আল-আকসায় প্রথম প্রকাশ্যে প্রার্থনা করলেন কোনো ইসরায়েলি মন্ত্রী
- আপডেট সময় : ০৫:১৯:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ অগাস্ট ২০২৫
- / 275
ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রী ইতামার বেন গভির আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে একটি প্রকাশ্য প্রার্থনায় নেতৃত্ব দিয়েছেন। ‘টেম্পল মাউন্ট’ নামে পরিচিত এই স্থানটিতে এবারই প্রথম কোনো ইসরায়েলি মন্ত্রী প্রকাশ্যে প্রার্থনায় অংশগ্রহণ করলেন।
টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রোববার ইতামার বেন গভির আল-আকসায় উপস্থিত হয়ে এক মিনইয়ানের নেতৃত্ব দেন। মিনইয়ান হলো ন্যূনতম ১০ জন ইহুদি পুরুষের সমন্বয়ে গঠিত সম্মিলিত প্রার্থনার দল।
জর্ডানের আওতায় থাকা আল-আকসা মসজিদ ইসলাম, খ্রিষ্টান ও ইহুদি—তিন ধর্মের অনুসারীদের কাছেই বিশেষভাবে পবিত্র স্থান। ইহুদি ধর্মাবলম্বীরা এটিকে ‘টেম্পল মাউন্ট’ নামে চেনেন। ওয়াকফের ব্যবস্থাপনায় থাকা এ স্থানটিতে রয়েছে একাধিক মসজিদ ও গুরুত্বপূর্ণ ইসলামিক স্থাপনা।
টেম্পল মাউন্টে ইহুদি প্রার্থনায় নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইহুদি ধর্মাবলম্বীরা সেখানে প্রায়ই প্রার্থনায় অংশ নিচ্ছেন। এবার সেই চর্চায় যুক্ত হলেন একজন মন্ত্রীও।
টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, তিশা ব’আভ উপলক্ষে আয়োজিত ‘আমিদা’ প্রার্থনায় নেতৃত্ব দেন বেন গভির। এই উপবাস দিবসটি ইহুদিদের পুরনো দুটি উপাসনালয় ধ্বংসের স্মরণে পালন করা হয়।
এ সময় প্রার্থনায় অংশ নেওয়া বেন গভির ও তাঁর অনুসারীদের উদ্দেশে চিৎকার করার অভিযোগে আরব বংশোদ্ভূত এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ, জানিয়েছে আরুৎজ সেভেন।
২০২২ সালে জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী হওয়ার পর থেকে বেন গভির বলে আসছেন, তাঁর নীতির অন্যতম লক্ষ্য হলো টেম্পল মাউন্টে ইহুদিদের প্রার্থনার অধিকার নিশ্চিত করা। অথচ এই প্রাঙ্গণে কী করা যাবে, তা নিয়ে ইসরায়েল ও জর্ডানের মধ্যে দীর্ঘদিনের এক সমঝোতা রয়েছে। বেন গভিরের অবস্থানকে এই ‘স্ট্যাটাস কু’-এর লঙ্ঘন হিসেবে দেখা হচ্ছে।
বেন গভিরের আল-আকসায় উপস্থিতি আরব দেশগুলোর মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে। জর্ডান একে ‘আন্তর্জাতিক আইনের নির্লজ্জ লঙ্ঘন’ এবং ‘অগ্রহণযোগ্য উসকানি ও উত্তেজনা সৃষ্টিকারী ঘটনা’ বলে মন্তব্য করেছে।
এ ছাড়া, রোববারই বেন গভির গাজা উপত্যকা সম্পূর্ণভাবে দখলের জন্য তাঁর সরকারকে আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সরকারের উচিত ‘গাজায় ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব ঘোষণা করা, প্রতিটি হামাস সদস্যকে নিষ্ক্রিয় করা এবং গাজার নাগরিকদের স্বেচ্ছায় দেশত্যাগে উৎসাহ দেওয়া।’






















