ডাকসু নির্বাচন ৯ সেপ্টেম্বর
- আপডেট সময় : ০৬:৩৫:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫
- / 207

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বিকাল ৪টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক জসিম উদ্দিন তফসিল ঘোষণা করেছেন।
তফসিল অনুযায়ী খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে ৩০ জুলাই। খসড়া ভোটার তালিকায় আপত্তি গ্রহণের শেষ তারিখ ৬ অগাস্ট বিকাল ৪টা পর্যন্ত। এরপর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে ১১ অগাস্ট।
নির্বাচনের মনোনয়নপত্র বিতরণ হবে ১২ থেকে ১৮ অগাস্ট। মনোনয়নপত্র গ্রহণের সবশেষ তারিখ ১৯ অগাস্ট। পরদিন ২০ আগস্ট মনোনয়নপত্র বাছাই ও ২১ অগাস্ট প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে।
তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন ২৫ অগাস্ট। প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে ২৬ অগাস্ট। এরপর ভোটগ্রহণ হবে ৯ সেপ্টেম্বর।
বিকালে সিনেট ভবনে তফসিল ঘোষণার সময় নির্বাচন কমিশনের সদস্য অধ্যাপক শামীম রেজাসহ অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
পাঁচ বছর পর ডাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হতে চলেছে। গত ২০ জুলাই ডাকসু নির্বাচন কমিশন সেপ্টেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ভোটগ্রহণের কথা জানিয়েছিল। সেদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে ডাকসু নির্বাচনের অংশীজনদের সঙ্গে তফসিল সংক্রান্ত চূড়ান্ত সভায় ছয়টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছিল।
সভায় জানানো হয়, ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষের যে শিক্ষার্থীদের মাস্টার্সের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে, তারা আসন্ন ডাকসু বা হল সংসদ নির্বাচনে ভোটার বা প্রার্থী হওয়ার যোগ্য নন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন, হলের প্রাধ্যক্ষ, ডিন ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন।
শতবর্ষী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এখন পর্যন্ত ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়েছে ৩৭ বার। এর মধ্যে ২৯ বারই হয়েছে ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমলের ৫০ বছরে। স্বাধীন দেশে ৫৩ বছরে মাত্র ৮ বার ভোট দেখেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
১৯৭৩ সালের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ অনুসারে প্রতি বছর ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা। কিন্তু গত সাড়ে তিন দশকে নির্বাচন হয়েছে কেবল একবার।
সবশেষ ডাকসু নির্বাচন হয়েছিল ২০১৯ সালে। সেই সংসদের মেয়াদপূর্তির পর পেরিয়ে গেছে আরো ছয় বছর। নির্বাচন না হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটে থাকছে না শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব।
২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ডাকসু নির্বাচনের দাবি আবার জোরালো হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দ্রুততম সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি দেয়।


















