ঢাকা ০৫:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
আরও পেছাল খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রা ইসলামে পারিবারিক নির্যাতনের কোনো স্থান নেই-শায়খ আব্দুল কাইয়ুম লিবিয়া থেকে ৩১০ বাংলাদেশি দেশে ফিরলেন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আরও ৩০ দেশের নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা খাঁচা থেকে বের হওয়া সিংহী আড়াই ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে লন্ডনে ফ্লাই রবিবার, নির্জন কারাবাস থেকেই খালেদা জিয়ার ‘নানা রোগের সূচনা’ জানালেন ফখরুল মহাকাশ থেকে পবিত্র  কাবা শরিফের উজ্জ্বল ছবি আন্দোলনে থাকা প্রাথমিকের শিক্ষকদের বদলি, ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি স্থগিত তারেক রহমানের দেশে ফেরা আবার অনিশ্চিত, কীভাবে ভোটার হবেন? খালেদা জিয়া ছাড়া পরিবারের কেউ ভিভিআইপি সুবিধা পাবেন না

আগামী ৫-৬ দিন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের জন্য খুবই ক্রুসিয়াল
দাবি প্রেস সচিবের

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৩:৪৩:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫
  • / 172
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আগামী পাঁচ থেকে ছয় দিন দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির জন্য ক্রুসিয়াল (অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ) উল্লেখ করে প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম বলেছেন, এই সময়ের মধ্য দিয়েই বোঝা যাবে আমরা কোন পথে এগোচ্ছি।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সচিবালয়ে বিএসআরএফ (বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম)-এর সংলাপে অংশ নিয়ে তিনি একথা বলেন। সংলাপে দেশীয় রাজনৈতিক পরিস্থিতি, অর্থনীতি, আইনশৃঙ্খলা, নির্বাচন এবং গণমাধ্যম স্বাধীনতা নিয়ে সরকারপক্ষের অবস্থান তুলে ধরেন প্রেস সেক্রেটারি। তিনি বলেন, “এমন এক সময়ে আমরা দাঁড়িয়ে আছি, যখন রাজনৈতিক বোঝাপড়ার প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি। এই কয়েকদিন অত্যন্ত ক্রুসিয়াল।”

শফিকুল আলম বলেন, “একটি ঝুঁকিপূর্ণ অর্থনীতি থেকে দেশকে পুনরুদ্ধার করেছে সরকার। বর্তমানে মুদ্রাস্ফীতি কমছে এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও এখন স্থিতিশীল। পুলিশের মধ্যে ধীরে ধীরে মনোবলও বাড়ছে।”

তিনি বলেন, “আগের সরকার বিদেশিদের কাছে দেশের পররাষ্ট্রনীতি কার্যত বন্ধক রেখেছিল। বর্তমান সরকার ভারসাম্যপূর্ণ কূটনৈতিক নীতি গ্রহণ করেছে। ভারতসহ সব দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে এগোচ্ছে।”

গণমাধ্যম বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে প্রেস সেক্রেটারি বলেন, “এই সরকারের সময় সাংবাদিকরা সবচেয়ে অবাধে কাজ করতে পারছেন। সরকারের সমালোচনা করেও সাংবাদিকতা করা যাচ্ছে। কেউ যদি সমস্যা অনুভব করেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে সেটা দেখব।”

তবে তিনি আরও বলেন, “যেসব গণমাধ্যম কর্মীদের নিয়মিত বেতন দিতে পারে না, সেসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়া উচিত। কারণ এসব মাধ্যম থেকেই ভুল ও অপতথ্য ছড়ানো হয়।” তিনি দাবি করেন, “গত এক বছরে গণমাধ্যমের সবচেয়ে বড় সংস্কার হলো—সরকার কাউকে চাপ দিয়ে কোনো নিউজ করায়নি। এ বিষয়ে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট—জিরো টলারেন্স।”

নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার আগে মাঠ প্রশাসনে কিছু পরিবর্তন আনা হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে এবারের নির্বাচন সবচেয়ে সুষ্ঠু হবে।”

প্রেস সেক্রেটারি আশ্বস্ত করেন, “কিছু রাজনৈতিক দলের মধ্যে মতবিরোধ থাকলেও তা নির্বাচনী পরিবেশে কোনো প্রভাব ফেলবে না। এবারের নির্বাচন হবে জিরো ভায়োলেন্সের ভিত্তিতে।”

নিরাপত্তা নিয়ে তিনি বলেন, “আগামী কয়েক দিন সরকার ও দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলেও জাতীয় নিরাপত্তার ঝুঁকি নেই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ থাকলে দুই একজন রাস্তায় দাঁড়িয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করতে পারবে না।”

চাঁদাবাজি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “চাঁদাবাজি প্রশ্নে সরকার জিরো টলারেন্স নীতিতে আছে। সে যেই হোক, এই সরকার তা কখনোই বরদাশত করবে না।”

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

আগামী ৫-৬ দিন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের জন্য খুবই ক্রুসিয়াল
দাবি প্রেস সচিবের

আপডেট সময় : ০৩:৪৩:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫

আগামী পাঁচ থেকে ছয় দিন দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির জন্য ক্রুসিয়াল (অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ) উল্লেখ করে প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম বলেছেন, এই সময়ের মধ্য দিয়েই বোঝা যাবে আমরা কোন পথে এগোচ্ছি।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সচিবালয়ে বিএসআরএফ (বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম)-এর সংলাপে অংশ নিয়ে তিনি একথা বলেন। সংলাপে দেশীয় রাজনৈতিক পরিস্থিতি, অর্থনীতি, আইনশৃঙ্খলা, নির্বাচন এবং গণমাধ্যম স্বাধীনতা নিয়ে সরকারপক্ষের অবস্থান তুলে ধরেন প্রেস সেক্রেটারি। তিনি বলেন, “এমন এক সময়ে আমরা দাঁড়িয়ে আছি, যখন রাজনৈতিক বোঝাপড়ার প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি। এই কয়েকদিন অত্যন্ত ক্রুসিয়াল।”

শফিকুল আলম বলেন, “একটি ঝুঁকিপূর্ণ অর্থনীতি থেকে দেশকে পুনরুদ্ধার করেছে সরকার। বর্তমানে মুদ্রাস্ফীতি কমছে এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও এখন স্থিতিশীল। পুলিশের মধ্যে ধীরে ধীরে মনোবলও বাড়ছে।”

তিনি বলেন, “আগের সরকার বিদেশিদের কাছে দেশের পররাষ্ট্রনীতি কার্যত বন্ধক রেখেছিল। বর্তমান সরকার ভারসাম্যপূর্ণ কূটনৈতিক নীতি গ্রহণ করেছে। ভারতসহ সব দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে এগোচ্ছে।”

গণমাধ্যম বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে প্রেস সেক্রেটারি বলেন, “এই সরকারের সময় সাংবাদিকরা সবচেয়ে অবাধে কাজ করতে পারছেন। সরকারের সমালোচনা করেও সাংবাদিকতা করা যাচ্ছে। কেউ যদি সমস্যা অনুভব করেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে সেটা দেখব।”

তবে তিনি আরও বলেন, “যেসব গণমাধ্যম কর্মীদের নিয়মিত বেতন দিতে পারে না, সেসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়া উচিত। কারণ এসব মাধ্যম থেকেই ভুল ও অপতথ্য ছড়ানো হয়।” তিনি দাবি করেন, “গত এক বছরে গণমাধ্যমের সবচেয়ে বড় সংস্কার হলো—সরকার কাউকে চাপ দিয়ে কোনো নিউজ করায়নি। এ বিষয়ে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট—জিরো টলারেন্স।”

নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার আগে মাঠ প্রশাসনে কিছু পরিবর্তন আনা হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে এবারের নির্বাচন সবচেয়ে সুষ্ঠু হবে।”

প্রেস সেক্রেটারি আশ্বস্ত করেন, “কিছু রাজনৈতিক দলের মধ্যে মতবিরোধ থাকলেও তা নির্বাচনী পরিবেশে কোনো প্রভাব ফেলবে না। এবারের নির্বাচন হবে জিরো ভায়োলেন্সের ভিত্তিতে।”

নিরাপত্তা নিয়ে তিনি বলেন, “আগামী কয়েক দিন সরকার ও দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলেও জাতীয় নিরাপত্তার ঝুঁকি নেই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ থাকলে দুই একজন রাস্তায় দাঁড়িয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করতে পারবে না।”

চাঁদাবাজি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “চাঁদাবাজি প্রশ্নে সরকার জিরো টলারেন্স নীতিতে আছে। সে যেই হোক, এই সরকার তা কখনোই বরদাশত করবে না।”