আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না: জিএম কাদের
- আপডেট সময় : ১১:৪৫:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫
- / 86
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ ছাড়া নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না। বুধবার বিকেলে রাজধানীতে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
জিএম কাদের বলেন, “আওয়ামী লীগ যখন জামায়াতে ইসলামীকে রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ করে, আমি তার প্রতিবাদ করেছিলাম। একইভাবে এখন বলছি— আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে নির্বাচন করলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না।”
জুলাই গণহত্যায় বহু মিথ্যা মামলা দেওয়ার অভিযোগ করে তিনি বলেন, “আমার ও দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বহু মিথ্যা হত্যা মামলা হয়েছে। যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের জামিন দেওয়া হচ্ছে না। অথচ আইন উপদেষ্টা ও আইজিপি স্বীকার করেছেন, অনেক মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। তাহলে আটক ব্যক্তিদের জামিন দেওয়া হচ্ছে না কেন?”
সরকারের সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, “আইনের নীতি হলো— একজন নিরপরাধকে রক্ষা করতে প্রয়োজনে দশজন দোষীকে ছেড়ে দাও। কিন্তু এখন হচ্ছে উল্টো— একজন দোষীকে শাস্তি দিতে দশজন নিরপরাধকে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে।”
তিনি দৃঢ় কণ্ঠে বলেন, “বাড়ি-ঘর ও অফিসে আগুন, মামলা ও হামলা দিয়ে আমাদের দমিয়ে রাখা যাবে না। আমরা সরকারের অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছি, জনগণের পক্ষে কথা বলছি। জুলুম-নির্যাতনের ভয়ে আমরা থামব না। এজন্যই জনগণ আমাদের পাশে আছে। আমাদের লাঙ্গল প্রতীক অন্য কাউকে দিতে চাইলে আমরা রাজপথে নামব। যারা জনগণের পক্ষে লড়তে পারবে, তারাই জাতীয় পার্টির প্রকৃত নেতা।”
দেশের মানুষের অবস্থা নিয়ে তিনি বলেন, “মানুষ আতঙ্কে বসবাস করছে। যারা ইচ্ছামতো সবকিছু করছে, তারা নির্বাচন চায় না। নির্বাচন যত বিলম্বিত হবে, তাদের তত লাভ। জনগণের কথা তাদের মাথায় নেই। গণতন্ত্রে সবার মত দেওয়ার অধিকার আছে। স্বৈরাচার হবেন? পারবেন না। এ দেশের মানুষ স্বৈরতন্ত্র মানে না।”
শেখ হাসিনা সরকার ও বর্তমান সরকারের তুলনা করে তিনি বলেন, “আগের সরকার আইনের মারপ্যাঁচে আমার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল, এখন এই সরকারও তাই করছে। দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী চেয়ারম্যান হিসেবে আমি যাকে নিয়োগ দিই, তাকে বাদ দেওয়ার ক্ষমতা আমার আছে। আওয়ামী লীগ যা করেছিল, বর্তমান সরকারও তাই করছে— তাহলে পরিবর্তন কোথায়?”
শেষে তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগকে ফ্যাসিবাদ বা স্বৈরাচার বলা হয়, কিন্তু একই কাজ বর্তমান সরকার করলে তাকে কী বলবেন? আগে আমাদের দলীয় প্রতীক নিয়ে ব্ল্যাকমেইল করা হয়েছিল, এখন আবার শুরু হয়েছে। বিএনপির জনসমর্থন বেশি হওয়ায় তাদের প্রতীক কেড়ে নেওয়ার সাহস আওয়ামী লীগ করেনি। তখন বিএনপি ছিল মজলুম, তাই জনগণ সমর্থন দিয়েছে। এখন আমরাও মজলুম, আমরাও জনগণের সমর্থন পাব।”

















