জাতীয় পার্টি থেকে আনিসুল, রুহুল, চুন্নু বাদ, নতুন মহাসচিব শামীম পাটোয়ারী
- আপডেট সময় : ১২:৫৩:০৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ জুলাই ২০২৫
- / 225

দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, রুহুল আমিন হাওলাদার ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এদিকে, শামীম হায়দার পাটোয়ারীকে জাতীয় পার্টির মহাসচিব পদে নিয়োগ দিয়েছেন দলটির চেয়ারম্যান জি এম কাদের।
সোমবার (৭ জুলাই) সন্ধ্যায় পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
এদিকে, শামীম হায়দার পাটোয়ারীকে জাতীয় পার্টির মহাসচিব পদে নিয়োগ দিয়েছেন চেয়ারম্যান। দলের গঠনতন্ত্রের ক্ষমতাবলে মুজিবুল হক চুন্নুকে জাতীয় পার্টির মহাসচিব থেকে অব্যাহতি দিয়ে তাঁর জায়গায় মহাসচিব করা হয় শামীম হায়দার পাটোয়ারীকে।
এতদিন প্রেসিডিয়াম সদস্য ও অতিরিক্ত মহাসচিবের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। জাতীয় পার্টির প্রয়াত চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের উপদেষ্টাও ছিলেন শামীম হায়দার। তিনি ২০১৮ সালে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
এদিকে, পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের গঠনতন্ত্রের ক্ষমতাবলে প্রাথমিক সদস্য পদসহ দলের সব দায়িত্ব থেকে তাদের অব্যাহতি দিয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৫ জুন জেলা/মহানগরের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক/আহ্বায়ক, সদস্য সচিবদের মতবিনিময় সভায় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কো- চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, কো-চেয়ারম্যান ও মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নুর বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ আনে এবং শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়।
এতে আরও বলা হয়, গত ২৮ জুন তারিখে দলের প্রেসিডিয়াম সভায়ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে উপরোক্ত ৩ (তিন) নেতাকে দলীয় সব পদ-পদবি থেকে অব্যাহতি দেয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

এ অবস্থায় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের গঠনতন্ত্রে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার এবং কো-চেয়ারম্যান ও মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নুকে প্রাথমিক সদস্যসহ দলীয় সব পদ-পদবি থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন। এ আদেশ ইতোমধ্যে কার্যকর করা হয়েছে।
অব্যাহতি পাওয়ার পর মুজিবুল হক চুন্নু তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “এটা সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক। জাতীয় কাউন্সিল ডাকার পরে পদ থেকে বহিষ্কার করার কোনো এখতিয়ার নেই চেয়ারম্যান এর। এটা অগঠনতান্ত্রকি, বেআইনি। উনার সিদ্ধান্ত মানি না, উনার এখতিয়ার নেই। এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।”
জাতীয় পার্টির গঠনতন্ত্রের ২০(ক) ধারায় দলের কোনো ধরনের কারণ দর্শনোর নোটিস ছাড়াই যে কাউকে পদ বা দল থেকে অব্যাহতি বা বহিষ্কার করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে চেয়ারম্যানকে, যা নিয়ে জ্যেষ্ঠ ও পুরনো নেতাদের একাংশের ক্ষোভ আছে। তাদের ভাষায় গঠনতন্ত্রের ওই ধারা পার্টির চেয়ারম্যানকে ‘স্বৈরাচারী’ করে তুলেছে।


















