাবিতে রাজনৈতিক অঙ্গন সরব থাকার সময়ে দলটির নেতৃত্বের জন্য এলো আরেক দুঃসংবাদ। অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান জিএম কাদের এবং তাঁর স্ত্রী শেরীফা কাদেরের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আদালত।

সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকার ভারপ্রাপ্ত মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ ইব্রাহিম মিয়া এই আদেশ দেন বলে জানিয়েছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম। তিনি জানান, দুদকের উপপরিচালক রেজাউল করিম গত রোববার জিএম কাদের ও তাঁর স্ত্রীর বিদেশ গমন ঠেকাতে আবেদন করেন।

আবেদনে উল্লেখ করা হয়, রংপুর-৩ আসনের সাবেক সাংসদ ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধান চলছে। জিএম কাদের ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে এবং বিদেশে স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। দুদকের আশঙ্কা, তাঁরা সম্পদ হস্তান্তর করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে পারেন, ফলে অনুসন্ধান কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে। তাই তাঁদের বিদেশযাত্রা বন্ধ রাখা প্রয়োজন।

আওয়ামী লীগ সরকারের তিন মেয়াদে বিরোধী দলে থাকা জাতীয় পার্টি জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানের পর বিপাকে পড়ে। রাজনৈতিক পালাবদলের পর থেকে জিএম কাদেরকে জনসম্মুখে খুব একটা দেখা যায়নি।

১৯৯৬ সালে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন জিএম কাদের। তিনি জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা ছিলেন এবং ২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

সম্প্রতি দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের একটি অংশ আওয়ামী লীগের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের ‘কলঙ্ক’ থেকে দলকে মুক্ত করার লক্ষ্যে জিএম কাদেরকে নেতৃত্ব থেকে সরানোর উদ্যোগ নেয়।

গত ৯ আগস্ট জিএম কাদেরপন্থিদের বাদ দিয়ে রওশন এরশাদ সমর্থিত নেতাদের সঙ্গে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও মো. মুজিবুল হক চুন্নুর নেতৃত্বাধীন আরেক অংশ ঐক্য গড়ে তোলে। পরবর্তীতে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে নতুন কমিটিও ঘোষণা করা হয়।

সে সম্মেলনে আগের সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে চেয়ারম্যান এবং সাবেক মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারকে মহাসচিব নির্বাচিত করা হয়। কাজী ফিরোজ রশিদ হন সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান এবং মো. মুজিবুল হক চুন্নুকে করা হয় নির্বাহী চেয়ারম্যান।

অন্যদিকে, জিএম কাদেরের স্ত্রী শেরীফা কাদের একাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসন-৪৫ থেকে নির্বাচিত সাংসদ ছিলেন। তবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৮ আসন থেকে প্রার্থী হয়ে তিনি পরাজিত হন। সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ২৬টি আসন ছেড়ে দিয়েছিল, এর মধ্যে ছিল এই আসনটিও।

নিউজটি শেয়ার করুন

জাপা নিষিদ্ধের দাবির মধ্যে আরেক দুঃসংবাদ

জিএম কাদের ও তাঁর স্ত্রীর বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা

আপডেট সময় : ০৩:০০:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

জাতীয় পার্টি (জাপা) নিষিদ্ধ করার দাবিতে রাজনৈতিক অঙ্গন সরব থাকার সময়ে দলটির নেতৃত্বের জন্য এলো আরেক দুঃসংবাদ। অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান জিএম কাদের এবং তাঁর স্ত্রী শেরীফা কাদেরের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আদালত।

সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকার ভারপ্রাপ্ত মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ ইব্রাহিম মিয়া এই আদেশ দেন বলে জানিয়েছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম। তিনি জানান, দুদকের উপপরিচালক রেজাউল করিম গত রোববার জিএম কাদের ও তাঁর স্ত্রীর বিদেশ গমন ঠেকাতে আবেদন করেন।

আবেদনে উল্লেখ করা হয়, রংপুর-৩ আসনের সাবেক সাংসদ ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধান চলছে। জিএম কাদের ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে এবং বিদেশে স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। দুদকের আশঙ্কা, তাঁরা সম্পদ হস্তান্তর করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে পারেন, ফলে অনুসন্ধান কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে। তাই তাঁদের বিদেশযাত্রা বন্ধ রাখা প্রয়োজন।

আওয়ামী লীগ সরকারের তিন মেয়াদে বিরোধী দলে থাকা জাতীয় পার্টি জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানের পর বিপাকে পড়ে। রাজনৈতিক পালাবদলের পর থেকে জিএম কাদেরকে জনসম্মুখে খুব একটা দেখা যায়নি।

১৯৯৬ সালে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন জিএম কাদের। তিনি জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা ছিলেন এবং ২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

সম্প্রতি দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের একটি অংশ আওয়ামী লীগের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের ‘কলঙ্ক’ থেকে দলকে মুক্ত করার লক্ষ্যে জিএম কাদেরকে নেতৃত্ব থেকে সরানোর উদ্যোগ নেয়।

গত ৯ আগস্ট জিএম কাদেরপন্থিদের বাদ দিয়ে রওশন এরশাদ সমর্থিত নেতাদের সঙ্গে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও মো. মুজিবুল হক চুন্নুর নেতৃত্বাধীন আরেক অংশ ঐক্য গড়ে তোলে। পরবর্তীতে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে নতুন কমিটিও ঘোষণা করা হয়।

সে সম্মেলনে আগের সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে চেয়ারম্যান এবং সাবেক মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারকে মহাসচিব নির্বাচিত করা হয়। কাজী ফিরোজ রশিদ হন সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান এবং মো. মুজিবুল হক চুন্নুকে করা হয় নির্বাহী চেয়ারম্যান।

অন্যদিকে, জিএম কাদেরের স্ত্রী শেরীফা কাদের একাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসন-৪৫ থেকে নির্বাচিত সাংসদ ছিলেন। তবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৮ আসন থেকে প্রার্থী হয়ে তিনি পরাজিত হন। সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ২৬টি আসন ছেড়ে দিয়েছিল, এর মধ্যে ছিল এই আসনটিও।