ঢাকা ০১:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সুদানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী ঘাঁটিতে হামলা: নিহত ৬ বাংলাদেশি বিএনপি থেকে তিন দফা বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামানকে দলে নিল জামায়াত তিন দলের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার জরুরি বৈঠক: ‘ষড়যন্ত্রকারীরা প্রশিক্ষিত শুটার নামিয়েছে মাঠে’ ওসমান হাদির গ্রামের বাড়িতে চুরির ঘটনা হাদিকে গুলি: প্রধান সন্দেহভাজনের ছবি প্রকাশ, ধরিয়ে দিতে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার রিকশায় থাকা হাদিকে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে গুলি হাদির মাথা ফুঁড়ে গুলি বেরিয়ে গেছে, ঢাকা মেডিকেল থেকে এভারকেয়ারে স্থানান্তর তারেক রহমান ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরছেন, জানালেন মির্জা ফখরুল ধানমন্ডি এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন আসিফ মাহমুদ ঢাকা-৮ আসনের প্রার্থীকে প্রকাশ্যে গুলি, নির্বাচনী পরিবেশ বানচালের ‘নীলনকশা’ বলছে বিএনপি

পাহাড়ে সেনা অভিযানে বিদ্রোহী কেএনএ কমান্ডার নিহত

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ১০:৫৩:১৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫
  • / 246
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি


বান্দরবানের রুমা উপজেলার দুর্গম পাহাড়ে সেনা অভিযানে পাহাড়ি সংগঠন কেএনএফ বা বম পার্টির সশস্ত্র শাখা কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মির (কেএনএ) কমান্ডারসহ দুইজন নিহত হওয়ার খবর দিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আইএসপিআর জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে ৩টি এসএমজি, ১টি রাইফেলসহ আরও অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী। বৃহস্পতিবার সকালেও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

বান্দরবান প্রেস ক্লাবের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বাচ্চু জানান, ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরতে বৃহস্পতিবার দুপুরে রুমা সেনা জোনে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন সেনা কর্মকর্তারা।

রুমা থানা ওসি মোহাম্মদ সোহরাওয়ার্দী বলেন, “পলি প্রাংসা এলাকায় সেনাবাহিনীর কয়েকটি দল বৃহস্পতিবার ভোরে অভিযান চালায়। অভিযান চলাকালে সেনাবাহিনী এবং কেএনএ’র মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। পরে এলাকায় তল্লাশি করার পর সেখানে দুইজনের লাশ পাওয়া যায়।

“ধারণা করা হচ্ছে, নিহতের মধ্যে কেএনএ কমান্ডারও রয়েছে। লাশ পড়ে আছে শুনলাম। ওই এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক নাই। খবর পাওয়ার সাথে সেনাবাহিনীর দুইটি দল এবং পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে রওনা দিয়েছে। তারা ফিরে না আসা পর্যন্ত বিস্তারিত জানার সুযোগ নাই বলে জানান ওসি সোহরাওয়ার্দী।

পাহাড়িরা কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট বা কেএনএফকে চেনে ‘বম পার্টি’ নামে। সংগঠনটি ‘কুকি-চিন রাজ্যে’ নামে একটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল চায়; যেখানে চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরারা থাকবে না; থাকবে বম, খিয়াং, পাংখুয়া, লুসাই, খুমি ও ম্রোরা।

কেএনএফ ও কেএনএ’র বিরুদ্ধে অভিযানের মুখে বিভিন্ন সময় বম সম্প্রদায়ের লোকজন ভয়-আতঙ্কে ভারতের মিজোরাম ও বনজঙ্গলে আশ্রয় নেন। বমদের সামাজিক সংগঠন বম সোশাল কাউন্সিল এবং বান্দরবান সেনা রিজিয়নের উদ্যোগে সম্প্রতি তারা নিজেদের ভিটেমাটিতে ফিরতে শুরু করেছেন।

বম সোশাল কাউন্সিল বলছে, তিনশ পরিবার এলাকায় ফিরে খাদ্য সংকটের মুখে পড়েছে। এ সংকট সমাধানে নানা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

পাহাড়ে সেনা অভিযানে বিদ্রোহী কেএনএ কমান্ডার নিহত

আপডেট সময় : ১০:৫৩:১৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫


বান্দরবানের রুমা উপজেলার দুর্গম পাহাড়ে সেনা অভিযানে পাহাড়ি সংগঠন কেএনএফ বা বম পার্টির সশস্ত্র শাখা কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মির (কেএনএ) কমান্ডারসহ দুইজন নিহত হওয়ার খবর দিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আইএসপিআর জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে ৩টি এসএমজি, ১টি রাইফেলসহ আরও অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী। বৃহস্পতিবার সকালেও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

বান্দরবান প্রেস ক্লাবের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বাচ্চু জানান, ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরতে বৃহস্পতিবার দুপুরে রুমা সেনা জোনে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন সেনা কর্মকর্তারা।

রুমা থানা ওসি মোহাম্মদ সোহরাওয়ার্দী বলেন, “পলি প্রাংসা এলাকায় সেনাবাহিনীর কয়েকটি দল বৃহস্পতিবার ভোরে অভিযান চালায়। অভিযান চলাকালে সেনাবাহিনী এবং কেএনএ’র মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। পরে এলাকায় তল্লাশি করার পর সেখানে দুইজনের লাশ পাওয়া যায়।

“ধারণা করা হচ্ছে, নিহতের মধ্যে কেএনএ কমান্ডারও রয়েছে। লাশ পড়ে আছে শুনলাম। ওই এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক নাই। খবর পাওয়ার সাথে সেনাবাহিনীর দুইটি দল এবং পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে রওনা দিয়েছে। তারা ফিরে না আসা পর্যন্ত বিস্তারিত জানার সুযোগ নাই বলে জানান ওসি সোহরাওয়ার্দী।

পাহাড়িরা কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট বা কেএনএফকে চেনে ‘বম পার্টি’ নামে। সংগঠনটি ‘কুকি-চিন রাজ্যে’ নামে একটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল চায়; যেখানে চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরারা থাকবে না; থাকবে বম, খিয়াং, পাংখুয়া, লুসাই, খুমি ও ম্রোরা।

কেএনএফ ও কেএনএ’র বিরুদ্ধে অভিযানের মুখে বিভিন্ন সময় বম সম্প্রদায়ের লোকজন ভয়-আতঙ্কে ভারতের মিজোরাম ও বনজঙ্গলে আশ্রয় নেন। বমদের সামাজিক সংগঠন বম সোশাল কাউন্সিল এবং বান্দরবান সেনা রিজিয়নের উদ্যোগে সম্প্রতি তারা নিজেদের ভিটেমাটিতে ফিরতে শুরু করেছেন।

বম সোশাল কাউন্সিল বলছে, তিনশ পরিবার এলাকায় ফিরে খাদ্য সংকটের মুখে পড়েছে। এ সংকট সমাধানে নানা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।