নসরুল হামিদের বাংলো গুঁড়িয়ে দিলো বিআইডব্লিউটিএ
- আপডেট সময় : ০৯:৫০:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫
- / 79
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে বুড়িগঙ্গা নদীর তীর দখলমুক্ত করতে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় দুই দিনের উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে। অভিযানের প্রথম দিনেই সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের অবৈধভাবে নির্মিত একটি বাংলো ভেঙে ফেলা হয়।
বুধবার (২০ আগস্ট) সকালে কোন্ডা ইউনিয়নের কাউটাইল এলাকায় এ অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় প্রায় দেড় একর জমি উদ্ধার করা হয়। পাশাপাশি বুড়িগঙ্গার তীর দখল করে নির্মিত তিনটি দোতলা ভবন, একটি ডকইয়ার্ড ও প্রায় ২০০ ফুট দীর্ঘ সীমানা প্রাচীর গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
এই উচ্ছেদ কার্যক্রম বিআইডব্লিউটিএ ও ঢাকা জেলা প্রশাসনের দুই দিনের বিশেষ কর্মসূচির অংশ, যা ২০ ও ২১ আগস্ট যৌথভাবে চলবে। পোস্তগোলা সেতু থেকে ধোপাতিয়া বা কাটুরাইল খেয়াঘাট পর্যন্ত নদীতীর জুড়ে দখলদারদের অবৈধ স্থাপনা ও ভরাট জমি অপসারণ করা হবে।
বিআইডব্লিউটিএ কর্মকর্তারা জানান, শুধু বুড়িগঙ্গা নয়, শীতলক্ষ্যা, তুরাগ ও বালু নদী দখলমুক্ত করারও পরিকল্পনা রয়েছে। নদীর সীমানা নির্ধারণে পিলার স্থাপন, ভরাট জমি পুনরুদ্ধার এবং দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে একই প্রক্রিয়ার আওতায়।
বিআইডব্লিউটিএ’র ঢাকা নদীবন্দরের যুগ্ম পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘ঢাকার চারপাশে বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, তুরাগ ও বালু নদীর সীমানা নির্ধারণ করে সরকার ৮০ কিলোমিটার এলাকায় পিলার স্থাপন করেছে। ২০০৯ সালে এসব নদীতীরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু হয়। গত বছরের ৫ আগস্টের পর নানা কারণে অভিযান চালানো সম্ভব হয়নি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আজ থেকে পুনরায় উচ্ছেদ শুরু হলো।’
তিনি আরও বলেন, ‘বুড়িগঙ্গার স্বাভাবিক প্রবাহ রক্ষার স্বার্থে এ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। দখলদার যত প্রভাবশালীই হোক না কেন, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান—কেউ নদীর জমি ব্যক্তিগতভাবে ভোগ করতে পারবে না।’
অভিযানে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ রাজস্ব সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন, বিআইডব্লিউটিএ’র ঢাকা নদীবন্দরের উপপরিচালক আবু সালেহ এহতেশাম, ভৈরব নদীবন্দরের উপপরিচালক নুর হোসেন ও মেঘনা নদীবন্দরের উপপরিচালক রেজাউল করিম অংশ নেন।

















