ঢাকা ০৫:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

  টরেন্টো চ্যাম্পিয়ন বড়লেখা

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ১১:১৭:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫
  • / 501
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কানাডার টরেন্টো সিটির  বাংলা টাউন এর ডেনফোর্থ প্রিমিয়ার লীগ  ডিপিএল এর সেশন-৩ আসরের পর্দা নামলো ২৪ আগস্ট ।গত ১১ আগস্ট প্লেয়ার অকশন হতে দশটি দলের প্রত্যেকেই নিলামে তাদের গেইম প্ল্যান অনুযায়ী ব্যালেন্স একাদশ গড়তে প্লেয়ার ড্রাফটিং থেকে তুলে নেয়ার চেষ্টা করে তাদের বেস্ট  ইলেভেন গঠনের। টরেন্টোর বাংলা কমিউনিটির সর্ববৃহৎ ক্রিকেট উৎসবকে কেন্দ্র করে  ক্রীড়াপ্রেমিদের পদভারে মুখরিত ছিল কর্ভেট  ক্রিকেট গ্রাউন্ড।

দিনব্যাপী দশটি টিমের এই ম্যারাথন ক্রিকেট উৎসবের শেষ হাসি হাসে নবাগত টিম গ্রেটার বড়লেখা স্পোর্টিং ক্লাব। বড়লেখা স্পোটিং ক্লাব প্রথমবারের মতো অংশ নিয়েই বাজিমাত করে তাক লাগিয়ে দেয় ক্রিকেট এরিনায়।

পুরো টুর্নামেন্টে টিম ম্যানেজমেন্টের প্লেয়ার নির্বাচন, মাঠে প্লেয়াদের শতভাগ নিংড়ে দেওয়া এবং শুভাকাঙ্ক্ষী ও সমর্থকদের উৎসাহ দিয়ে যাওয়া -এক কথায় ছিল  চিত্ত হরণকারী। ভদ্রলোকের খেলা ক্রিকেটের ফেয়ার প্লে সিস্টেম থাকলে সেখানেও জয়ী দলের নাম হত বড়লেখা স্পোর্টিং ক্লাব।

সেমিফাইনালে চরম উত্তেজনার মুহূর্তে শেষ ওভারের খেলায় অর্কিজ স্পোর্টিং ক্লাবের বোলার যখন বড়লেখার নন স্টাইকার  ব্যাটসম্যানকে “মানকাটিং” করে আউট করেন সেটি ছিল ক্রিকেট এর গেইম স্পিরিটের বিপক্ষে।এই ধরণের আউট ক্রিকেট স্পিরিটের সাথে  যায় না ,যদিও ক্রিকেট আইনে সেটি বৈধ আউট। এজন্যই বলা হয়- লজিক্যালি ইউ আর রাইট বাট মরালি ইটস এগেইন্ট দ্যা স্পিরিট।

দিনব্যাপী ক্রিকেট উৎসবের এই  টুর্নামেন্টে একে একে ছিটকে যায় তারকা সমৃদ্ধ বড় বড় ক্লাবগুলো এবং শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচের জন্য মুখোমুখি হয় গোলাপগঞ্জ স্পোটিং ক্লাব এবং গ্রেটার বড়লেখা স্পোর্টিং ক্লাব।ফাইনাল ম্যাচটি ছিল এক কথায় পয়সা উসুলের ম্যাচ। পেন্ডুলাম এর মত প্রতিটি ওভারে ম্যাচ দুলছিলো চরকির ন্যায়। কখনও গোলাপগঞ্জ কখনো  বড়লেখার অনুকূলে।

বড়লেখা স্পোর্টিং ক্লাব প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ছয় ওভারে প্রতিপক্ষের জন্য ১৩০ রানের টার্গেট দাঁড় করায়। যা প্রায় পর্বতসম টার্গেট। বড়লেখার তারুণ্য এবং টিম স্পিরিট এর নিদর্শন ছিল তাদের প্রতিটি মুভমেন্টে।অপরদিকে  অভিজ্ঞতায় গোলাপগঞ্জ ছিল সেরা টিম।

বিশাল টার্গেট ধাওয়া করার আগেই যে ফাইনাল হেরে যাবার কথা সেখানেই আফজাল এবং হুসবানের উইলোবাজিতে ম্যাচে টিকে ছিল গোলাপগঞ্জ স্পোটিং ক্লাব। “ফর্ম ইজ টেম্পোরারি; বাট ক্লাস ইজ পার্মানেন্ট” এই বাক্যের সার্থকতা প্রমাণ করতে গিয়ে বুস্টার ওভারটি পুরো কাজে লাগিয়ে হুসবান গোলাপগঞ্জকে শুধু ম্যাচে ফেরাননি তাদের নিয়ে এসেছিলেন ম্যাচের ড্রাইভিং সিটে।

বুস্টার ওভারের সাফল্যের পর হুসবান মুখোমুখি হন বড়লেখা স্পোর্টিং ক্লাবের সবচাইতে অভিজ্ঞ প্লেয়ার শাওন মিয়ার। শার্প দুই মস্তিষ্কের লড়াইয়ে এবার জয়ী হন শাওন মিয়া । এক ওভারে হুসবান সহ দুজন ব্যাটসম্যানকে প্যাভিলিয়নে ফিরিয়ে দিয়ে ম্যাচের নাটাই এনে দেন বড়লেখার হাতে।

আফজাল সেখান থেকেই ম্যাচ টেনে নিয়ে যান শেষ ওভারে। গোলাপগঞ্জ শেষ ওভারের নেইল বাইটিং স্মায়ুবিক লড়াইয়ে যেখানে ছিল ম্যাচের পেসিঞ্জার সিটে সেখান থেকে হঠাৎ করেই ওভার কনফিডেন্স এবং অনবিজ্ঞতার কারনে ইয়াসিন একটি ‘নো বল’ করে আবারো ম্যাচ এর স্টিয়ারিং তুলে দেন গোলাপগঞ্জকে । নো বলে- চার মেরে এক্টি স্কোরিং শট আর চ্যাম্পিয়নশীপের সমিকরণে এসে দাড়াঁয় ম্যাচ।

কিন্তু আবারো চমক।একটি স্কোরিং শট যেখানে নির্ধারণ করে দিবে চ্যাম্পিয়নশিপ সেখানেই অভিজ্ঞতাকে পরাস্ত করে তারুণ্যের স্পিরিট এর সমর্থকদের চিয়ার্সকে আরো উত্তাল করে দিয়ে শেষ বলে ম্যান অব দ্যা ফাইনাল ইয়াসিন টুর্নামেন্টের সেরা প্লেয়ার আফজালের স্টাম্প উপড়ে ফেলেন। উল্লাসে আর হর্ষধ্বনিতে ফেটে পড়ে বড়লেখার সমর্থকারা।

টরেন্টোর কর্ভেট ক্রিকেট গ্রাউন্ডে গ্রেটার বড়লেখা স্পোর্টিং ক্লাব জানান দিল আমরাই চ্যাম্পিয়ন। এলাম দেখলাম খেল্লাম এবং জিতলাম এই ছিলো বড়লেখার উর্ধযাত্রার উচ্চধ্বনি।

ডিপিএল সেশন-৩ এর চ্যাম্পিয়ন হিসেবে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন বিয়ানীবাজার স্পোর্টিং ক্লাবের হাত থেকে আগামী সেশনের পূর্ব পর্যন্ত চ্যাম্পিয়নশীপ ব্যাটন থাকবে গ্রেটার বড়লেখা স্পোটিং ক্লাবের ট্রপি কেসে।

বড়লেখার টিম স্কোয়াডের ডেপথ এর  চাইতেও তাদের ম্যানেজমেন্টের ডেপথ ছিল অনেক বেশি।ম্যানেজার ছিলেন চারজন । তাদের সাথে সর্বাবস্থায় দিকনির্দেশনা দিচ্ছিলেন রাজনৈতিক এবং কমিউনিটি নেতা ইমরুল ইসলাম।

বড়লোক স্পোটিং ক্লাবের ডিরেক্টর অলিউর রহমান জানান, এই সাফল্য পুরো দলের এবং নেপথ্যে যারা কাজ করেছে তাদের একই সাথে সকল শুভাকাঙ্ক্ষীদের। এ বিজয় প্রবাসে থাকা গ্রেটার বড়লেখাবাসীদের।

জনি জানান- সাফল্য পাওয়ার জন্য যতটুকু চেষ্টা করার প্রয়োজন আমরা সেটা করেছি, বাকিটা প্লেয়াররা মাঠে দেখিয়েছে।

ম্যানেজার দুলাল বলেন, আমাদের ভাগ্য এবং প্লেয়ারদের আত্মনিবেদন আমাদেরকে জয়ী করেছে।

আব্দুল ওয়াহিদ বলেন, মনে হয়েছে বড়লেখার কোন মাঠে যেনো খেলতে এসেছি।প্রবাসে এতো বড় বড়লেখা ধ্বনী মনটাকেই প্রানচঞ্চল করে তুলেছে।

ম্যানেজার জব্বার হোসেন ছেলেকে নিয়ে এসেছিলেন ইতিহাসের সাক্ষী হতে।চা এর দেশের মানুষ হিসাবে দিয়েছেন চায়ের নিমন্ত্রণ সবাইকে। ফাইনাল শেষে এজন্য উন্দালের অন্দরে আয়োজন করা হয় বিশাল ডিনারের।

পৃষ্ঠপোষক ইমরুল ইসলাম জানান, রাজনৈতিক কিংবা সামাজিক অঙ্গনে শর্টকাটে সাফল্য কিংবা নেতৃত্ব দেওয়া অনেক সময় সম্ভব হলেও যুদ্ধে সেটার অবকাশ নেই।

আমাদের প্লেয়াররা ক্রিকেট মাঠের ২২ গজের পিচে যেভাবে আত্মনিবেদন এবং অধ্যবসয়ের সাথে যুদ্ধে নেমেছিল সেই সাফল্য কোন অপ্রত্যাশিত ঘটনা নয়। দিনব্যাপী ম্যারাথন এই টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়ন হয়ে বড়লেখা স্পোর্টিং ক্লাব কানাডার বুকে আমাদের যে সুনাম বয়ে নিয়ে এসেছে সেটা অন্য কোন মাধ্যমে পেতে হলে অন্ততপক্ষে ২০ বছর অপেক্ষা করতে হতো।

গ্রেটার বড়লেখা স্পোটিং ক্লাবের হয়ে যারা মাঠ মাতিয়েছেন তারা হলেন তাহমিদ মাহি, তাশরিফ আহমেদ সাকিব, শাওন মিয়া, লিপু আহমেদ, আব্দুস শাকুর (ক্যাপ্টেন), শওজিব( ভাইস ক্যাপ্টেন), তাসকিন, ইয়াসিন, রাব্বি, ফয়সাল, নাসিম, এজাজ।

ডিপিএল সেশন -৩ এ অংশ নেওয়া দলগুলো হলো -জেন্টলম্যানস ক্রিকেট ক্লাব, সিলেট সানরাইজার্স, গোলাপগঞ্জ, চিটাগাং ভাইকিংস, ওকরিজ, ইউআরএসসি, লাল সবুজ ,রয়‍্যালস সিলেট, গতবারের চ্যাম্পিয়ন বিয়ানীবাজার স্পোর্টিং ক্লাব, এবং নবাগত গ্রেটার বড়লেখা স্পোর্টস ক্লাব।

নিউজটি শেয়ার করুন

  টরেন্টো চ্যাম্পিয়ন বড়লেখা

আপডেট সময় : ১১:১৭:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫

কানাডার টরেন্টো সিটির  বাংলা টাউন এর ডেনফোর্থ প্রিমিয়ার লীগ  ডিপিএল এর সেশন-৩ আসরের পর্দা নামলো ২৪ আগস্ট ।গত ১১ আগস্ট প্লেয়ার অকশন হতে দশটি দলের প্রত্যেকেই নিলামে তাদের গেইম প্ল্যান অনুযায়ী ব্যালেন্স একাদশ গড়তে প্লেয়ার ড্রাফটিং থেকে তুলে নেয়ার চেষ্টা করে তাদের বেস্ট  ইলেভেন গঠনের। টরেন্টোর বাংলা কমিউনিটির সর্ববৃহৎ ক্রিকেট উৎসবকে কেন্দ্র করে  ক্রীড়াপ্রেমিদের পদভারে মুখরিত ছিল কর্ভেট  ক্রিকেট গ্রাউন্ড।

দিনব্যাপী দশটি টিমের এই ম্যারাথন ক্রিকেট উৎসবের শেষ হাসি হাসে নবাগত টিম গ্রেটার বড়লেখা স্পোর্টিং ক্লাব। বড়লেখা স্পোটিং ক্লাব প্রথমবারের মতো অংশ নিয়েই বাজিমাত করে তাক লাগিয়ে দেয় ক্রিকেট এরিনায়।

পুরো টুর্নামেন্টে টিম ম্যানেজমেন্টের প্লেয়ার নির্বাচন, মাঠে প্লেয়াদের শতভাগ নিংড়ে দেওয়া এবং শুভাকাঙ্ক্ষী ও সমর্থকদের উৎসাহ দিয়ে যাওয়া -এক কথায় ছিল  চিত্ত হরণকারী। ভদ্রলোকের খেলা ক্রিকেটের ফেয়ার প্লে সিস্টেম থাকলে সেখানেও জয়ী দলের নাম হত বড়লেখা স্পোর্টিং ক্লাব।

সেমিফাইনালে চরম উত্তেজনার মুহূর্তে শেষ ওভারের খেলায় অর্কিজ স্পোর্টিং ক্লাবের বোলার যখন বড়লেখার নন স্টাইকার  ব্যাটসম্যানকে “মানকাটিং” করে আউট করেন সেটি ছিল ক্রিকেট এর গেইম স্পিরিটের বিপক্ষে।এই ধরণের আউট ক্রিকেট স্পিরিটের সাথে  যায় না ,যদিও ক্রিকেট আইনে সেটি বৈধ আউট। এজন্যই বলা হয়- লজিক্যালি ইউ আর রাইট বাট মরালি ইটস এগেইন্ট দ্যা স্পিরিট।

দিনব্যাপী ক্রিকেট উৎসবের এই  টুর্নামেন্টে একে একে ছিটকে যায় তারকা সমৃদ্ধ বড় বড় ক্লাবগুলো এবং শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচের জন্য মুখোমুখি হয় গোলাপগঞ্জ স্পোটিং ক্লাব এবং গ্রেটার বড়লেখা স্পোর্টিং ক্লাব।ফাইনাল ম্যাচটি ছিল এক কথায় পয়সা উসুলের ম্যাচ। পেন্ডুলাম এর মত প্রতিটি ওভারে ম্যাচ দুলছিলো চরকির ন্যায়। কখনও গোলাপগঞ্জ কখনো  বড়লেখার অনুকূলে।

বড়লেখা স্পোর্টিং ক্লাব প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ছয় ওভারে প্রতিপক্ষের জন্য ১৩০ রানের টার্গেট দাঁড় করায়। যা প্রায় পর্বতসম টার্গেট। বড়লেখার তারুণ্য এবং টিম স্পিরিট এর নিদর্শন ছিল তাদের প্রতিটি মুভমেন্টে।অপরদিকে  অভিজ্ঞতায় গোলাপগঞ্জ ছিল সেরা টিম।

বিশাল টার্গেট ধাওয়া করার আগেই যে ফাইনাল হেরে যাবার কথা সেখানেই আফজাল এবং হুসবানের উইলোবাজিতে ম্যাচে টিকে ছিল গোলাপগঞ্জ স্পোটিং ক্লাব। “ফর্ম ইজ টেম্পোরারি; বাট ক্লাস ইজ পার্মানেন্ট” এই বাক্যের সার্থকতা প্রমাণ করতে গিয়ে বুস্টার ওভারটি পুরো কাজে লাগিয়ে হুসবান গোলাপগঞ্জকে শুধু ম্যাচে ফেরাননি তাদের নিয়ে এসেছিলেন ম্যাচের ড্রাইভিং সিটে।

বুস্টার ওভারের সাফল্যের পর হুসবান মুখোমুখি হন বড়লেখা স্পোর্টিং ক্লাবের সবচাইতে অভিজ্ঞ প্লেয়ার শাওন মিয়ার। শার্প দুই মস্তিষ্কের লড়াইয়ে এবার জয়ী হন শাওন মিয়া । এক ওভারে হুসবান সহ দুজন ব্যাটসম্যানকে প্যাভিলিয়নে ফিরিয়ে দিয়ে ম্যাচের নাটাই এনে দেন বড়লেখার হাতে।

আফজাল সেখান থেকেই ম্যাচ টেনে নিয়ে যান শেষ ওভারে। গোলাপগঞ্জ শেষ ওভারের নেইল বাইটিং স্মায়ুবিক লড়াইয়ে যেখানে ছিল ম্যাচের পেসিঞ্জার সিটে সেখান থেকে হঠাৎ করেই ওভার কনফিডেন্স এবং অনবিজ্ঞতার কারনে ইয়াসিন একটি ‘নো বল’ করে আবারো ম্যাচ এর স্টিয়ারিং তুলে দেন গোলাপগঞ্জকে । নো বলে- চার মেরে এক্টি স্কোরিং শট আর চ্যাম্পিয়নশীপের সমিকরণে এসে দাড়াঁয় ম্যাচ।

কিন্তু আবারো চমক।একটি স্কোরিং শট যেখানে নির্ধারণ করে দিবে চ্যাম্পিয়নশিপ সেখানেই অভিজ্ঞতাকে পরাস্ত করে তারুণ্যের স্পিরিট এর সমর্থকদের চিয়ার্সকে আরো উত্তাল করে দিয়ে শেষ বলে ম্যান অব দ্যা ফাইনাল ইয়াসিন টুর্নামেন্টের সেরা প্লেয়ার আফজালের স্টাম্প উপড়ে ফেলেন। উল্লাসে আর হর্ষধ্বনিতে ফেটে পড়ে বড়লেখার সমর্থকারা।

টরেন্টোর কর্ভেট ক্রিকেট গ্রাউন্ডে গ্রেটার বড়লেখা স্পোর্টিং ক্লাব জানান দিল আমরাই চ্যাম্পিয়ন। এলাম দেখলাম খেল্লাম এবং জিতলাম এই ছিলো বড়লেখার উর্ধযাত্রার উচ্চধ্বনি।

ডিপিএল সেশন-৩ এর চ্যাম্পিয়ন হিসেবে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন বিয়ানীবাজার স্পোর্টিং ক্লাবের হাত থেকে আগামী সেশনের পূর্ব পর্যন্ত চ্যাম্পিয়নশীপ ব্যাটন থাকবে গ্রেটার বড়লেখা স্পোটিং ক্লাবের ট্রপি কেসে।

বড়লেখার টিম স্কোয়াডের ডেপথ এর  চাইতেও তাদের ম্যানেজমেন্টের ডেপথ ছিল অনেক বেশি।ম্যানেজার ছিলেন চারজন । তাদের সাথে সর্বাবস্থায় দিকনির্দেশনা দিচ্ছিলেন রাজনৈতিক এবং কমিউনিটি নেতা ইমরুল ইসলাম।

বড়লোক স্পোটিং ক্লাবের ডিরেক্টর অলিউর রহমান জানান, এই সাফল্য পুরো দলের এবং নেপথ্যে যারা কাজ করেছে তাদের একই সাথে সকল শুভাকাঙ্ক্ষীদের। এ বিজয় প্রবাসে থাকা গ্রেটার বড়লেখাবাসীদের।

জনি জানান- সাফল্য পাওয়ার জন্য যতটুকু চেষ্টা করার প্রয়োজন আমরা সেটা করেছি, বাকিটা প্লেয়াররা মাঠে দেখিয়েছে।

ম্যানেজার দুলাল বলেন, আমাদের ভাগ্য এবং প্লেয়ারদের আত্মনিবেদন আমাদেরকে জয়ী করেছে।

আব্দুল ওয়াহিদ বলেন, মনে হয়েছে বড়লেখার কোন মাঠে যেনো খেলতে এসেছি।প্রবাসে এতো বড় বড়লেখা ধ্বনী মনটাকেই প্রানচঞ্চল করে তুলেছে।

ম্যানেজার জব্বার হোসেন ছেলেকে নিয়ে এসেছিলেন ইতিহাসের সাক্ষী হতে।চা এর দেশের মানুষ হিসাবে দিয়েছেন চায়ের নিমন্ত্রণ সবাইকে। ফাইনাল শেষে এজন্য উন্দালের অন্দরে আয়োজন করা হয় বিশাল ডিনারের।

পৃষ্ঠপোষক ইমরুল ইসলাম জানান, রাজনৈতিক কিংবা সামাজিক অঙ্গনে শর্টকাটে সাফল্য কিংবা নেতৃত্ব দেওয়া অনেক সময় সম্ভব হলেও যুদ্ধে সেটার অবকাশ নেই।

আমাদের প্লেয়াররা ক্রিকেট মাঠের ২২ গজের পিচে যেভাবে আত্মনিবেদন এবং অধ্যবসয়ের সাথে যুদ্ধে নেমেছিল সেই সাফল্য কোন অপ্রত্যাশিত ঘটনা নয়। দিনব্যাপী ম্যারাথন এই টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়ন হয়ে বড়লেখা স্পোর্টিং ক্লাব কানাডার বুকে আমাদের যে সুনাম বয়ে নিয়ে এসেছে সেটা অন্য কোন মাধ্যমে পেতে হলে অন্ততপক্ষে ২০ বছর অপেক্ষা করতে হতো।

গ্রেটার বড়লেখা স্পোটিং ক্লাবের হয়ে যারা মাঠ মাতিয়েছেন তারা হলেন তাহমিদ মাহি, তাশরিফ আহমেদ সাকিব, শাওন মিয়া, লিপু আহমেদ, আব্দুস শাকুর (ক্যাপ্টেন), শওজিব( ভাইস ক্যাপ্টেন), তাসকিন, ইয়াসিন, রাব্বি, ফয়সাল, নাসিম, এজাজ।

ডিপিএল সেশন -৩ এ অংশ নেওয়া দলগুলো হলো -জেন্টলম্যানস ক্রিকেট ক্লাব, সিলেট সানরাইজার্স, গোলাপগঞ্জ, চিটাগাং ভাইকিংস, ওকরিজ, ইউআরএসসি, লাল সবুজ ,রয়‍্যালস সিলেট, গতবারের চ্যাম্পিয়ন বিয়ানীবাজার স্পোর্টিং ক্লাব, এবং নবাগত গ্রেটার বড়লেখা স্পোর্টস ক্লাব।